ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার সমুর্ত্ত জাহান মহিলা ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক নেত্রকোণা জেলার আটপাড়া উপজেলার মো. আব্দুল কাইয়ূম একই সাথে কলেজের প্রভাষক পদে এবং দেশের স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান প্রশিকাতে প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর (পিসি পদে) চাকুরী করে জুলাই ২০১৯ থেকে বেতনাভাতা উত্তোলন করে যাচ্ছেন। প্রাপ্ত অভিযোগ ও অনুসন্ধানে জানাগেছে, মো. আব্দুল কাইয়ূম উক্ত কলেজের ডিগ্রী স্তরে প্রভাষক ইতিহাস পদে যোগদান করে জুলাই ২০১৯ থেকে নিয়মিত বেতন ভাতা উত্তোলন করে যাচ্ছেন। তার এমপিও কোড নং ৫৬৭৯২২১২।
একই সাথে তিনি জুলাই ২০১৯ থেকে এপ্রিল ২০২০ দশ মাসের বেতন বাবদ ২ লাখ ১৩ হাজার ৮৭৫ টাকা উত্তোলন করেন। এরপর থেকে প্রতিমাসে নিয়মিত বেতন ভাতা উত্তোলন করে যাচ্ছেন। একই সাথে তথ্য গোপন করে প্রশিকা মানবিক উন্নিন কেন্দ্র ঢাকায় পিসি পদে (কর্মী নং ৬৫৩২) চাকুরী করে নিয়মিত বেতন ভাতা উত্তোলন করছেন। প্রশিকার প্রধান নির্বাহী মো. সিরাজুল ইসলামের সাথে মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) এই প্রতিনিধি সেলফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান মো. আব্দুল কাইয়ূম আমাদের একজন নিয়মিত কর্মী হিসাবে চাকুরী করে যাচ্ছেন এবং বেতন ভাতা উত্তোলন করছেন। তিনি নান্দাইল সমুর্ত্ত জাহান মহিলা কলেজের প্রভাষক পদে ২০১৯ থেকে চাকুরী করছেন বিষয়টি আমার জানা ছিল না। এক ব্যক্তির দুই জায়গায় চাকুরী করার সুযোগ নেই। তিনি বলেন এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। অপরদিকে সমুর্ত্ত জাহান মহিলা ডিগ্রী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জানান, মো. আব্দুল কাইয়ূম এই কলেজের একজন নিয়মিত প্রভাষক। তিনি তথ্য গোপন করে অন্য কোথাও চাকুরী করে থাকলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। উক্ত বিষয়ে প্রভাষক আব্দুল কাইয়ূমের সাথে সেলফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, একসাথে দুই জায়গায় চাকুরী করা যাবেনা তা আমার জানা নেই। আইনগত জটিলতা হলে আমি প্রশিকার প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর পদ থেকে পদত্যাগ করবো।
CBALO/আপন ইসলাম