সাইফুল ইসলাম, মধুপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধিঃ
টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলায় আসন্ন পৌর নির্বাচনে আওয়ামীলীগ দলীয় সম্ভাব্য মেয়র পদপ্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন প্রত্যাশী উদার মনের মানুষ ও বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব মাসুদ পারভেজ। তিনি জনগণের সেবা করাকেই লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হিসেবে বেছে নিয়ে এলাকায় জনসংযোগ, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক কার্যক্রম ও এলাকার উন্নয়নমূলক সকল কর্মকাণ্ডে নিয়মিত অংশগ্রহণ ও তদারকি করছেন।
মাসুদ পারভেজ দায়িত্ব পাওয়ার পর মধুপুর পৌরসভার চিত্রসমূহগুলো হলো-
সফলতাঃ মধুপুর পৌরসভার বর্তমান মেয়র মাসুদ পারভেজ দায়িত্ব পাওয়ার পর মাত্র ছয় মাসের মধ্যেই মধুপুর পৌরসভাকে দ্বিতীয় শ্রেণির পৌরসভা থেকে প্রথম শ্রেণিতে উন্নীত করেছেন। এছাড়াও রাজস্ব আয় বৃদ্ধি ১০ গুণ বেশি, ৮০ ভাগের অধিক ট্যাক্স সংগ্রহ, সর্বশেষ মাস পর্যন্ত পৌরসভার সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন প্রদানে সক্ষমতার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। কোভিড-১৯ এর সময়ে সরকারি সকল ত্রাণ এবং ব্যক্তিগত উদ্যোগ ও বিভিন্ন ধরনের সামাজিক সংস্থার ত্রাণ ও সহায়তা মানুষের কাছে নিষ্ঠা ও সততার সাথে পরিপূর্ণভাবে পৌছে দেওয়ার জন্য জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দিনরাত পরিশ্রম করেছেন তিনি। শিল্পী, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, মধ্যবিত্ত, অসুস্থ রোগী, ডায়াবেটিস রোগী, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী, ঢাকা থেকে ফেরত বিভিন্ন অসহায় ও কর্মহীন মানুষের পাশে দাঁড়াতে ও সহায়তা প্রদানে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছেন।
সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের মধ্যে সকল সহায়তা, বিধবা ভাতা, বয়স্ক ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, ভিজিএফ সহ অন্যান্য সহায়তা, ক্রীড়া, সংস্কৃতি, ধর্মীয় বিষয়সহ সর্বক্ষেত্রে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও জাতীয় দিবস যথাযথভাবে উদযাপনের পাশাপাশি বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর জন্যে শহর সৌন্দর্যমন্ডিতকরণ, ঐতিহাসিক বিভিন্ন অর্জনগুলোকে দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও অন্যান্য বিষয়ে উদ্ধুদ্ধকরণ ও পালন, বঙ্গবন্ধুর লোগো, বাসস্ট্যান্ডে প্রজেক্টর স্থাপন করে সার্বক্ষণিক বঙ্গবন্ধুর বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করেছেন।
এছাড়াও বিভিন্ন প্রজেক্ট ও প্রকল্পের আওতায় ৭৪ কি.মি রাস্তা পাকাকরণ (আরসিসি, সিসি, বিসি, এইচবিবির ধারায় উন্নীতকরণ), ড্রেন, ব্রীজ, সুন্দর ফুটপাত, ডাস্টবিন, যাত্রী ছাউনি, গণ টয়লেট নির্মাণে অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। এছাড়াও দরিদ্র নারীদেরকে সহায়তার জন্য সেলাই মেশিনসহ অন্যান্য উপকরণ প্রদান, শতভাগ বিদ্যুতায়ন, ই-টেন্ডার পদ্ধতি এবং পৌরসভাকে ডিজিটালাইজেশনকরণের জন্যে সর্বক্ষেত্রে ট্যাক্স ও নন-ট্যাক্স, ট্রেড লাইসেন্স, জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন সহ অন্যান্য সর্বক্ষেত্রে শতভাগ স্বচ্ছতার জন্যে অনলাইন পদ্ধতিতে সার্বক্ষণিক ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আগামী দিনেও অবশিষ্ট কাজ সমাপ্ত করে ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা ও রূপকার, আগামীর উন্নত বিশ্বে আমরা যার হাত ধরে প্রবেশ করতে চাই, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আদর্শের একজন সৈনিক হিসেবে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশের স্থানীয় সরকার অবকাঠামোর অংশে তিনি (মাসুদ পারভেজ) কেন্দ্রীয় সরকারের যাবতীয় কাজ সফলভাবে করার জন্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ও মাননীয় কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক এমপি মহোদয়ের নিকট পুনরায় প্রত্যাশা করেছেন যেন উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে পুনরায় তাকে মেয়র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দিয়ে জনগণের কল্যাণে কাজ করার সুযোগ দিবেন- এমনটাই আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তিনি।
উল্লেখ্য যে, মাসুদ পারভেজ এর দায়িত্ব পালনকালীন সময়ে (গত পাঁচ বছরে) মধুপুর পৌরসভার নাগরিকদের প্রতি কোনো প্রকার অনিয়ম, দুর্নীতি, সন্ত্রাস, অডিট আপত্তি, জমিদখল, চাঁদাবাজি, কারো প্রতি জুলুম-অত্যাচার, অন্যায়-অনিয়ম করেননি মাসুদ পারভেজ। আসন্ন নির্বাচনে তিনি মনোনয়ন পেয়ে আবারো নির্বাচিত হলে অসমাপ্ত কাজগুলোকে সম্পূর্ণ করে মধুপুর পৌরসভাকে আধুনিক, উন্নত, ডিজিটাল, নির্মল বাসযোগ্য ক্লীন ও গ্রীন সিটি হিসেবে গড়ে তুলবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
CBALO/আপন ইসলাম