#চলনবিল_বিধৌত_বড়ালকুলের_কবি_ও_সাহিত্যিক_যারা
আজকে তুলে ধরবো চলনবিল অঞ্চলের #ফরিদপুর_উপজেলার কবি ও সাহিত্যিক গনের মধ্য থেকে কবি ও কথাসাহিত্যিক নূরুল ইসলাম বাবুলের পরিচিতি।
#নূরুল_ইসলাম_বাবুলঃ কবি ও কথাসাহিত্যিক নুরুল ইসলাম বাবুল এ সময়ের একজন পরিচিত শিশুসাহিত্যিক। শুধু এ অঞ্চলে নয়, পুরো দেশব্যাপীই ছড়িয়ে আছে তাঁর নাম। তিনি পাবনা জেলার ফরিদপুর উপজেলার পাথার অঞ্চলের বিলচান্দক গ্রামের মানুষ। এখানেই তাঁর জন্ম ও বেড়ে ওঠা। লেখাপড়ার সুবাধে কিছুদিন অন্যত্র অবস্থান করলেও তিনি এখন স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন পাথারের মাটিতেই। পিতা আব্দুল করিম সরকার ও মাতা সুফিয়া খাতুনের চার ছেলেমেয়ের মধ্যে তিনি বড় সন্তান। বাবার লিখে রাখা নোটবুক অনুযায়ী জন্ম তারিখ ২৯ শ্রাবণ ১৩৮৩ বঙ্গাব্দ (১৪ আগস্ট ১৯৭৬ খ্রিস্টাব্দ)। লেখাপড়া শেষ করেন বাংলাসাহিত্য নিয়ে। বর্তমানে বিলচান্দক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে কাজ করছেন। তিনি লেখালেখি শুরু করেন কবিতা দিয়েই। শিক্ষকতা পেশার সাথে জড়িত হয়ে কোমলমতি শিশুদের চঞ্চলতা, হাসি-কান্নাসহ দৈনন্দিন কিছু ঘটনা তাঁকে আলোড়িত করে, আন্দোলিত করে। তখন তিনি মনে-প্রাণে হয়ে ওঠেন শিশুসাহিত্যিক। ছোটদের জন্য ছড়া, কবিতা, গল্প, উপন্যাস লিখেছেন শিশু, নবারুণ, ধানশালিকের দেশসহ বিভিন্ন শিশুতোষ সাময়িকী ও দৈনিক পত্রিকার ছোটদের পাতায়। ২০২০ বইমেলা পর্যন্ত তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থসংখ্যা এগারোটি, যার মধ্যে দশটি গ্রন্থই শিশু-কিশোরদের জন্য লেখা। একটিমাত্র কবিতার বই। এছাড়াও তিনি শিশু-কিশোর সাহিত্য পত্রিকা ‘হইচই’ এবং লেখালেখির কাগজ ‘পাথার’ সম্পাদনা ও প্রকাশনার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন নিরলসভাবে। আমরা এখানে নুরুল ইসলাম বাবুলের গ্রন্থগুলো সম্পর্কে জানব। তাঁর প্রকাশিত কাব্যগন্থ: আমার প্রথম (২০০৩), প্রকাশনায়: বগুড়া লেখক চক্র। শিশুতোষ দশটি গ্রন্থের মধ্যে ৩টি গল্পগ্রন্থ, ৬টি শিশু-কিশোর উপন্যাস এবং ১টি রয়েছে ছড়ার বই। জেনে নেওয়া যাক বইগুলোর নাম, প্রকাশকাল ও প্রকাশনা সংস্থার নাম-ঠিকানা। সেগুলো হলো: শিশু-কিশোর গল্পগ্রন্থ:- ‘স্কুলে টিফিন হলে’ (২০০৯), বিলচান্দক উদ্যোগ পাঠকেন্দ্র, বিলচান্দক, ফরিদপুর, পাবনা; ‘বুড়ো বটগাছ ভূত ও ক্ষুদে গোয়েন্দারা’ (২০১৩), মহিয়সী প্রকাশ, পাবনা; ও ‘ব্যাঙরাজার বন্ধু’ (২০১৯), চন্দ্রবিন্দু প্রকাশন, চট্টগ্রাম। শিশু-কিশোর উপন্যাস:- ‘জলপরি, স্থলপরি ও আকাশপরির গল্প’ (২০১১), বিজয় প্রকাশ, বাংলাবাজার, ঢাকা; ‘স্কুল ছুটির দিনে’ (২০১২) বিজয় প্রকাশ, বাংলাবাজার, ঢাকা; ‘বোবা গুপ্তচর’ (২০১৫) , মনন প্রকাশ, বাংলাবাজার, ঢাকা; ‘একটি সোনালি ভোরের অপেক্ষায়’ (২০১৮), বেহুলাবাংলা, বাংলাবাজার, ঢাকা; ‘রাতে রাতে ভূত আসে’ (২০১৮), টাপুর-টুপুর, বাংলাবাজার, ঢাকা; রাসেলের বাবা (২০২০), টাপুরটুপুর, বাংলাবাজার, ঢাকা। শিশুতোষ ছড়াগ্রন্থ:- ‘মেঘের মেয়ে মেঘকুমারী’ (২০১৬) ঝিঙেফুল, বাংলাবাজার, ঢাকা।
নুরুল ইসলাম বাবুল যেখানটায় বসবাস করেন ভৌগলিকভাবে তা দেশের প্রত্যন্ত এলাকা। যেখানে প্রবাদ আছে ‘ছমাস জলে কষ্ট, ছমাস জলের কষ্ট’। যদিও ডিজিটাল যুগে দূরত্ব কোন প্রতিবন্ধকতা নয়, তবুও সাহিত্যের জাতীয় ধারার সাথে নিজেকে সম্পৃক্ত রাখতে রাজধানীর সাথে যোগাযোগ আবশ্যক। শত প্রতিকূলতা ডিঙিয়ে নুরুল ইসলাম বাবুল তা করে যাচ্ছেন বলেই তিনি শুধু ফরিপুর,পাবনার নয়; তিনি আমাদের বাংলাদেশের, বাংলাসাহিত্যের সম্ভাবনাময় কবি ও শিশুসাহিত্যিক। তাঁর এই পথচলা সফল হোক।
- #তথ্য_সংগ্রহঃ চলনবিলের কিংবদন্তি, চলনবিলের গুণীজন,সাহিত্য কাগজ ভাঙন।
- #আয়োজকঃ চলনবিল সাহিত্য সংসদ।
- #প্রকাশনা_অনলাইন_মিডিয়া: ” নৈতিক ভাঙ্গুড়া” এবং” দৈনিক চলনবিলের কথা” ।
#আগামীকাল_প্রকাশিত_হবে- #
কবি_ও_কথাসাহিত্যিক_হাসিনা_বেগমের জীবন বৃত্তান্ত।
চলনবিলের আলো, এলাকার এই পত্রিকার জন সতত শুভকামনা রইলো!
সেইসাথে, আমার পরম শ্রদ্ধেয় বড়ভাই, মোঃ নুরুল ইসলাম বাবুল ও তাঁর সৃষ্টিকে তুলে ধরার জন্য, চলনবিলের আলোকে আবারও ধন্যবাদ!
চলনবিলের আলো, শুভ হোক তোমার পথ চলা.. আজ হতে অনন্তকাল! ধন্যবাদ অফুরান!
ধন্যবাদ