বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বাংলাদেশিদের শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন। তিনি বলেন, ‘গতকাল আমরা ব্রিটেনের রানী এলিজাবেথের কাছ থেকে শুভেচ্ছা বার্তা পেয়েছি। আজ রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের মেসেজ পেলাম। ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত জানিয়েছেন, তাদের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মেসেজ অন দ্য ওয়ে। আমরা সেগুলো জাতির সামনে তুলে ধরব।’ এর আগে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বাংলাদেশকে শুভেচ্ছা জানিয়ে ভিডিও বার্তা দেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইউশিহিদে সুগা, রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ, ওআইসির মহাসচিব ইউসুফ বিন আহমেদ আল ওথাইমিন, ফরাসি সিনেটর জ্যাকি দেরোমেদি ও জর্ডানের বাদশা দ্বিতীয় আবদুল্লাহ। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা খুব ভাগ্যবান বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের সুযোগ পেয়েছি। যেসব অতিথি কোভিড-১৯-এর কারণে আসতে পারেননি, তারা আমাদের শুভেচ্ছাবার্তা পাঠিয়েছেন। আমরা অনেক মেসেজ পেয়েছি। জার্মানির প্রেসিডেন্ট লিখেছেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্র প্রাণবন্ত, শান্তিকেন্দ্রিক বাংলাদেশের বিদেশ নীতি সবার কাছে মডেল।’ এসব শুভেচ্ছা বার্তা বাংলাদেশের সঙ্গে বিভিন্ন দেশের সম্পর্কের শক্তিশালী নিদর্শন উল্লেখ করে ড. মোমেন বলেন, ‘পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যোগাযোগ করে এ বিশেষ সময়ে যাদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক অধিকতর শক্তিশালী তাদের কাছ থেকে এসব বার্তা আনার ব্যবস্থা নিয়েছে। বিভিন্ন দেশের সরকারপ্রধান, রাষ্ট্রপ্রধানদের আমাদের প্রতি ভালোবাসার নিদর্শন এসব বার্তা।’ আগামী ২৬ তারিখই শেষ হচ্ছে জন্মশতবার্ষিকী ও সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠান। যেসব বার্তা পাওয়া যাচ্ছে সেগুলো অনুষ্ঠানে প্রকাশ করা হবে কিনা এমন প্রশ্নে ড. মোমেন বলেন, ‘আমাদের কাছে অনেক বার্তা এসেছে। ২৬ তারিখের মধ্যে আমরা এগুলো প্রকাশ করব। অনেকগুলো আমরা ইতোমধ্যে প্রকাশ করেছি। সময় খুব কম, যে হারে মেসেজ আসছে জানি না শেষ পর্যন্ত কী করতে পারি।’
#CBALO/আপন ইসলাম