র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই দেশের সার্বিক আইন শৃক্সখলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ধরণের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। জঙ্গী, সন্ত্রাসী, সংঘবদ্ধ অপরাধী, ছিনতাইকারী, জুয়ারি, মাদক ব্যবসায়ী, খুন এবং অপহরণসহ বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর মামলার আসামী গ্রেফতারে র্যাব নিয়মিত অভিযান চালিয়ে আসছে।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৭ ডিসেম্বর বিকেল ৪ টার দিকে র্যাবের একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার এএসপি কিশোর রায় এর নেতৃত্বে স্পেশাল কোম্পানীর একটি চৌকষ আভিযানিক দল পাবনা জেলার ভাঙ্গুড়া থানাধীন অষ্টমনিষা ঘোষ পাড়া থেকে মাদক সেবনের সময় ১। মো: নাজিম উদ্দীন (২৬), পিতা- মো: ইব্রাহিম হোসেন, সাং- নৌবাড়িয়া (নতুন পাড়া) ২। মো: হুমায়ন কবির (২৮) পিতা- মো: আ: জব্বার, সাং ঝিকলকতি উভয় থানা-ভাঙ্গুড়া, জেলা-পাবনা কে গ্রেপ্তার করে। এসময় তাদের কাছ থেকে ৫০০ মিলি দেশী মদ উদ্ধার করে এবং তাহাদের নিকট থেকে ব্যবহৃত ০২ টি মোবাইল ফোন ও ১,০১০ টাকা জব্দ করে। এবং ২৭ ডিসেম্বর বিকেল ৫ টার দিকে একই যায়গা থেকে মাদক ব্যবসায়ী ৩। শ্রী রতর কুমার শীল(৫৬), পিতা-স্বর্গীয় শচীন্দ্র নাথ শীল, ৪। হীরা কুমার শীল(৩০) পিতা-শ্রী রতর কুমার শীল উভয় সাং- অষ্টমনিষা, থানা-ভাঙ্গুড়া, জেলা-পাবনা কে গ্রেপ্তার করে। এসময় তাদের সরকার অনুমদিত(দেশী মদের)দোকানে ৫৭৫ লিটার দেশী মদের মজুদ রাখার অনুমতি থাকলেও অতিরিক্ত ১০০ লিটার দেশী মদসহ তাদের গ্রেফতার করে। এসময় তাদের কাছ থেকে একটি রেজিষ্টার খাতা ও ১৫,৩৭০ টাকা জব্দ করা হয়।
গ্রেফতারকৃত উপরোক্ত ১নং ও ২নং আসামীর বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ৩৬(১) সারণীর ২৫ এবং গ্রেফতারকৃত উপরোক্ত ৩নং ও ৪নং মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ৩৬(১) সারণীর ২৪(গ) ধারায় মামলা দায়ের করত উদ্ধারকৃত আলামতসহ তাহাদেরকে পাবনা জেলার ভাঙ্গুড়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানাযায়, গ্রেফতারকৃত নাজিম ও হুমায়ন অবৈধ মাদকদ্রব্য সেবন করেছে এবং সেবনের পর অতিরিক্ত চোলাই মদ বোতলে অবশিষ্ট আছে বলে জানান। গ্রেফতারকৃত রতর ও হীরা তাদের কাছে অবৈধ মাদকদ্রব্য চোলাই মদ অতিরিক্ত ১০০ লিটার মজুদ আছে এবং তারা সেগুলো অন-অনুমোদিত ব্যক্তির নিকট বিক্রয় করে আসছিল বলে জানান।
#চলনবিলের আলো / আপন