ভারতজুড়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঘোষিত চার দিনের ‘টিকা উৎসব’ রোববার থেকে শুরু হয়েছে। অথচ দেশটির অনেক রাজ্য টিকা ঘাটতির কথা জানাচ্ছে। বন্ধ হয়ে গেছে অনেক রাজ্যে করোনার টিকাদান কেন্দ্রও।
ভারতে করোনায় সবচেয়ে বিপর্যস্ত রাজ্য মহারাষ্ট্র ছাড়াও পাঞ্জাব, দিল্লি ও রাজস্থানের রাজ্য সরকার জানিয়েছে, তারা এখন টিকা সরবরাহের ঘাটতিতে ভুগছে। যেসব টিকা মজুদ ছিল তা ইতোমধ্যে দেওয়া হয়েছে মানুষকে।
পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং বলেছেন, তার রাজ্যে এখন টিকার যে মজুত রয়েছে তা দিয়ে আর মাত্র পাঁচদিন টিকা দেওয়া যাবে।
এদিকে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলোট জানিয়েছেন, তার রাজ্যে এখন যে টিকা রয়েছে তা দিয়ে আর মাত্র দুদিন টিকাদান কর্মসূচি চালানো সম্ভব।
ভারতের জাতীয় রাজধানী অঞ্চল দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেছেন, তাদের কাছে এখন করোনার যত ডোজ টিকার মজুত রয়েছে তা দিয়ে আগামী সাত থেকে দশ দিন মানুষকে টিকা দেওয়া যাবে।
দিল্লিতে ক্ষমতাসীন আম আদমি পার্টির নেতা রাঘব চাধা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি দিয়ে জরুরি টিকা সরবরাহ করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, অনেক রাজ্যে টিকার মজুত ফুরিয়ে গেছে আর বাকি রাজ্যগুলোর কাছে যে টিকার মজুত রয়েছে তা দিয়ে হয়তো তিন থেকে চারদিন মানুষকে টিকা দেওয়া যাবে।
অবশ্য ভারতে এ পর্যন্ত দশ কোটি মানুষ করোনার টিকা নিয়েছেন। এর মধ্যে ৬০ দশমিক ৬২ শতাংশ ডোজ দেওয়া হয়েছে মহারাষ্ট্র, রাজস্থান, গুজরাট, উত্তরপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, মধ্যপ্রদেশ ও কেরালা— এই আট রাজ্যে।
গত বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি টিকা উৎসবের ঘোষণা দিয়ে বলেন, ‘আমাদের যথাসম্ভব যোগ্য সবাইকে টিকা দেওয়া উচিত এবং টিকার অপচয় শূন্যে নামিয়ে আনার লক্ষ্য নেওয়া উচিত।’
ভারতে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত শনাক্ত হওয়া মহারাষ্ট্র রাজ্যের সরকার গত মঙ্গলবার জানিয়েছে যে তাদের হাতে থাকা টিকার মজুত শেষ হয়ে যাচ্ছে। জনগোষ্ঠীর বিবেচনায় সপ্তাহে ৪০ লাখ টিকার চাহিদা দিয়েছে রাজ্যটি।
টিকার ঘাটতি দেখা দেওয়ায় গত সপ্তাহে প্রাদেশিক রাজধানী মুম্বাই ছাড়াও সাতারা, পানভাল এবং অন্যান শহরে ৭১টি টিকাদান কেন্দ্র সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয় মহারাষ্ট্র সরকার। এ নিয়ে রাজ্যটিতে বিক্ষোভও হয়েছিল।
#CBALO/আপন ইসলাম