নাটোরের গুরুদাসপুরে সাবেক স্বামীদের ফাঁসাতে দুই বোনের নির্যাতন নাটকের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগি দুই ভায়রা ভাই ও তার পরিবার। শনিবার বিকালে চাঁচকৈড় বাজারস্থ গুরুদাসপুর শিক্ষা সংঘ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় চত্বরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ওই প্রতিবাদ জানান দুই ভায়েরা আলমগীর ও সবুজ। জানা যায়, শুক্রবার রাতে তাদের দুই বোনের মধ্যমপাড়াস্থ আস্থা এন্টারপ্রাইজে তাদের সাবেক স্বামীরা তাদের ওপর হামলা চালিয়ে ব্লেড দিয়ে হাত ও চুল কেটে দেওয়ার মিথ্যা অভিযোগে শনিবার দুপুরে ৪ বছর পুর্বে তালাক দেয়া স্বামী আলমগীর ও ২০ দিন পূর্বে তালাক দেয়া স্বামী সবুজসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন। সাংবাদিক সম্মেলনে ভুক্তভুগি পরিবারের পক্ষে জানানো হয়, গুরুদাসপুর পৌরসদরের চাঁচকৈড় খামারনাচকৈড় মহল্লার হযরত আলী মোল্লার মেয়ে ইশরাত জাহান সুখির (৩৩) বিয়ে হয় চাঁচকৈড় পুড়ানপাড়া মহল্লার আলমগীর হোসেনের সাথে। চার বছর আগে আলমগীর হোসেনের সুখির সাথে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। এ বিষয়ে সুখি নারী ও শিশু নির্যাতনের অভিযোগ এনে নাটোরে আদালতে মামলা করেন। অপরদিকে ইশরাত জাহান সুখির ছোট বোন সুমির সাথে বিয়ে হয় একই মহল্লার শহিদুল ইসলামের ছেলে সবুজ হোসেনের সাথে। ১৬ জানুয়ারী সবুজও তার স্ত্রী সুমিকে তালাক দেন। এতে ঈর্ষান্নিত হয়ে দুই বোন পুর্বপরিকল্পিতভাবে মিথ্যা নির্যাতনের অভিযোগ এনে গুরুদাসপুর থানায় আলমগীর ও সবুজসহ তাদের পরিবারের নামে মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছেন। ইশরাত ও সুমি সাংবাদিকদের কাছে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ পরিবেশন করেছেন। সেখানে তাদের দুইবোন সুমি ও সুখিকে ব্লেড দিয়ে শরীরের বিভিন্ন অংশ আঁচর দিয়ে ও চুল কাটার অভিযোগ আনা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে দাবী করা হয় আলমগীরের নামে করা মিথ্যা মামলাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করা ও সবুজকে নতুন মামলা দিয়ে ফাঁসানোর জন্য ওই অভিযোগ করা হয়েছে বলে দাবী করেন দুই ভায়রা। এ সময় শহিদুল ইসলাম, বুলবুলি বেগম প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
#চলনবিলের আলো / আপন