শনিবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:৪১ অপরাহ্ন

ই-পেপার

আটঘরিয়া পৌরসভা নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা জহুরুল হক জনপ্রিয়তার শীর্ষে

আটঘরিয়া (পাবনা) প্রতিনিধি ঃ
আপডেট সময়: বুধবার, ২৭ অক্টোবর, ২০২১, ৬:০৩ অপরাহ্ণ

আসন্ন আটঘরিয়া পৌরসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে জনবান্ধব ও মডেল পৌরসভা গড়ার প্রতিশ্রতিতে নৌকার মাঝি হয়ে আটঘরিয়া পৌরবাসিকে সেবা করতে চান উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কামান্ডার জহুরুল হক। তার জনপ্রিয়তা বর্তমানে সবার শীর্ষে রয়েছেন। আটঘরিয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধাদের দাবি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরতœ শেখ হাসিনা যেনো আগামী পৗরসভা নির্বাচনে মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার জহুরুল হককেই যেনো নৌকা প্রতিক দেওয়ার দাবি জানান।

জানা গেছে, মুজিব বাহিনী আঞ্চলিক কমান্ডার ও আটঘরিয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ড এবং উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য। কৃষ্টিয়াপাড়া গ্রামের মৃত-সৈয়দ আবু সাঈদ এর ছেলে। তিনি ঐতিহাসিক ৭ মার্চ সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহন করেছেন। ১৯৭১ সালে এপ্রিল মাসে ২য় সপ্তাহে গমন করে কেচুয়াডাঙ্গা উইয়থ ক্যাম্পে প্রাথমিক প্রশিক্ষণ গ্রহন করে পরে উচ্চতর প্রশিক্ষনের জন্য দেরাদুন প্রশিক্ষণ গ্রহন করেন।

তিনি ঐ সময়ে বঙ্গবন্ধুর পুত্র শেখ কামালের সাথে সাক্ষাৎ করেন। ৪১ দিন প্রশিক্ষকের পর ব্যাকপুর ক্যান্টনমেন্ট কোলকাতা পশ্চিম আঞ্চলিক নেতা তোফায়েল আহম্মেদের নিকট হতে অস্ত্র নিয়ে দেশে ফিরে আসেন। দেশে এসে ২২ অক্টোবর আটঘরিয়ায় যুকদেরকে সংঘঠিত করে বেরুয়ার গ্রামে পাক বাহিনীর সাথে সম্মুখ যুদ্ধ করেন। এই যুদ্ধে ২জন সহযোদ্ধা শহীদ হয়। ৬নভেম্বর বংশীপাড়া কালামনগর পাকহানাদার বাহিনীর সাথে সম্মুখ যুদ্ধে অংশ গ্রহন করেন। এসময় এই যুদ্ধে ১০জন সহযোদ্ধা শহীদ হন। গফুরাবাদ, উত্তরচক, আটঘরিয়া থানাসহ বিভিন্ন যুদ্ধ অংশ গ্রহন করেন। ১৯৭২ সালে ২৮শে জানুয়ারি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নিকট ঢাকা স্টেডিয়ামে অস্ত্র জমা দেন তিনি।

আরও জানা গেছে, ১৯৭৫ সালে ১৫ আগষ্ট সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও স্ব-পরিবারের সকল সদস্যদেরকে হত্যা করার পর ঘাতক জিয়াউর রহমানের সেনাবাহিনী তাকে আর্মি ক্যাম্পে ধরে নিয়ে ৭ দিন ৭ রাত ঝুলিয়ে রাখেন। বৈদ্যুতিক সর্ট দিয়ে তাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে অমানুষিক নিযার্তন চালায়। শারীরিক ভাবে অসুস্থ্য হয়ে যাওয়ার পরেও দুই মাস কারাগারে বন্ধি করে রাখা হয়। দুই মাস কারাগারে থাকার পর পাবনা কারাগার থেকে মুক্তি পাই।

মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার জহুরুল হক আরও জানান, আটঘরিয়া পৌরসভার সকল সামাজিক সাংস্কুতিক কর্মকান্ড ও উন্নয়নমুলক কর্মকান্ডের সাথে সব সময়ে নিজেকে জড়িয়ে রেখেছি। আপদে বিপদে মানুষের পাশে গিয়ে দাড়ায়, সহযোগিতা করা এটা বর্তমানে আমার নৈতিক দায়িত্ব। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে অনুপ্রানিত হয়ে তার স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়নে জননেত্রী দেশরতœ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালি করতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একজন নিবেদিত প্রাণ হিসেবে নিজেকে সবসময় নিয়োজিত রেখেছি।

বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী আশরাফ, সুলতান মাহমুদ, আব্দুস সাত্তার, আব্দুল বাতেন মুন্সি, আবুল হোসেন, আহসান আলী, আবুল কামেম মুন্সিসহ সকলেই জানান, দলীয় মনোনয়ন পেলে জয়ের ব্যপারে শতভাগ আশাবাদী সে, মুজিব আদর্শে দেশরতœ মমতাময়ী মা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং স্থানীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব নুরুজ্জামান বিশ্বাস এমপি হাতকে আরও বেশি শক্তিশালী করার লক্ষে আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে মনোনয়ন পেতে সকলের দোয়া, সমর্থন ও সহযোগিতা কামনা করছি। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অনুসারীরা সবাই চায় বীর মুক্দিযোদ্ধা জহুরুল হক মনোনয়ন দেওয়া হোক।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর