সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৪৮ অপরাহ্ন

ই-পেপার

নাচ দেখে ঐশ্বরিয়াকে ১০ কোটি টাকা দেন প্রেসিডেন্ট জারদারি!

চলনবিলের আলো ডেস্ক:
আপডেট সময়: সোমবার, ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ৪:০৯ অপরাহ্ণ

মডেল থেকে ‘বিশ্বসুন্দরী’। তারপর বলিউডের নায়িকা। দেশীয় গণ্ডি পেরিয়ে হলিউডে। কান ফিল্মোৎসবের রেড কার্পেটেও দাঁড়িয়েছেন তিনি। নিজের ক্যারিয়ারে এমন বহু সোনালি মুহূর্তের মুখোমুখি হয়েছেন অমিতাভ বচ্চনের পূত্রবধূ। একই সঙ্গে অস্বস্তিকর বিতর্কেও জড়িয়েছেন একাধিক বার।

এবার পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারিকে জড়িয়ে সেরকম এক বিতর্কের জন্মদিয়েছেন এ নীলাভ চোখের নায়িকা অ্যাস।

পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি নাকি ঐর্শ্বরিয়া রায়কে ১০ কোটি টাকা দিয়েছিলেন।

২০০৮ সালে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন তার বাসভবনে একটি ব্যক্তিগত অনুষ্ঠানে নাচে পারর্ফম করার জন্যই ওই টাকা নিয়েছিলেন ঐশ্বর্য। এ দাবি পাকিস্তানের রাজনৈতিক বিশ্লেষক শাহিদ মাসুদের।

ওই ঘটনার সময় পাকিস্তানের একটি টেলিভিশন চ্যানেলে লাইভ চ্যাট শো করতেন মাসুদ। দেশটির একটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্টে দাবি, ওই চ্যাট শোয়ে এ কথা বলেছেন তিনি।

জারদারির একটি ঘনিষ্ঠ সূত্রের মাধ্যমে তিনি জানতে পারেন যে, পাক প্রেসিডেন্টের বাসভবনের অনুষ্ঠানে এক রাতে নৃত্য পরিবেশনা করেন ঐশ্বর্যা। সে জন্যই নাকি তাকে ১০ কোটি টাকা দেন জারদারি।

সত্যি কি মিথ্যা তা জানা নেই। তবে মাসুদের দাবি ঘিরে পাকিস্তানের অনেকেই হতবাক। শোনা যায়, গোটা বিতর্কে মুখ না খুললেও তাতে মর্মাহত হয়েছেন ঐশ্বর্যা।

নিজের দাবি সত্ত্বেও এ নিয়ে কোনও প্রমাণ পেশ করতে পারেননি মাসুদ। ওই ‘তথাকথিত অনুষ্ঠান’-এর কোনও ভিডিও ফুটেজ বা প্রত্যক্ষদর্শীর নাম করতে পারেননি তিনি।

তবে চ্যাট শো-এ মাসুদ যে এ কথা বলেছেন, তার ভিডিও নিজেদের জিম্মায় রয়েছে বলে দাবি একটি ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের।

ঐশ্বর্যা রাই বচ্চনও এমন বহু অস্বস্তিকর বিতর্কে জড়িয়েছেন।

কখনও গভীর রাতে নিজের বাড়ির সামনে প্রেমিক ‘সালমান খানের’ চিৎকার-চেঁচামেচি। কখনও বা স্বামী অভিষেক বচ্চনের সামনেই একমঞ্চে অজয় দেবগণের ‘চুমু’। আবার এক সময় খোদ অমিতাভের সঙ্গে তার ‘সম্পর্ক’ নিয়ে জল্পনা। এমন সব অস্বস্তিকর বিতর্কে জড়ালে কার মেজাজ ঠান্ডা থাকে বলুন? এসব বিতর্কে ঐশ্বর্যারও মেজাজ বিগড়ে যেতে বাধ্য। তার ভক্তরা হামেশাই এ কথা বলেন।

সালমান খানের সঙ্গে ঐশ্বর্যর সম্পর্ক নিয়ে এক সময় কম জলঘোলা হয়নি। শোনা যায়, ১৯৯৯ সালে সঞ্জয় লীলা ভন্সালীর ‘হম দিল দে চুকে সনম’ ফিল্মে একসঙ্গে কাজ করার সময় ডেটিং করছিলেন তারা। ২০০১ সালে সে জুঁটি ভেঙে খানখান। তার আগে অবশ্য সালমানকে জড়িয়ে অস্বস্তিতে পড়েছেন ঐশ্বর্যা।

সালমানের বিরুদ্ধে তাকে ধোঁকা দেওয়া, শারীরিকভাবে হেনস্থার অভিযোগও করেছিলেন। যদিও তা মানতে নারাজ সলমন। ব্রেক-আপের আগে একবার নাকি রাত তিনটার সময় ঐশ্বর্যার অ্যাপার্টমেন্টের বাইরে চিৎকার-চেঁচামেচি করেছিলেন সল্লু মিয়াঁ। ঐশ্বর্যর দরজা ধাক্কাতেও অনেকে তাকে দেখেছিলেন বলেও দাবি।

সালমান ছাড়া অজয়কে নিয়েও কম বিব্রত হননি ঐশ্বর্যা। তখন সলমন অতীত। অভিষেকের সঙ্গে চুটিয়ে ঘরকন্না করছেন। একটি অনুষ্ঠানে অভিষেকের সামনেই ঐশ্বর্যাকে এমন ভাবে জড়িয়ে ধরেন অজয়, যা নিয়েও কম বিতর্ক হয়নি। পেজ থ্রি-র পাতায় ওই ছবি দেখে অনেকেরই মনে হয়েছিল, ঐশ্বর্যাকে চুমু খাচ্ছেন অজয়।

অমিতাভের সঙ্গে তিনি নাকি ‘ডেটিং’ করছেন। কানাঘুষোয় এমনও শুনেছেন ঐশ্বর্য। একটি বলিউডি ইভেন্টে দু’জনের ছবি ভাইরালও হয়েছিল।

 

 

#চলনবিলের আলো / আপন


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর