বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫, ০৫:১৪ পূর্বাহ্ন

ই-পেপার

কুমড়া বড়ি তৈরি করতে ব‍্যস্ত তাড়াশের কারিগররা

মোঃ মুন্না হুসাইন, ভ্রাম্যমাণ প্রতিনি:
আপডেট সময়: শনিবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২১, ১১:৫৩ পূর্বাহ্ণ

শীতের খাবারে ভিন্ন স্বাদ আনতে কুমড়া বড়ির প্রচলন দীর্ঘ দিনের। গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী শীতের পিঠাপুলি খাবারের মত কুমড়া বড়িরও বেশ কদর রয়েছে। আর এই মুখরোচক সুস্বাদু খাদ্য অতি যত্নসহকারে শৈল্পিকভাবে তৈরি করছেন তাড়াশের কুমড়া বড়ি তৈরির কারিগরেরা। শীতের শুরু থেকে চারমাস এই কুমড়া বড়ি তৈরির কাজে বেশ ব্যস্ত সময় পার করেন তারা।

তাড়াশ উপজেলার নওগাঁ ইউনিয়ে গ্রামীণ নারী পুরুষ সহ এ কাজের সঙ্গে জড়িত। সারাবছরই কম-বেশি কুমড়া বড়ি তৈরি হয়। তবে শীত মৌসুমে এটার চাহিদা বেশি থাকে। কুমড়া বড়ি তৈরির প্রধান উপকরণ মাসকালাই ও কুমড়া।

বাজারে মাসকলাই বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে। একটি বড় আকারের কুমড়া ৩০-৪০ টাকা। মাসকালাই প্রথমে ভেঙে পরিষ্কার করে পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হয়। এরপর পাটায় ডাল পিষতে হয়। বর্তমানে মেশিনের মাধ্যমে ডাল পিষে অতি সহজে এই কাজটি করছেন তারা। ডালের সাথে কুমড়া, কালোজিরা আর বিভিন্ন প্রকারের মসলা মিশিয়ে শৈল্পিক হাতে তৈরি হচ্ছে এই কুমড়া বড়ি।

কুমড়া বড়ির কারিগর মহেন্দ্র বলেন, এ বছর জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি হওয়ার কারণে লাভের পরিমাণ কমে গেছে। তবুও বসে না থেকে প্রতি বছরের মত এবারো কুমড়া বড়ি তৈরির কাজ করছি। বর্তমান বাজারে ২০০-২৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে এই বড়ি।

কুমড়া বড়ি তৈরির নারী কারিগর বিলাশী রানী বলেন, শীতের এই চারমাস আমাদের ঘরে বসে কাজ করে একটু বাড়তি আয় হয়। প্রতিদিন ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা আয় হয়। মাসে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা আমরা পাই। সেটি দিয়ে পরিবার ও নিজের চাহিদা মিটিয়ে থাকি। উপযুক্ত প্রশিক্ষণ ও সঠিক পৃষ্ঠপোষকতা পেলে এ কাজ করে গ্রামীণ নারীরা নিজেদের ভাগ্য উন্নয়ন এবং গ্রামীণ অর্থনীতিতে অবদান রাখতে সক্ষম হবে।

 

 

#চলনবিলের আলো / আপন


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর