ও ভাইগো আমাগো হিরানন্দপুর গ্রামের রাস্তা-ডা কি পাঁকা হই-বো। ইলেংশন অ্যাইলে হগল চেয়ারম্যান ও মেম্বার ব্যাডারা ভোটের ল্যাইগা আইয়ে আমাগো ভোট দেবার কথা বলে। ইংলেকশনের পর তোমাগো এ-কাঁচা রাস্তা আর কাঁচা থাববো না পাঁকা কইরা দিমু। তাই রাস্তার দাবিতে আমাগো গ্রামবাসি হগষেই মিলে মানববন্ধন করছি। এভাবেই গ্রামের শতশত যুব ও বৃদ্ধ বয়সের মানুষগুলো আবেগে কথা গুলো বললেন। এমনি একটি গ্রামীণ কাঁচারাস্তা সন্ধান পাওয়া গেছে পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার হিরানন্দপুরে।
ডেঙ্গারগ্রাম ছকিরের বাড়ি হতে হিরানন্দপুর হয়ে আব্দুল ডাক্তারের বাড়ি পর্যন্ত দীর্ঘ ৪৫ বছর যাবত প্রায় দুই কিলোমিটার গ্রামীণ কাঁচা সড়কের বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। বর্ষা মৌসুমে এরাস্তা দিয়ে চলাচলে একেবারেই অনুপযোগি হয়েছে। উপজেলার একদন্ত ইউনিয়নের হিরানন্দপুর গ্রামের মানুষের মাত্র প্রায় দুই কিলোমিটার গ্রামীণ কাঁচা সড়কের কারণে বছরের পর বছর পড়ে থাকায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে তাদের। হিরানন্দপুর গ্রামের অন্যতন প্রাচীন এবং বৃহত্তম গ্রাম। গ্রামের চলাচলের প্রধান সড়কটির সঙ্গে কয়েকটি গ্রামের সংযোগ রয়েছে এবং সড়কটি কাঁচা। এই গ্রামের এই সড়ক দিয়ে যাওয়া আসা করতে গিয়ে বর্ষা মৌসুমে প্রতিদিনই গ্রামবাসিকে ফেলতে হয় দীর্ঘশাস। এই গ্রামের পাশে রয়েছে একটি কলেজ ও একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়। বিশাল জনগোষ্ঠীর চলাচলের জন্য সড়ক থাকলেও তা চলাচলের প্রায় অনুপযোগি।
ফজলু, শায়েজ উদ্দিন, রুবেল হোসেন সহ অনেকের সাথে কথা হলে তারা বলেন, একটু বৃষ্টি হলেই এই সড়ক দিয়ে চলাচল বিপজ্জনক হয়ে পড়ে। তবু প্রয়োজনের তাগিদে জীবনের ঝুকি নিয়ে এসড়ক দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে চরম ভোগান্তিতে প্রতিনিয়ত পড়তে হচ্ছে গ্রামবাসিকে। তাছাড়াও এই সড়ক দিয়ে গোরস্থানে লাশ দাফনের জন্য আনা বৃষ্টি দিনে বিপদের শেষ নেই। এই সড়কটুকু হলে আর ভোগান্তি থাকবে না। দীর্ঘ দিনের কষ্ট লাঘব হবে বলে তিনি কান্নজড়িত কন্ঠে বলে উঠেন। তারা আরও বলেন এরাস্তা দিয়ে হায়য়দারপুর, ডেঙ্গারগ্রাম, পয়দা,রহিমপুর, কামারগ্রাম,কুমিল্লা, গয়েশপুর গ্রামের মানুষ কাঁদা মাটির মধ্যে দিয়ে চলাচল করে আসছে।
একদন্ত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইসমাইল সরদার মানুষের দুর্ভোগের কথা স্বীকার করে বলেন, বৃষ্টি হলে কাঁচা সড়কটি চলাচলের অনুপযোগি হয়ে যায়। এই সড়ক সংস্কারের জন্য উপজেলা প্রকৌশলী কার্যালয়ে জানানো হয়েছে। গুরুত্বপূর্ন এই সড়কটি দ্রুত মেরামত করার দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসি।
হিরানন্দপুর গ্রামের ফজলু বলেন, এই রোডটি আজীবন আমরা কষ্ঠে আছি। রাস্তা খারাপের এই গ্রামের কৃষকরা মাটে থেকে ঠিকমত ফসল ঘরে তুলতে পারে না। কোন চেয়ারম্যান মেম্বার এরাস্তা দিকে কোন দিন ফিরে ফুসকি দেয় না। তাই আমি উপজেলা চেয়ারম্যান ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিনীত অনুরোধ আমাদের এই রাস্তাটি দ্রুত করে দেওয়া জোরদাবি জানাচ্ছি।
এই গ্রামের বাসিন্দা আহাজাহার আলী বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান তানভীর ইসলাম নির্বাচনের সময় এই রাস্তা পাকা করে দিবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। আমাদের অনুরোধ উপজেলা চেয়ারম্যান যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তা যেন দ্রুত বাস্তাবায়ন করেন।
#চলনবিলের আলো / আপন