ইউক্রেনে হামলা করলে রাশিয়াকে চড়া মূল্য দিতে হবে বলে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে সতর্ক করে দিয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
তিনি বলেছেন, ইউক্রেনে হামলার মতো কোনো পদক্ষেপ নিলে মস্কোকে ব্যাপক দুর্ভোগ পোহাতে হবে এবং (সারাবিশ্ব) থেকে তাদের বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হবে।
দেশটির স্থানীয় সময় শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ফোনালাপে এই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
রবিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
ইউক্রেন সীমান্তে দীর্ঘদিন ধরেই প্রায় এক লাখ সেনাসদস্য মোতায়েন করে রেখেছে প্রতিবেশী দেশ রাশিয়া। এর মধ্যে ট্যাংক ও কামানসহ যুদ্ধবিমানের বহরও ইউক্রেন সীমান্তে পাঠিয়েছে দেশটি। যেকোনো মুহূর্তে রুশ সেনারা দেশটিতে আক্রমণ করতে পারে বলেও আশঙ্কা রয়েছে। যদিও ইউক্রেনে হামলার কোনো পরিকল্পনা নেই বলে বরাবরই দাবি করে আসছে মস্কো।
তবে যুক্তরাষ্ট্র বলছে, যেকোনো মুহূর্তে ইউক্রেনে হামলা করে বসতে পারে রাশিয়া। হামলার আশঙ্কায় ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মার্কিন নাগরিকদের ইউক্রেন ছাড়ারও নির্দেশ দিয়েছে ওয়াশিংটন। এই পরিস্থিতিতে শনিবার রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে এক ঘণ্টা ফোনে কথা বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন।
দীর্ঘ এক ঘণ্টার এই ফোনালাপে চলমান ইউক্রেন সংকট সমাধানের পথে কোনো অগ্রগতি হয়েছে বলে দাবি করেনি কোনো পক্ষই। বাইডেন প্রশাসনের শীর্ষ এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, উভয় প্রেসিডেন্টের মধ্যে এই ফোনালাপ ছিল পেশাদার এবং বাস্তবসম্মত। কিন্তু এর মাধ্যমে কোনো মৌলিক পরিবর্তন আসেনি।
তবে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সরকারি বাসভবন ক্রেমলিন জানিয়েছে, ফোনালাপে বাইডেনকে প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেছেন- রাশিয়ার দাবি ও উদ্বেগগুলো বিবেচনায় নিতে ব্যর্থ হয়েছে ওয়াশিংটন এবং পূর্ব ইউরোপে সামরিক জোট ন্যাটোর সম্প্রসারণ এবং ইউক্রেনে সেনা মোতায়েনের মতো বিষয়গুলোসহ প্রধান প্রধান নিরাপত্তা ইস্যুগুলোতে ‘যথেষ্ট উত্তর’ পায়নি মস্কো।
বাইডেন প্রশাসনের ওই শীর্ষ কর্মকর্তা আরও জানিয়েছেন, ইউক্রেন ইস্যুতে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে রাজি হয়েছেন প্রেসিডেন্ট পুতিন। তবে রুশ প্রেসিডেন্ট অন্য কিছুর তুলনায় কূটনৈতিক পন্থায় এগিয়ে যেতে চাইছেন কি না সেটি এখনও পরিষ্কার নয়।
#চলনবিলের আলো / আপন