বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:১৯ অপরাহ্ন

ই-পেপার

৩৩৩ নম্বরে কল করে বড়াইগ্রামে এক দিনে ৮০ জন খাদ্যসহায়তা পেলেন

সুজন কুমার,নাটোর প্রতিনিধি:
আপডেট সময়: বৃহস্পতিবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ৫:২০ অপরাহ্ণ

নাটোরের বড়াইগ্রামে ৩৩৩ নম্বরে ফোন দিয়ে একদিনে ৮০ জন খাদ্যসহায়তা পেয়েছেন।বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা পরিষদ চত্বরে এই খাদ্যসহায়তা দেওয়া হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে খাদ্যসহায়তা প্রদান করেন। উপজেলায় মোট চার শতাধীক পরিবার এই খাদ্য সহায়তার আওতায় এসেছে।

উপজেলার পিঙ্গইন গ্রামের নাছিমা বেগম বলেন, ছেলে-মেয়েরা বারবার খাবারের বায়না করার পরেও খাবার দিতে পারছিলাম না। কিভাবে দেব ঘরে তো খাবার নেই। অসুস্থ স্বামী শয্যাশায়ী। পরিশোধ করতে পারবনা ভয়ে প্রতিবেশীরা ধারদেনা দেয়না। তাই কারও কাছে ধার চাওয়ার সাহস পাচ্ছিলাম না। হঠাৎ ছোট ছেলে আলীম বলল “মা টিভিতে বলছিল ৩৩৩ নম্বরে ফোন করলে সরকার খাবার দেয়।” ছেলের কথামতো ফোন দিছিলাম। তারা দুদিন পর খাবার দেওয়ার কথা জানাল। প্রতিবেশীকে বুঝিয়ে তিন কেজি চাল নিলাম দুদিন পর পরিশোধ করার শর্তে। আজ ইউএনও অফিস থ্যাকি সেই খাবার পানু। ধার শোধ করে হয়তো আরও কয়েক দিন ক্ষুধার যন্ত্রণা থেকে বাঁচা যাবি।’ তাঁর মতো ৮০ দুস্থ মা আজ ৩৩৩ নম্বরে ফোন করে সরকারি খাদ্যসহায়তা পেয়েছেন।

পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে খাদ্যসহায়তা পাওয়া আরো সাত ব্যক্তি জানান, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে সহায়তা চাইলে তাঁরা নানা অছিলায় ফিরিয়ে দেন। আবার যাতায়াত খরচ হাতে না থাকায় উপজেলা পরিষদে যেতে পারেন না। বাড়িতে বসে শুধু ফোন করে এভাবে খাদ্যসহায়তা পেয়ে তাঁরা অভিভূত হয়েছেন।

ইউএনও জাহাঙ্গীর আলম বলেন, প্রতিদিনই ৩৩৩ নম্বরে ফোন করে খাদ্যসহায়তা পাওয়ার জন্য জানায়। আমি আইসিটি বিভাগে সহকারী প্রোগ্রামারকে প্রধান করে চার সদস্যের কমিটি গঠন করে দিয়েছি। ফোন করা ব্যাক্তিদের যাচাই বাছাই করে প্রধানমন্ত্রীর ত্রান তহবীল থেকে খাদ্য সহায়তা তুলে দেওয়া হয়।

তিনি আরো জানান, যাচাই বাছাই শেষে প্রতিদিন ২০ থেকে ২৫ জন খাদ্য সহায়তা চান। আজ একদিনেই ৮০জনকে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।

 

 

#চলনবিলের আলো / আপন


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর