সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:২০ অপরাহ্ন

ই-পেপার

ভাঙ্গুড়ায় ফসলি জমিতে পুকুর খননের মহোৎসব

চলনবিলের আলো ডেস্ক:
আপডেট সময়: শুক্রবার, ১৪ জানুয়ারি, ২০২২, ৩:৫৩ অপরাহ্ণ

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় ফসলি জমিতে অবৈধভাবে চলছে পুকুর খননের মহোৎসব। পুকুর খননের ফলে এ উপজেলায় আশঙ্কাজনক হারে কমছে কৃষি জমির পরিমাণ। এদিকে পুকুর খনন রোধে প্রশাসনের নিরব ভ‚মিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে জনমনে।

শুক্রবার সরেজমিনে, উপজেলার মেন্দা খালপাট মৌজায় গিয়ে দেখা যায়, এস্কেভেটর (ভেকু) দিয়ে ফসলি জমি কেটে পুকুর খনন কাজ চলছে। সেখানে কুত্তাগাড়ি (শ্যালো ইঞ্জিন দ্বারা তৈরি ট্রলি) দিয়ে মাটি বিক্রি করা হচ্ছে স্থানীয় ইটভাটাসহ বিভিন্ন স্থানে। প্রতি কুত্তাগাড়ি মাটি বিক্রি হচ্ছে ৫শ’ থেকে ৬শ’ টাকায়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভাঙ্গুড়া উপজেলায় একটি পৌরসভা ও ছয়টি ইউনিয়ন রয়েছে। বর্তমানে এখানে প্রায় ১০ হাজার ৭৮০ হেক্টর ফসলি জমি রয়েছে।

স্থানীয়রা বাসিন্দারা জানান, জমির মালিক আছের আলী তার আবাদি জমির মাটি কাটার জন্য স্থানীয় মাটি ব্যবসায়ী আঃ কাদের এর সাথে চুক্তি করে এই কাজ করছে। মাটি বহনকারী কুত্তা গাড়ির দাপটে প্রধান রাস্তাসহ জনচলাচলের অন্যান্য সড়কগুলির চরম ক্ষতি হচ্ছে। পাশিপাশি মাটি বহনকারী এসব কুত্তা গাড়ির মাটি বহন করার সময় ধুলাবালিতে পথ চলাচলকারী শ্বাসকষ্টসহ নানা সমস্যা হচ্ছে। পুকুর খনন বন্ধে প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেননি বলেও অভিযোগ করেন এলাকাবাসী।

ফসলি জমিতে পুকুর খননের বিষয়ে জানতে চাইলে পুকুর খননকারী আছের আলী বলেন, দুই বছর আগে অনুমতি নিয়ে এসেছিলাম। অর্থকরী না থাকার কারণে মাটি কাটতে পারিনি। তাই এই বছর মাটি কাটা শুরু করেছি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এনামুল হক বলেন, প্রতি বছরই যে হারে পুকুর বাড়ছে। এর ফলে কমে যাচ্ছে আবাদি জমির পরিমাণ। অপরিকল্পিতভাবে পুকুর খনন করায় বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হতে পারে।

উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) বিপাশা হোসাইন বলেন, খোঁজ নিয়ে দ্রুত তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

 

#চলনবিলের আলো / আপন


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর