যুক্তরাষ্ট্রে ৯ বছরের কন্যাশিশুর মুখে পুলিশ মরিচের গুঁড়ো (পিপার স্প্রে) ছুড়ে মারার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় নিন্দার ঝড় বইছে দেশটিতে। এ ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক পুলিশ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।
নিউইয়র্কের রচেস্টারে শিশুটির হাতে হাতকড়া দিয়ে মুখে গোলমরিচের গুঁড়ো স্প্রে করে পুলিশ। এ ঘটনার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এ ঘটনায় রচেস্টারসহ বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ দানা বাধে।
এ ঘটনায় কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। কতজন পুলিশ কর্মীকে বরখাস্ত করা হয়েছে, তা এখনও পরিষ্কার নয়। যতক্ষণ পর্যন্ত রচেস্টার পুলিশের তদন্ত শেষ না হচ্ছে, ততদিন তারা বরখাস্ত থাকবেন।
শহরের মেয়র লাভলি ওয়ারেন এ বিষয়ে বলেন, শুক্রবার যা হয়েছে, তা এক কথায় ভয়াবহ। মানুষ অত্যন্ত ক্ষুব্ধ। তবে নিউইয়র্ক রাজ্যের আইন ও ইউনিয়ন কন্ট্রাক্ট অনুযায়ী এর থেকে বেশি কোনো ব্যবস্থা আমি নিতে পারতাম না।
রোববার পুলিশের বডি ক্যামেরা ফুটেজ প্রকাশ করা হয়। সেখানে দেখা যায়, পুলিশ কর্মীরা কন্যাশিশুর ওপর এই নির্মম নিপীড়ন করছেন। একজন পুলিশ অফিসারকে বলতে শোনা যায়, শিশুর মতো ব্যবহার করা বন্ধ কর। জবাবে মেয়েটি বলে, আমি তো শিশুই।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে– পারিবারিক ঝামেলা মেটাতে পুলিশ সেখানে গিয়েছিল। শিশুটিকে বরফের ওপর ফেলে দেওয়া হয়েছিল। তখন সে বলে, আমার ওপর থেকে বরফ সরাবেন প্লিজ। খুব ঠাণ্ডা।
এক পুলিশ অফিসার বলেন, তুমি তোমার সুযোগ পেয়েছ।’ আরেকজন চিৎকার করে বলেন, তাড়াতাড়ি গাড়িতে ওঠো।পুলিশ জানিয়েছে, মেয়েটি তাদের কথা শোনেনি। তার পর হাতকড়া পরা মেয়েটির মুখে তারা ‘কিছু’ স্প্রে করেন।ডেপুটি পুলিশপ্রধান অ্যান্ড্রে অ্যান্ডারসন বলেছেন, মেয়েটির মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক ছিল না। সে আত্মহত্যা করতে চেয়েছিল। তার মায়ের ক্ষতি করার কথাও বলছিল।
পুলিশের এই নির্মমতায় স্থানীয়রা বিক্ষোভ দেখাতে লাগলেন। প্রচুর মানুষ জড়ো হয়ে প্রতিবাদ জানাতে থাকেন। তারা রচেস্টার থানা ঘিরে ফেলেন।এর আগে এক কৃষ্ণাঙ্গ যুবককে ঘাড়ে হাঁটুচাপা দিয়ে হত্যা করে শেতাঙ্গ পুলিশ। এ ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।