রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০২:৫৬ পূর্বাহ্ন

ই-পেপার

শিরোনাম :
শিরোনাম :
ছোট হাতে বড় হিসাব বীরগঞ্জে অ্যাবাকাস লার্নিং কেয়ারের অভিভাবক সমাবেশ  একজন সাহসী ও কর্মনিষ্ঠ অফিসারের পদক্ষেপে বদলে গেল ফরিদপুরের চাল চিত্র ভাঙ্গুড়ায় জালসা থেকে কিশোর অপহরণ, শিকলে বেঁধে রাতভর নির্যাতনের অভিযোগ পাবলিক ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্টস এসোসিয়েশন অব বাসাইল-এর উদ্যোগে নবীন বরণ ও কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা এনায়েতপুরে খেলাফত মজলিসের ২০২৬ সালের জন্য  নবগঠিত কমিটি গঠন  বন্ধুত্বের দায়বদ্ধতায় বীরগঞ্জে  ‘সিগনেচার ৯৪’ ব্যাচের শীতবস্ত্র বিতরণ আটোয়ারীতে ভিক্ষুক পুনর্বাসন ও বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য উপকরণ বিতরণ রাণীনগরে আওয়ামীলীগ-যুবলীগের দুই নেতা গ্রেফতার

বড়াইগ্রামে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে আশ্রয়ণ প্রকল্পের গৃহ নির্মাণ

সুজন কুমার,নাটোরঃ
আপডেট সময়: বুধবার, ১২ জানুয়ারি, ২০২২, ৮:১০ অপরাহ্ণ

নাটোরের বড়াইগ্রামে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বিবাদমান জমিতে আশ্রয়ণ প্রকল্পের সাতটি গৃহ নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার জোনাইল ইউনিয়নের চরগোবিন্দপুর গ্রামে এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। ক্ষতিগ্রস্থদের অভিযোগ বিনা নোটিশ ছাড়াই প্রায় লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি সাধন করা হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্থ রেশমা খাতুন জানান, উপজেলার জোনাইল ইউনিয়নের চরগোবিন্দপুর মৌজার ৬৯০ হালদাগের ০.২২ একর জমি সুলতান সরকারের স্ত্রী রেশমা খাতুন প্রায় ৫০ বছর যাবৎ ওয়ারিশ সুত্রে বসতবাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করাসহ পানের বরজ ও ফলদ গাছপালা রোপণ করেছেন। সিএস ও এসএ রেকর্ড তার পিতার গুলমামুদ মন্ডলের নামে থাকলেও আরএস রেকর্ডে তা ভুলক্রমে খাস খতিয়ানের অন্তর্ভূক্ত করা হয়।
তিনি আরো বলেন, কয়েকদিন আগে হঠাৎ করেই সরকারী লোকজন এসে পান বরজ, ফলবান, শতাধীক সুপারি ও নারিকেল গাছ কেটে ফেলে। ঠিকাদার ইউসুফ আলী যখন পাকা ঘর নির্মাণের কাজ শুরু করেন আমরা তখন জানতে পারি এই জমিটি খাস খতিয়ানে অন্তভুক্ত আছে। গত তিন জানুয়ারী নাটোরের আদালতে রেকর্ড সংশোধনী মামলা করে গৃহ নির্মাণ কাজে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আদালতে লিখিত আবেদন করি। আদালত আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারী শুনানীর দিন নির্ধারণ করে কেন অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দেয়া হবে না সে ব্যাপারে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন। কিন্তু আদালতে মামলাধীন বিষয়টি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত এ জমিতে সব রকমের স্থাপনা নির্মাণ বন্ধ রাখার নিয়ম থাকলেও ঠিকাদারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তা মানছেন না। তারা ঘর নির্মাণ করেই যাচ্ছেন।
রেশমা খাতুনের ভাই মজাহার আলী বলেন, আমরা মুর্খ মানুষ। জমিজমা সম্পর্কে বুঝিনা। বাপ দাদার আমল থেকে বাড়ি করে আসছি। এখন শুনছি খাস।
সহকারী কমিশনার ভুমি বলেন, মুজিব বর্ষের ঘর উঠবে। এতে কোন বাধা নেই। নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে আইনী ভাবে দেখা হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মারিয়াম খাতুন বলেন, আমি আদালত থেকে নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত কোন কাগজপত্র পাইনি। এমন কিছু পেলে সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

 

#চলনবিলের আলো / আপন


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর