মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:২৫ পূর্বাহ্ন

ই-পেপার

রামগড়ের ছেলে অপু খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের নতুন চেয়ারম্যান

প্রতিনিধির নাম:
আপডেট সময়: শুক্রবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২০, ১০:০৩ পূর্বাহ্ণ

বেলাল হোসাইন,খাগড়াছড়ি:
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ পূনর্গঠিত হয়েছে।বৃহস্পতিবার(১০ডিসেম্বর)এই সংক্রান্ত সরকারি গেজেট জারি হয়েছে।মহামান্য রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে গেজেটে স্বাক্ষর করেছেন উপসচিব সজল কান্তি বড়ুয়া।নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন গত পরিষদের সদস্য মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু।মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু খাগড়াছড়ি জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এবং বর্তমান জেলা আওয়ামী লীগ এর যুগ্মসম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
১৫ সদস্যের পুনর্গঠিত নতুন পরিষদের সদস্য হিসেবে স্থান পেয়েছেন খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্মলেন্দু চৌধুরী, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এম. আব্দুল জব্বার, মানিকছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মাঈন উদ্দিন, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পার্থ ত্রিপুরা জুয়েল, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা খোকনেশ্বর ত্রিপুরা, মাটিরাঙ্গা সদর ইউপি চেয়ারম্যান হিরণজয় ত্রিপুরা, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট আশুতোশ চাকমা, জেলা আওয়ামী লীগ সদস্য শুভমঙ্গল চাকমা, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা অধ্যাপক নীলোৎপল খীসা, খাগড়াছড়ি পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান মংক্যচিং চৌধুরী, লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রেস্রাচাই চৌধুরী, গুইমারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও গুইমারা ইউপি চেয়ারম্যান মেমং মারমা, জেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক শতরূপা চাকমা এবং কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী সদস্য শাহিনা আকতার।
এদিকে মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু জেলা পরিষদের নতুন চেয়ারম্যান নিয়োগ পাওয়ায় তার জন্মস্থান রামগড়ে খুশির জোয়ার বইছে।রামগড় উপজেলা আওয়ামী লীগ এর সভাপতি মোস্তফা হোসেন এবং পৌর আওয়ামী লীগ এর সভাপতি রফিকুল আলম কামাল উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, রামগড় এক সময় মহকুমা শহর ছিলো। কালের আবর্তনে অনেক পিছিয়ে পড়ছে এই উপজেলা।আশা দিয়ে বারবার নিরাশ করেছে জনপ্রতিনিধি রা।রামগড়ের ছেলে অপু জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নিযুক্ত হওয়ায় আমরা প্রত্যাশা করছি তিনি রামগড়ের অবকাঠামোগত উন্নয়নে নজর দিবেন।
রামগড় প্রেসক্লাবের সভাপতি শ্যামল রুদ্র ও সাধারণ সম্পাদক বেলাল হোসাইন  বলেন,একসময়ের মহাকুমা শহর রামগড় নিয়ে দীর্ঘদিন কেউ কোনো ধরনের পরিকল্পনা  নেয়নি। সম্পূর্ণ অপরিকল্পিত নগরীতে পরিনিত হয়েছে এটি। যার ফলে নানা নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছে এই এলাকার মানুষ।জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের মত গুরুত্বপূর্ণ পদে এই এলাকার ছেলে নিয়োগ পাওয়ায় রামগড়ের উন্নয়ন হবে বলে আশা করছি।পর্যটন শহর হিসেবে রামগড়ের সুনাম রয়েছে।কিন্তু পরিকল্পনা এবং বাস্তবায়নের অভাবে এই খাতকে কাজে লাগানো যাচ্ছেনা।আমরা আশা করছি নতুন চেয়ারম্যান এসব বিষয়ে নজর দিবেন।
প্রসঙ্গত, পার্বত্য শান্তি চুক্তি অনুসারে তিন পার্বত্য জেলা পরিষদে পৃথক ভোটার তালিকার মাধ্যমে পরিষদের নির্বাচনের ব্যবস্থা থাকলেও আইনি জটিলতার কারণে পৃথক ভোটার তৈরি না হওয়ায় পরিষদগুলো সরকার পরিবর্তনের পরপরই পুনর্গঠন করে থাকে। পার্বত্য চুক্তি অনুসারে জেলা পরিষদ স্থানীয় উন্নয়নের প্রধান প্রাণশক্তি হওয়ায় আর হস্তান্তরিত বিভাগ হিসেবে ৩৩টি বিভাগ জেলা পরিষদে ন্যস্ত থাকায় সমতলের তুলনায় পার্বত্য জেলা পরিষদগুলো শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান হিসেবে অত্র এলাকায় কাজ করছে।

 

CBALO/আপন ইসলাম


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর