আম প্রকৃতিজাত। এটা শরীর, ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্যে যথেষ্ট ভূমিকা রাখে। রোগ প্রতিরোধ ও হজম ক্ষমতা বাড়ায়। গ্রীষ্মকালে যেহেতু এ ফল সহজলভ্য, সেহেতু এখনই এটি খাওয়া উত্তম।
আম সম্পর্কে রয়েছে প্রচুর ভুল ধারণা। অনেকে মনে করেন, আম খেলে ওজন বাড়ে। একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এটা ভুল ধারণা। আম ওজন বাড়ায় না। এটি অন্য অনেক ফলের মতো পুষ্টিকর, আঁশ, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও মিনারেলযুক্ত ফল। সঠিক নিয়মে খেলে এটি কখনোই ওজন বাড়ায় না।
তবে আম কখনো দুপুর কিংবা রাতের খাবারের সঙ্গে খাওয়া উচিত নয়। বরং সকালের মধ্যভাগে কিংবা সন্ধ্যায় হিসেবে এটি খাওয়া যেতে পারে। আম কেটে বা কিউব করে খাওয়া উচিত, জুস করে নয়। জুস করে খেলে আঁশ চলে যায়। আর কে না জানে, আঁশ স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
আম আরও কয়েকটি উপায়ে খাওয়া যায়-
আমের ঠাণ্ডাই
আমের ঠাণ্ডাই তৈরি করতে প্রথমে দুধ জ্বাল দিতে হবে ভালোমতো। আমের খোসা ছাড়িয়ে টুকরো টুকরো করে কেটে, তাতে চিনি ও জাফরান মিশিয়ে ব্লেন্ড করে নিতে হবে একসঙ্গে। ফ্রিজে রেখে ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা পরিবেশন করুন আমের ঠাণ্ডাই।
আমের মিল্ক শেক
প্রথমে আম ভালো করে ধুয়ে নিয়ে ছোট ছোট টুকরো করতে হবে। এতে ঠাণ্ডা পানি, মধু ও আইসক্রিম মিশিয়ে ব্লেন্ড করলেই তৈরি হয়ে যাবে পাকা আমের মিল্ক শেক।
পাকা আমের জুস
ঠাণ্ডা পানিতে হাফ কেজির মতো টুকরো করা আম, পরিমাণমতো চিনি ও বিট লবণ দিয়ে ব্লেন্ড করলেই তৈরি হয়ে যাবে পাকা আমের জুস। আমের জুসে অল্প বরফ মিশিয়ে খেলে স্বাদ আরও বেড়ে যাবে।
কাঁচা ও পাকা আমের জুস
খোসা ছাড়ানো কাঁচা ও পাকা আম টুকরো করে কেটে একসঙ্গে সিদ্ধ করে নিয়ে তাতে মিছরি গুঁড়ো দিয়ে তা ভালো করে ফুটিয়ে নিতে হবে। এর পর সেটি ছেঁকে নিলেই তৈরি হবে কাঁচা ও পাকা আমের জুস।
আমের মালপোয়া
আমাদের দেশে মালপোয়া অনেক জনপ্রিয় একটি পিঠা। অনেকেই বাসায় মালপোয়া তৈরি করে থাকেন। সেই মালপোয়াতে যদি আমের ফ্লেভার দেওয়া হয়, তা হলে তো কোনো কথাই নেই। এটি বানাতে প্রথমে চিনি আর পানি দিয়ে কম আঁচে চিনির রস তৈরি করে নিতে হবে। তার পর তাতে এক চা চামচ দুধ গুঁড়ো দুধ মেশাতে হবে। এর পর একটি শুকনা পাত্রে সুজি, ময়দা, খোয়া ক্ষীর, মৌরি, ছোট এলাচের গুঁড়ো, দুধ ভালো করে মিশিয়ে একটা ব্যাটার বানিয়ে নিতে হবে এমনভাবে যেন তা মালপোয়া বানানোর মতো উপযোগী হয়। একটি কড়ায়ে ঘি মেশানো তেলে ভেজে আগে থেকে বানানো রসে ডোবালেই তৈরি হবে আমের মালপোয়া।
#চলনবিলের আলো / আপন