মুসলিম হওয়ায় ব্রিটিশ সরকারের মন্ত্রিত্বের পদ হারাতে হয়েছে বলে দাবি করেছেন যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির এমপি নুসরাত গনি (৪৯) নামের এক নারী এমপি।
তার ইসলামি বিশ্বাস তাকে সহকর্মীদের কাছে অস্বস্তিকর করে তুলেছে অভিযোগ করে তাকে পদচ্যুত করা হয় বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।
এ খবর জানিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য ন্যাশনাল নিউজ।
সংবাদমাধ্যম সানডে টাইমসকে তিনি বলেন, ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে তাকে কনিষ্ঠ পরিবহন মন্ত্রীর পদ থেকে অপসারণ করা হয়। কারণ হিসেবে হুইপের মাধ্যমে তাকে বলা হয়, আপনার মুসলিম হওয়া একটি সমস্যা হিসেবে উত্থাপিত হয়েছে। আর তাই আপনাকে বরখাস্ত করা হলো।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী জনসনের ডাউনিং স্ট্রিট অফিস থেকে এই অভিযোগের বিপরীতে তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে সরকারি চিফ হুইপ মার্ক স্পেন্সার বলেছেন, নুসরাতের অভিযোগ মূলত তাকে ঘিরেই।
এক টুইটবার্তায় স্পেন্সার জানান, এই অভিযোগ সর্বৈব মিথ্যা। এসব অভিযোগ আমার জন্য মানহানিকর। আমি কখনই ওসব বিদ্বেষমূলক শব্দ ব্যবহার করিনি।
এদিকে নুসরাত গনি বলেছেন, ওই কথা শোনার পর মনে হয়েছিল কেউ আমার পেটে ঘুষি মেরেছে। আমি শক্তিহীন ও অসাড় হয়ে পড়েছিলাম। খুব অপমানিত বোধ করছিলাম তখন।
তিনি আরও বলেন, ডাউনিং স্ট্রিটের এক সভায় আমার মুসলিম হওয়ার বিষয়টি উত্থাপিত হয় এবং সেখানে একজন মুসলিম নারী মন্ত্রী হবে এটা নাকি সহকর্মীদের মধ্যে অস্বস্তি সৃষ্টি করেছিল। তাদের এমন আচরণে আমি এমপি হিসেবে আর দায়িত্ব পালন করব কিনা তা নিয়ে বিবেচনাও করতে বাধ্য হই।
এদিকে স্পেন্সার আরও জানান, নুসরাত গনি যখন প্রথম এই অভিযোগ করেন তখন একটি অভ্যন্তরীণ তদন্তের প্রস্তাব দেয়া হয়। তবে তিনি তাতেও অনাস্থা প্রকাশ করেন।
ব্রিটিশ এই রাজনৈতিক দলটির (কনজারভেটিভ পার্টি) বিরুদ্ধে আগে থেকেই ইসলামোফোবিয়া ছড়ানোর অভিযোগ রয়েছে। গত বছরের মে মাসেও মুসলিমদের বিরুদ্ধে বৈষম্যের অভিযোগে সমালোচিত হয়েছিল দলটি।
#চলনবিলের আলো/আপন