আশরাফুল আলম পেশায় মানুষ গড়ার কারিগর একজন কলেজ শিক্ষক । শরীরে বাসা বেঁধেছে এক মরনব্যাধি ৷ এখন মুমূর্ষু অবস্থায় ব্লাড ক্যান্সার ও রক্তরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডাঃ আলমগীর কবির এর তত্বাবধানে ইবনে সিনা ধানমন্ডি, ঢাকা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। চিকিৎসকরা বলেছেন, ইবনে সিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আশরাফের চিকিৎসা সম্ভব না। তাকে বাঁচাতে দ্রুত বোনমেরু ট্রান্সপ্লান্ট করা প্রয়োজন ৷
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভার প্রধানপাড়ার মৃত আব্দুস সাত্তারের ছেলে আশরাফুল আলম ৷ ১৯৮৫ ব্যাচে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শেষে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণিতে সম্মানসহ স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেন ৷ ছাত্রজীবনে ছিলেন একজন মেধাবী ছাত্র ৷ কর্মজীবনে নাকাইহাট ডিগ্রী কলেজের গণিত বিভাগের প্রভাষক আশরাফুল আলম আজ জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষনে ৷ তিনি এ্যাপলাস্টিক এ্যানিমিয়া নামক মরনব্যাধিতে আক্রান্ত যার চিকিৎসা একমাত্র বোনমেরু ট্রান্সপ্লান্ট করা ৷
মধ্যবিত্ত ঘরের সুখী পরিবার ছিলো শিক্ষক আশরাফের ৷ স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে তার সুখের ঘরে আচমকা নিয়তির এক ঝড় এসে সব ভেঙ্গে চুরমার করে দেয় ৷ বছর দুয়েক আগে বড় ছেলে সড়ক দূর্ঘটনায় মারা যায় ৷ সেই শোক কাটতে না কাটতেই নিজের শরীরেও মরনব্যাধি বাসা বেঁধেছে ৷
আশরাফের স্ত্রী লিজা আক্তার বলেন, একদিকে বড় ছেলে সড়ক দূর্ঘটনায় মারা গেল সেই শোক কাটতে না কাটতেই দুবছরের ব্যবধানে সংসারের অভিভাবক আমার স্বামী গুরুতর অসুস্থ । তিনি বড় ছেলের মৃত্যুর পর থেকেই হঠাৎ অসুস্থ্য হয়ে পড়েন ৷ ক্লিনিক্যাল ডায়াগনোসিসে শরীরে ধরা পড়লো মরনব্যাধি ৷ দীর্ঘদিন এ জটিল (এ্যাপলাস্টিক এ্যানিমিয়া) বোনমেরুর রোগে ভুগছেন তিনি এবং দিন দিন পরিস্থিতি অবনতিই হচ্ছে। আমি সাধ্যমতো চিকিৎসা চালিয়ে এসেছি কিন্তুু এতো টাকা যোগান দেয়ার মতো আর্থিক স্বচ্ছলতা তো নেই ৷ একদিকে সংসার অন্যদিকে চিকিৎসার এ বিশাল ব্যায়ভার বহন কল্পনা করাই কষ্টসাধ্য হয়েছে ৷ ইতিমধ্যেই তার চিকিৎসার জন্য যা কিছু সহায় সম্বল ছিলো তা শেষ হবার পথে ৷
আগে তার শরীরের কোন সমস্যাই ছিল না, বর্তমানে তার বোনমেরু প্রায় ৭০ ভাগ অকেজো কোন কাজই করছে না । প্রতিদিন রক্তদাতা সংগ্রহ বা ব্লাড ব্যাংক থেকে রক্ত কিনে তার শরীর বাঁচিয়ে রাখতে হচ্ছে ৷ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রক্তে প্লাটিলেট বা অণুচক্রিকার স্বাভাবিক মাত্রা দেড় লাখ থেকে সাড়ে চার লাখ প্রয়োজন হয় সেখানে তার রক্তে মাত্র ১০ হাজার প্লাটিলেট বা এর কমবেশি উঠানামা করছে ৷ হাটাচলা করতেই সমস্যা হয়৷ রক্তে প্লাটিলেট কম থাকায় একটুতেই তার নাক মুখ দিয়ে রক্ত আসতে থাকে । এখনই উন্নত চিকিৎসা তথা বোনমেরু ট্রান্সপ্লান্টের জন্য ভারতে নেয়া প্রয়োজন শিক্ষক আশরাফকে। চিকিৎসার জন্য প্রায় ৫০ থেকে ৬০ লাখ টাকার প্রয়োজন।
প্রভাষক আশরাফের স্ত্রী স্বামীর জীবন বাঁচাতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সহ দেশ ও সমাজের সকল শ্রেণী পেশার মানুষের কাছে সাধ্যমতো আর্থিক সহায়তা কামনা করেছেন।
চিকিৎসার্থে সহায়তা পাঠানো যাবে-
ডাচ বাংলা ব্যাংক লিমিটেডের এই হিসাব নম্বরে: ৭০১৭-৩১৩১-২৩২৩২ মোহাম্মদপুর শাখা, ঢাকা, বাংলাদেশ। যোগাযোগ করতে পারেন ০১৭১৯৯৪৬৬৬৮, ০১৭৯৭৬৬৮৯৬৮ এই নম্বরে।
CBALO/আপন ইসলাম