কে,এম আল আমিন :
কোরবানীর ঈদের মত ঈদুল ফিতরে মাংশ খাবে বলে প্রতি মাসে নিজ আয়ের কিছু টাকা জমায়েত করে নাম রেখেছে গোশত সমিতি। এভাবে সলঙ্গা থানার ৬ টি ইউনিয়নের প্রায় গ্রামেই সমিতি করেছে রোজাদররা। সমিতিতে সারা বছরের জমায়েতকৃত টাকা দিয়ে গরু কিনে ঈদুল ফিতরের আগের দিন গরু জবাই করে ভাগ বাটোয়ারা করার ধুম পড়ে যায়। কোরবানীর ঈদের মত এবারেও মহামারী করোনাকে উপেক্ষা করে প্রতিটি গ্রামেই সমিতির গরু জবাইয়ের মাংশের ভাগ বাটোয়ারা চোখে পড়ার মত। এমন কোন গ্রাম নেই যে গ্রামে সমিতি করে ২-৪ টি গরু জবাই হয় নাই। সলঙ্গার বওলাতলা গ্রামের শিক্ষক আবুল কালাম,আইউব আলী, এরশাদ, হোসেন আলী সহ অনেকেই জানান, কসাইদের কাছ থেকে তো সারা বছর মাংশ কিনেই খাই।তবে সমিতির মাধ্যমে গরু জবাই করে রমজান শেষে বিকেলে পাড়া-গ্রামে সবাই একসাথে মাংশ কোটা বাছা আর ভাগ করার মজাই আলাদা। শাওপাড়া ও হাটিপাড়া গ্রামের মাংশ সমিতির কয়েকজন সদস্য এ প্রতিনিধিকে জানান,আমাদের সমিতিতে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও দিন মজুরের সংখ্যা বেশী। রমজানের ঈদে একসাথে মোটা অংকের টাকা দিয়ে মাংশ কিনতে পারে তারা।
তাই তাদের আয়ের কিছু কিছু টাকা গচ্ছিত করে মাস শেষে সমিতির ক্যাশিয়ারের কাছে জমা রাখেন। এতে তাতের তেমন কষ্ট মনে হয় না।আর বছর শেষে তারা অনায়াসেই পরিবার পরিজন নিয়ে সুখে ঈদ আনন্দ কাটাতে পারে। আর মাংশটা পাওয়া যায় নির্ভেজাল। এবারে মাংশ সমিতিতে সলঙ্গায় ৩ লাখ টাকার সর্ব্বোচ্চ দামে গরু কেনা হয়েছে বলে জানা গেছে, ধুবিল ইউপির চুনিয়াখাড়া গ্রামে। চুনিয়াখাড়া ও পাশের গ্রামের সহায়তায় রৌহাদহ আব্দুর রাজ্জাক মাস্টারের ফার্মের গরু ৩ লাখ টাকায় কিনে নেন তারা। এভাবে প্রতি বছর ঈদুল ফিতর এলেই সলঙ্গার পাড়া গ্রামে মাংশ সমিতি চাঙ্গা হয়ে যায়।