পাবনার ভাঙ্গুড়ায় বীরমুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোরশেদ খন্দকার ওরোফে আলো’র রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন হয়েছে। ইউএনও সৈয়দ আশরাফুজ্জামান এর নেতৃত্বে ভাঙ্গুড়া থানা পুলিশ শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১ টার দিকে পৌর সদরের শরৎনগর সিনিয়র ফাযিল মাদ্রাসা মাঠে তাঁকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। তিনি দিলপাশার ইউনিয়নের পাছপাটুল গ্রামের মৃত কুদরত খন্দকার এর ছেলে। তাঁর মৃত্যুতে স্থানীয় সাংসদ আলহাজ্ব মো. মকবুল হোসেন, উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব বাকী বিল্লাহ ও পৌর মেয়র গোলাম হাসনাইন রাসেল গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
জানা গেছে, বীর মু্িক্তযোদ্ধা গোলাম মোরশেদ খন্দকার দিলপাশার ইউনিয়নের পাছপাটুল গ্রামের বাসিন্দা হলেও তিনি পৌর সদরের বড়ালব্রীজ এলাকার রেলা পড়াতে বসবাস করতেন। তিনি বার্ধক্যজনিত কারণে পৌর সদরের বড়ালব্রীজ এলাকার রেলপাড়া বাসভবনে শুক্রবার রাত ৩টার দিকে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর। পরের দিন বেলা ১১টার দিকে শরৎনগর সিনিয়র ফাযিল মাদ্রাসা মাঠ চত্বরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দ আশরাফুজ্জামান এর নেতৃত্বে ভাঙ্গুড়া থানা পুলিশের একটি চৌকশ দল তাঁকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন।
এসময় উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা মো. মোকছেদুর রহমান, ভাঙ্গুড়া থানার ওসি(তদন্ত) ও উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। পরে তাঁর জানাযা শেষে পাছপাটুল গ্রামের কবর স্থানে তাঁর দফন সম্পন্ন হয়। তিনি চার মেয়ে ও দুই সন্তানের জনক ছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে এলাকার মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তাঁর মৃত্যুতে স্থানীয় সাংসদ ও ভুমি মন্ত্রালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব মো. মকবুল হোসেন, উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো. বাকী বিল্লাহ ও পৌর মেয়র গোলাম হাসনাইন রাসেল গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা মো. মোকছেদুর রহমান বলেন,গোলাম মোরশেদ খন্দকার ওরোফে আলো একজন গোজেটধারী লালমুক্তি বার্তার তালিকাভুক্ত মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন।
CBALO/আপন ইসলাম