সরকারী নির্দেশনা অনুযায়ি স্বাস্থ্যবিধি মেনে দীর্ঘ দেড় বছর পর রবিবার সকাল থেকেই শিক্ষার্থীদের পদচারনায় মুখর হয়ে উঠেছে বরিশালের আগৈলঝাড়ার ১৩৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এর আগে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্লাশ রুম, প্রতিষ্ঠান চত্তরসহ বিদ্যালয়ের সার্বিক পরিবেশ পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করে পাঠদানের উপযোগী করে তোলা হয়েছে প্রতিষ্ঠানগুলো।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাঠ দানের পরিবেশ ও শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি মোকাবেলায় প্রতিষ্টানগুলোর গ্রহন করা পদক্ষেপ দেখতে রবিবার সকালে উপজেলার ভেগাই হালদার পাবলিক একাডেমী, উপজেলা সদর প্রাথমিক বিদ্যালয়, গৈলা সরকারী মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্টান পরিদর্শন করেছেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রইচ সেরনিয়াবাত, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আবুল হাশেম, শিক্ষা অফিসার নিখিল রঞ্জণ অধিকারী, মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপিত ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সুনীল কুমার বাড়ৈসহ শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তাগন।
সংশ্লিষ্ঠ শিক্ষা অফিস সূত্র মতে, রবিবার উপজেলার ৯৭টি সরকারী ও বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৩৪টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ২টি কলেজ ও ৬টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় এ্যান্ড কলেজসহ মোট ১৩৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একযোগে খুলে দেয়া হয়েছে।
মহামারী করোনার কারণে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ঝুঁকির নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে সরকারী ঘোষণায় দীর্ঘ দেড় বছর স্কুল কলেজ বন্ধ রাখা হয়। দেড় বছর পরে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে ক্লাশ করতে পেরে খুশি শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা।
সকাল থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষার্থীদের প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করাতে বাধ্য করাচ্ছেন শিক্ষকেরা। কোন কোন প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের তাপমাত্রা পর্যন্ত মেপে প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে। ক্লাশ রুমেও মানা হয়েছে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি। কঠোর বিধি নিষেধের মধ্য দিয়ে দেড় বছর পরে শিক্ষার্থীরা রবিবার প্রথম ক্লাশ শুরু করলেও কতদিন প্রতিষ্ঠানগুলো এভাবে দায়িত্ব নিয়ে স্বাস্থ্যবিধি বলবৎ রাখতে পারবেন সেটা নিয়ে শংসয় প্রকাশ করেছেন অভিভবকেরা। প্রথম দিনের মতো তাদের সন্তানদের জন্য অব্যাহত স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহন করা ও মনিটরিং এর জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান ও স্থানীয় প্রশাসনের কাছে আহ্বান জানান তারা।
#চলনবিলের আলো / আপন