রবিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫, ১০:১৫ অপরাহ্ন

ই-পেপার

শিরোনাম :
শিরোনাম :
কক্সবাজার সদর উপজেলা জাসাস এর পরিচিতি সভা, জাসাস বিএনপি গোলাপ ফুল বললেন প্রধান অতিথি বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারী ফোরামের নির্বাহী মহাসচিব নির্বাচিত হলেন আনোয়ার হোসেন মানিকগঞ্জ ১ আসনে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থীর মোটরসাইকেল শোডাউন নাটোর ইমার্জিং কাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনালে চ্যাম্পিয়ন নাটোর রেড টিম আটোয়ারীতে ‘মানিকপীর সোনালী কিন্ডার গার্টেন’-এর কৃতি শিক্ষার্থীদের মাঝে বৃত্তি ও সনদ বিতরণ আলীকদমে মাতামুুহুরী নদীতে পড়ে বৃদ্ধের মৃত্যু ভৈরব নদীতে নৌকা বাইচে উৎসবের জোয়ার, দর্শনার্থীর ঢল সাপাহারে ন্যাশনাল লাইফ ইনস্যুরেন্স জনবীমী’র পিঠা ও আনন্দ উৎসব 

জামালপুর পল্লীবিদ্যুৎ অফিসের এজিএম মাকসুদের বিরুদ্ধে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ

কামরুজ্জামান কানু,জামালপুর: 
আপডেট সময়: শুক্রবার, ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ৬:৪৫ অপরাহ্ণ

জামালপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এজিএম প্রকৌশলী কেএম মাকসুদুর রহমানের বিরুদ্ধে ঘুষ- বাণিজ্যের মহোৎসব চালানো অভিযোগ উঠেছে।
জানাগেছে,জামালপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির দুর্নীতিবাজ ও ঘুষ বাণিজ্যের কর্মকর্তা প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার এজিএম কেএম মাকসুদুর রহমানের বিরুদ্ধে সরকারী সেচ ও শিল্প লাইন ৭-দিনের মধ্যে ফ্রী সংযোগের নামে প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার কেএম মাকসুদুর রহমান লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
গত বছর মিনি লাইসেন্সের জন্য প্রায় শতাধিক আবেদন জমা হয়। এর মধ্যে ১৫টি লাইসেন্স এনলিস্টেট করা হয়। তার মধ্যে ১/৩ টি ব্লাকলিস্টেট ও আরইবি তে কাজ চলমান থাকা সত্ত্বেও নিয়ম বহির্ভূতভাবে অর্থের বিনিময়ে স্থায়ী করন করা হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে ১৫টি লাইসেন্স বাবদ মাকসুদুর রহমান প্রায় ২০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।

এছাড়াও মাকসুদুর রহমানের বিরুদ্ধে সাধারণ বিদ্যুৎ গ্রাহকদের সাথে খারাপ আচরণ সহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। সাম্প্রতিক ঘুষ বাণিজ্য ও দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার এজিএম কেএম মাকসুদুর রহমানের সাথে সাধারণ বিদ্যুৎ গ্রাহক সহ স্থানীয় এলাকার লোকজনের সাথে দফায় দফায় লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। বর্তমানে তিনি সাধারণ বিদ্যুৎ গ্রাহকদের মাঝে এখন ঘুষ বাণিজ্যের অফিসার হিসেবে খ্যাতি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন। জামালপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সাধারণ গ্রাহকগণ এই অসাধু রাঘববোয়াল অফিসারের বিরুদ্ধে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে বিচার দাবি করেছেন।

এ বিষয়ে জামালপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজারের সাথে কথা হলে তিনি জানান,আমি তার বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেব।
প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার কেএম মাকসুদুর রহমানের কারনে আজ জামালপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে। একটি সূত্র জানিয়েছেন তিনি তার নিজ এলাকায় জামাত শিবিরের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। তাই তিনি জামাতের রাজনীতির দোহাই দিয়ে দাপটের মধ্যে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে কিভাবে চাকরি করেন এটা সাধারন বিদ্যুৎ গ্রাহকদের বোধগম্য হয়। সূত্রটি আরও জানিয়েছেন জামালপুর পল্লী সমিতির ইঞ্জিনিয়ার সেকশন বিভাগটি তার পারিবারিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলেছেন।এ বিষয়ে প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার কেএম মাকসুদুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান,আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সঠিক নয়।

এ বিষয়ে কয়েকজন ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন, প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার এজিএম কেএম মাকসুদুর রহমানের ঘুস বাণিজ্যের অভিযোগ আমরা জেনারেল ম্যানেজারকে অবহিত করলেও এখন পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। একটি সূত্র জানিয়েছেন ইঞ্জিনিয়ার প্রকৌশলী কেএম মাকসুদুর রহমান বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড ঢাকার নির্বাহী পরিচালক মোঃ মতিউর রহমানের দোহাই দিয়ে অবাধে ঘুষ বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন।

সূত্রটি আরও জানিয়েছেন জামালপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার মোঃ আলমগীর হোসেন প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার কেএম মাকসুদুর রহমানের নিকট জিম্মি হয়ে পড়েছেন । দুর্নীতিবাজ প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার এজিএম কেএম মাকসুদুর রহমানের বিরুদ্ধে সুষ্ঠু তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন সাধারণ বিদ্যুৎ গ্রাহকরা। জামালপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির
প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার এজিএম কেএম মাকসুদুর রহমান নাকি এর আগের জেনারেল ম্যানেজার পানাউল্লাহ’র সময়ে তার নিকট ছুটি চেয়েছিল তিনি তাকে ছুটি দেননি বিধায় পানাউল্লাহ কে দুই দিনের মধ্যে বদলি করে দিয়েছে বলে দাবী করেন তিনি। দুর্নীতিবাজ প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার এজিএম কেএম মাকসুদুর রহমান গত রবিবার পল্লী বিদ্যুৎ অফিস সংলগ্ন হাবিবের হোটেলে স্থানীয় লোকজনের সামনে তিনি হুমকি-ধমকি দিয়ে বলেন আমাকে বদলি করার মতো কারো ক্ষমতা নেই। আমার ইচ্ছায় যে পর্যন্ত বদলি না হবো এবং বর্তমান জেনারেল ম্যানেজার আমাকে বদলি করার ক্ষমতা নেই। আমার কথায় জেনারেল ম্যানেজার চলেন।

জামালপুর পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন ইঞ্জিনিয়ার কেএম মাকসুদুর রহমানের ঘুষ বাণিজ্যের অত্যাচারে পল্লী বিদ্যুৎ অফিস অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। তার বিরুদ্ধের জেনারেল ম্যানেজার সহ কোন কর্মকর্তা কিছু বলতে সাহস পায় না। তিনি এতই প্রভাবশালী যে সাধারণ বিদ্যুৎ গ্রাহকদের নিকট থেকে অবাধে ঘুষ বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে।

উল্লেখ্য পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের নিয়ম অনুযায়ী একজন কর্মকর্তা তিন বছর মেয়াদ পার হলে তাকে অন্যত্র বদলি করার নিয়ম থাকলেও নিয়ম বহির্ভূতভাবে তাকে বদলি করা যায় না। ইঞ্জিনিয়ার প্রকৌশলী এজিএম কেএম মাকসুদুর রহমানের বিরুদ্ধে এমন দু-জন ভুক্তভোগী শাহবাজপুরের মোঃ সেলিম মিয়া ও কেন্দুয়ার মোঃ জহুরুল ইসলাম অভিযোগ তুলে জানান,আমাদের শিল্প লাইনে তাকে মোটা মোটা অঙ্কের ঘুষ দিয়ে কাজ করিতে হয়েছে।

 

CBALO/আপন ইসলাম


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর