শনিবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০২:৫৫ পূর্বাহ্ন

ই-পেপার

শিরোনাম :
শিরোনাম :
নাগরপুরে জামায়াতে ইসলামী’র ইউনিয়ন ভিত্তিক নির্বাচনী কর্মশালা অনুষ্ঠিত ভাঙ্গুড়ায় তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করেও তথ্য না পাওয়ার অভিযোগ ইউএনও’র বিরুদ্ধে জকিগঞ্জে এইচসিআই’র উদ্যোগে আধুনিক মাদরাসার উদ্বোধন ও ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প যথাযোগ্য মর্যাদায় বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখ এর ৫৪তম শাহাদত বার্ষিকী পালন করলো বিজিবি ঈশ্বরদীতে নানা আয়োজনের মধ্যে দিয়ে বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন ভাঙ্গুড়ায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষককে শোকজ ঘিরে বিতর্ক সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার ও বিতর্কিত ওসিকে প্রত্যারের দাবিতে সাংবাদিকদের  মানববন্ধন লামায় সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে মোবাইল কোর্ট অভিযান 

ভারতের জাতীয় সঙ্গীত বদলাতে চান বিজেপি সাংসদ সুব্রামোনিয়ান

প্রতিনিধির নাম:
আপডেট সময়: রবিবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২০, ১০:১১ পূর্বাহ্ণ

ভারতের বিধানসভা ভোটের দিকে তাকিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও তার সঙ্গী নেতা-মন্ত্রীরা গত দুই বছরে নানা প্রসঙ্গে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম বারবার টেনে এনেছেন। এবার সেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা ভারতের জাতীয় সঙ্গীতেরই পরিবর্তন চেয়ে খোদ প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে দ্রুত সাড়া পেয়ে রীতি মতো উৎফুল্ল বিজেপির সাংসদ তথা অন্যতম নেতা সুব্রামোনিয়ান স্বামী।

এক টুইট বার্তায় এ কথা লিখেছেন তিনি। আর তা নিয়েই শুরু হয়েছে নতুন করে বিতর্ক। এমনিতেও রবীন্দ্রনাথের বিভিন্ন লেখা নিয়ে সঙ্ঘের বিভিন্ন মহলে নানা সময়ে আপত্তির কথা শোনা গেছে।

এমনকি মোদি ক্ষমতায় আসার পরে সঙ্ঘের শিক্ষা বিভাগের নেতা দীননাথ বাত্রা এনসিইআরটি-র পাঠ্যক্রম থেকে রবীন্দ্রনাথের লেখা বাদ দেওয়ার সুপারিশও করেছেন।

নরেন্দ্র মোদি অবশ্য পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা ভোটের দিকে তাকিয়ে গত দু’বছরে নানা সময় রবীন্দ্রনাথের নানা কবিতা আবৃত্তি করেছেন। তার দলের অন্য নেতারাও পশ্চিমবঙ্গে এলে রবীন্দ্রনাথকে উদ্ধৃত করতে ছাড়েন না। এই অবস্থায় সুব্রামোনিয়ান স্বামীর টুইট নতুন বিতর্ক উসকে দিল।

ভারতের জাতীয় সঙ্গীত ‘জন গণ মন’ নিয়ে সুব্রামোনিয়ান স্বামীর আপত্তি কেন? প্রবীণ এই বিজেপি সাংসদের দাবি, শুধু তার নয়, ‘ভারতের যুব সমাজের বড় অংশের মনের কথা’ বলছেন তিনি।

তার আপত্তির অন্যতম শব্দ হলো জাতীয় সঙ্গীতে ‘সিন্ধু’ শব্দটির ব্যবহার। স্বামীর মতে, বর্তমান জাতীয় সঙ্গীতের কিছু কিছু শব্দ (সিন্ধু) অনাবশ্যক ধন্দ তৈরি করে। বিশেষ করে স্বাধীনতা-পরবর্তী পরিপ্রেক্ষিতে।

রবীন্দ্রনাথের ‘জন গণ মন’-র শব্দ বদলে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল আর্মি (আইএনএ)-র গাওয়া ‘জন গণ মন’র আদলে লেখা অন্তর্বর্তী সরকারের জাতীয় সঙ্গীত ‘কাওয়ামি তারানা’র প্রথম পংক্তি ‘শুভ সুখ চ্যান’ গানটি ব্যবহারের কথা  বলেছেন তিনি।

এদিকে যে ‘সিন্ধু’ শব্দটি নিয়ে স্বামীর আপত্তি, আইএনএ-র গাওয়া গানে তো তার উল্লেখ রয়েছে। তা ছাড়া, ‘সিন্ধু’ শব্দটি বাদ দিলে আরএসএসের অখণ্ড ভারতের তত্ত্বই যে প্রশ্নের মুখে পড়ে যায়, সে কথাও মনে করিয়ে দিচ্ছেন অনেকে।

সুব্রামোনিয়ান স্বামীর প্রত্যাশা, আগামী বছর ২৩ জানুয়ারির মধ্যে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন করবে নরেন্দ্র মোদি সরকার।  কিন্তু আগামী বছরই যে পশ্চিমবঙ্গের ভোট! তার আগে রবীন্দ্রনাথের লেখা ভারতের জাতীয় সঙ্গীত বদলের ঝুঁকি নেবে সেখানে জিততে মরিয়া বিজেপি? সে প্রশ্ন তো থাকছেই।

সূত্র: আনন্দবাজার


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর