বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের আওতায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় সার্বভৌমত্ব ও অখন্ডতার প্রতি পূর্ণ ও অবিচল আনুগত্য রাখিয়া পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের সকল নাগরিকের রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, শিক্ষা ও অর্থনৈতিক অধিকার সমূন্নত এবং আর্থ সামাজিক উন্নয়ন প্রক্রিয়া তরান্বিত করা এবং বাংলাদেশের সকল নাগরিকের স্বস্ব অধিকার সংরক্ষন এবং উন্নয়নের লক্ষে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তরফ হইতে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক জাতীয় কমিটি এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকার অধিবাসীদের পক্ষ হইতে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি চারি খন্ড (ক,খ,গ,ঘ) সম্মিলিত চুক্তিতে উপনিত হন। ১৯৯৭ সালে ২রা ডিসেম্বর গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক জাতীয় কমিটির আহবায়ক আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ ও পার্বত্য চট্টগ্রামের অধিবাসীদের পক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (পিসিজেএসএস-মুল) সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা সম্পাদিত এই চুক্তিতে সই করেন।
২রা ডিসেম্বর ২০১৯ সালে পার্বত্য চুক্তির ২২বছর পূর্ণ হয়েছে। এই ২৩ বছরে পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণ কি পেলেন আর কি হারালেন একটি পর্যালোচনা।পার্বত্য চুক্তির আলোকে গঠন করা হয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ, শরণার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্স, পার্বত্য চট্টগ্রাম ভুমি কমিশন, পার্বত্য জেলা স্থানীয় সরকার পরিষদ আইন, ১৯৮৯ (রাঙামাটি পার্বত্য জেলা স্থানীয় সরকার পরিষদ আইন, ১৯৮৯, বান্দরবান পার্বত্য জেলা স্থানীয় সরকার পরিষদ আইন, ১৯৮৯, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা স্থানীয় সরকার পরিষদ আইন, ১৯৮৯) এবং এর বিভিন্ন ধারা সমূহের পরিবর্তন, সংশোধন, সংযোজন ও অবলোপন করার মাধ্যমে গঠন করা হয় রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ।
এর আগে থেকে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড, রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা প্রশাসন, তিন জেলার ২৫ উপজেলার উপজেলা প্রশাসন, তিন পার্বত্য জেলার পৌরসভা ও তিন পার্বত্য জেলার ইউনিয়ন পরিষদ বিদ্যমান ছিল। পার্বত্য চুক্তির মধ্য দিয়ে শক্তিশালী করা হয় চাকমা সার্কেল, বোমাং সার্কেল ও মং সার্কেল চীফদের কার্য¶মতা। এর বাইরে বাংলাদেশ সরকারের প্রতিটি মন্ত্রণালয় এর অধিদপ্তর/পরিদপ্তর আওতাধীন জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কার্যালয় রয়েছে। এছাড়া পার্বত্য অঞ্চলে রয়েছে আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থা ইউএনডিপি-সিএইচটিডিএফ, এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংক এডিবির পার্বত্য চট্টগ্রাম পল্লী উন্নয়ন প্রকল্প ও একাধিক গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন সংস্থা। এর বাইরে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক সংসদীয় কমিটি, পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি মূল্যায়ন কমিটি, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহায়তাকারী উপদেষ্টা কমিটি ও পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ কমিটি ইত্যাদি।
পার্বত চুক্তির প্রারম্ভে বেশ কিছু বিষয় গুরুত্বারোপ করা হয়েছে, তন্মধ্যে সকল নাগরিকের রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, শিক্ষা ও অর্থনৈতিক অধিকার সমূন্নত এবং আর্থ সামাজিক উন্নয়ন প্রক্রিয়ার কথা বলা হয়েছে।পার্বত্য চুক্তির পূর্বে পার্বত্য অঞ্চলের বসবাসরত অধিবাসীদের যে রাজনৈতিক অধিকার ছিল চুক্তির পর আদৌ তার অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌছতে স¶ম হয়নি। এর পিছনে মূলত ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে আরো আন্তরিক হওয়া প্রয়োজন।
পার্বত্য চুক্তির পর পার্বত্য অঞ্চলে বসবাসরত স্বস্ব জনগোষ্ঠীর মধ্যে সামাজি উন্নয়ন বৃদ্ধি পাওয়ার কথা ছিল কিন্তু ২৩ বছর পর সামাজিক অধিকারের বিষয়ে বলতে গেলে কাগজে-পত্রে অগ্রগতি হয়েছে, বাস্তব চিত্র একেবারে ভিন্ন। সামাজিক উন্নয়ন বা সম্প্রদায় উন্নয়ন বিষয়টির উপর পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ ও আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থা ইউএনডিপি-সিএইচটিডিএফ দীর্ঘদিন ধরে পার্বত্য অঞ্চলে কাজ করে চলেছেন কিন্তু এর ফলাফল ২৩ বছর আগে যা ছিল তাই দৃশ্যমান কিছুই নাই।
সরকার পার্বত্য অঞ্চলের পিছিয়ে পরা জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করে একজন নাগরিকের জন্মগত মৌলিক অধিকার ৫টির মধ্যে অন্যতম শিক্ষার অধিকার স্থানীয়দের হাতে ন্যস্ত করে পার্বত্যঞ্চলের বসবাসরত অধিবাসীদের শিক্ষা ক্ষেত্রে এগিয়ে যাওয়ার যে সুযোগ তৈরী করে দিয়েছে ২৩ বছর পর শিক্ষার মেরুদন্ডই ভেঙ্গে গেছে। পার্বত্য অঞ্চলের দুর্গম এলাকায় গিয়ে দেখা যায় প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলিতে শিক্ষকদের উপস্থিতি নেই। একটি বিদ্যালয়ে ৫ জন শিক্ষক মিলে একজন বর্গা শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে রেখেছেন, আর জেলা পরিষদ সমূহ ঘুষ বাণিজ্যের মাধ্যমে যাদের শিক্ষক পদে নিয়োগ দিয়ে থাকে তারা কখনো নিজেদের কর্মস্থলে উপস্থিত থাকেন না। পার্বত্য অঞ্চলে শিক্ষা খাতে যে বরাদ্ধ রাষ্ট্রের কোষাগার থেকে ব্যয় করা হয় তা কেবল অবকাঠামো উন্নয়ন, শিক্ষা সামগ্রী ক্রয়, শিক্ষকদের বেতন-ভাতা ও কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ইত্যাদি বিষয়ে সীমাবদ্ধ। কিন্তু এসবের সুবিধাভোগী শিক্ষার্থীরা কোন ধরনের সুযোগ সুবিধা পায়না। শিক্ষাখাতে ৫ লক্ষ টাকার সংস্কারমুল কাজ করে ঠিকাদার বিল করেছে ৩১ লক্ষ টাকার, এ অনিয়ম তদারকি করার কেউ আছে বলে মনে হচ্ছে না। বিগত ২৩ বছরে হাতেগোনা কয়েকজন ছাড়া পার্বত্য অঞ্চলের এসএসসি, এইচএসসি শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পায়নি বললেই চলে। পার্বত্য অঞ্চলে শিক্ষার মান এতবেশী নীচে নেমে গেছে যে, অনেক স্কুলে পাশের হার ০%। শিক্ষকরা প্রত্যান্ত অঞ্চল ছেড়ে শহরে এসে রাজনীতি আর ব্যবসা বাণিজ্য নিয়ে ব্যস্ত। শিক্ষা ব্যবস্থা পূর্বের অবস্থানে ফিরে না গেলে শিক্ষা ক্ষেত্রে পার্বত্য অঞ্চলের অধিবাসীরা গভীর সংকটে নিমজ্জিত হওয়ার সম্ভাবনা বেশী।
পার্বত্য অঞ্চলে বসবাসকারীদের অর্থনৈতিক অধিকার একটি গোষ্ঠীর কাছে জিম্মি হয়ে আছে। পার্বত্য অঞ্চলে গড়ে উঠেনি কোন মিল, কারখান ও ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান। কেবলমাত্র কাঠ,বাশ, মাছ, পাথর ও মৌসুমৗ ফল ক্রয় বিক্রয় ছাড়া অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনে চুক্তি স্বাক্ষরকারীদের উভয়ে উদাসীন। চুক্তির পর বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা-এনজিও সমূহ পার্বত্য অঞ্চলে তাদের সুদের ব্যবসা প্রত্যন্ত অঞ্চলে পরিচালনার সুযোগ পেয়েছে। প্রতিনিয়ত গরীব থেকে আরো গরীব হয়ে পরেছে এই অঞ্চলের খেটে খাওয়া নাগরিকরা। তার উপর রয়েছে চাঁদাবাজদের উপদ্রব। অর্থনৈতিক অধিকার বাস্তব রুপ পেতে সূদুরপ্রসারী পরিকল্পনা আদৌ অনুপস্থিত।
পার্বত্য চুক্তির পর পার্বত্য অঞ্চলে বসবাসরত সকল জনগোষ্ঠীর নাগরিকরা আশায় বুক বেধেছিলো যে, পার্বত্য চুক্তি পার্বত্য অঞ্চলে বসবাসরত মানুষদের মুক্তির সনদ হিসেবে কাজ করবে কিন্তু সে আশায় গুড়ে বালি। ২৩ বছর পর পার্বত্য চুক্তির যদি মূল্যায়ন করা হয় তাহলে বলতে হয় পার্বত্য চুক্তির আলোকে গঠিত পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কথা। কেবলমাত্র তিন পার্বত্য জেলাকে নিয়ে কাজ করে থাকেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, সচিব ও অন্যান্য কর্মচারীরা। তারা এত বেশী সময় পায় যে পার্বত্য চট্টগ্রামকে নিয়ে সুচিন্তা করার সময় অঢেল। অন্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও সচিবগণ কাজ করেন সারা দেশ নিয়ে কিন্তু পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় কাজ করেন মাত্র তিনটি জেলার ২৫টি উপজেলা নিয়ে। ২২ বছরে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উল্লেখযোগ্য ভুমিকা দৃশ্যমান নয়। এ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে যারা রয়েছেন তাদের মুখের কথা শুনলে মনে হয় পার্বত্য চট্টগ্রামে উন্নয়নের জোয়ার বয়ে যাচ্ছে। কাজী সাহবের গরু কাগজে আছে গোয়ালে নেই। এ হচ্ছে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অবস্থা।
পার্বত্য জেলা পরিষদ সমূহ অধিকতর শক্তিশালী ও কার্যকর করার লক্ষে ২৩ জন সদস্য নিয়ে গঠিত পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ। অন্তর্বতীকালীন গঠিত এ আঞ্চলিক পরিষদ চুক্তির পরবর্তী বছর দুয়েক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে তদারকি ও সমন্বয় সাধনের কাজ করলেও বিগত বছরগুলিতে এ প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম জনমনে প্রশ্নবিদ্ধ। পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ এবং তার সদস্যরা পার্বত্য চুক্তি পরবর্তী পার্বত্য অঞ্চলে বসবাসরত অধিবাসীদের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়নি। পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ তিন পার্বত্য জেলার সকল সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব করেন না বিষয়টি খোলাসা করতে তদন্তে প্রয়োজন হবেনা এই প্রতিষ্ঠানটির প্রত্যেকটি কর্মকর্তা কর্মচারী একটি জনগোষ্ঠীর সম্প্রদায়ভুক্ত। রাষ্ট্রীয় একটি প্রতিষ্ঠানে একটি সম্প্রদায় কেবল দায়িত্ব পালন করবে পার্বত্য অধিবাসীরা মনেপ্রাণে মেনে নিতে পারেনা। যারা রাষ্ট্রীয়ভাবে বৈষম্যের স্বীকার তাদের দ্বারায় স্বগোত্রের বা সপ্রদায়ের জনসাধারন বৈষম্যে এবং নির্যাতনের স্বীকার। পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ কাদের স্বার্থে কাজ করে বিষয়টি আদৌ পরিস্কার নয়। পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের নিজস্ব কোন ভবনও নেই। ২৩ বছর ধরে চলছে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের রেষ্ট হাউজে এ পরিষদের কার্যক্রম।
চুক্তিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদকে উপস্থাপন করা হয়েছে, এ পরিষদ পৌরসভাসহ স্থানীয় পরিষদ সমূহ তত্বাবধান ও সমন্বয় করবে, তিন পার্বত্য জেলায় সাধারন প্রশাসন, আইন শৃংখলা উন্নয়নের ব্যাপারে আঞ্চলিক পরিষদ সমন্বয় সাধন ও তত্বাবধান করতে পারবে। আঞ্চলিক পরিষদ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রান কার্যক্রম পরিচালনাসহ এনজিওদের কার্যবলী সমন্বয় সাধন করতে পারবে। উপজাতীয় আইন ও সামাজিক বিচার আঞ্চলিক পরিষদের আওতাভুক্ত থাকবে। আঞ্চলিক পরিষদ ভারী শিল্পের লাইসেন্স প্রদান করতে পারবে। পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড, পরিষদের সাধারন ও সার্বিক তত্বাবধানে অর্পিত দায়িত্ব পালন করবে। তিন পার্বত্য জেলা পরিষদের অধীনে পরিচালিত সকল উন্নয়ন কার্যক্রম সমন্বয় সাধন করা ইত্যাদি। এতকিছুর পরেও পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সুবিধাভোগী কারা ২৩ বছরেও বিষয়টি পরিস্কার নয় পার্বত্য চট্টগ্রামের অধিবাসীদের কাছে। এখানে একটি কথা না বললে নয় যে চুক্তির আলোকে জেলা পরিষদসমূহ গঠিত হয়েছে সে সমস্ত জেলা পরিষদের উচ্চ পদস্থদের কথা বাদই দিলেও জেলা পরিষদ সমূহের পিয়ন আর্দালী পর্যন্ত পার্বত্য চুক্তির বিরুদ্ধে। এ যেন সরিষার মধ্যে ভুত।
শরণার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্সের অফিস, জনবল ও অবকাঠামো চুক্তির ২৩ বছর পরেও দৃশ্যমান নয়। এই টাস্কফোর্সের অধীনে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যতে অবস্থানরত শরণার্থীদের দেশে ফিরিয়ে আনার পর শরণার্থীদের সর্বশেষ আবস্থান খুজে পাওয়া মুশকিল। কিন্তু সরকারী অর্থায়নে এসব শরণার্থীদের প্রতিমাসে খাদ্যশস্য বরাদ্ধ করা হচ্ছে। এ খাদ্যশস্য আগে চুক্তি স্বাক্ষরকারী পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি বন্টনের সাথে যুক্ত থাকলেও বর্তমানে এ দায়িত্ব পালন করছে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তারা। অথচ তারাও জানেনা এসব খাদ্য শস্য কারা পায়। এত গোপন আর রহস্যময় খাদ্য শস্য বন্টনে জনমনে নানা প্রশ্ন উদয় হয়।
পার্বত্য চট্টগ্রাম ভুমি কমিশন এর কার্যক্রম এখনো পর্যন্ত সভা আর সাংবাদিকদের স্বাক্ষাতকার প্রদান ছাড়া মাঠপর্যায়ে কার্যক্রম দৃশ্যমান নয়। অথচ এই কমিশনের চেয়ারম্যান একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির প্রতি তিন বছর অন্তর অন্তর মেয়াদ বৃদ্ধি করে ব্যয়ভার রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে করা হচ্ছে। তার সাথে সদস্য হিসাবে রয়েছেন তিন সার্কেল চীফ, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ও রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি তিন পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানগণ। পার্বত্য চুক্তির মুল সমস্যা ভুমি সমস্যা। এই পার্বত্য চট্টগ্রাম ভুমি কমিশন কি কাজ করেন পার্বত্য অধিবাসীদের কাছে আদৌ পরিস্কার নয়। অথচ এই কমিশনের উপরে নির্ভর করছে পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসকারীদের বাপ-দাদার সম্পদ ফিরে পাওয়ার রায়। কেন যেন মূলা ঝোলার মত ঝুলে আছে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভুমি কমিশনের কার্যক্রম। এ ভুমি কমিশন আইন প্রবিধান আদৌ কি আলোর মূখ দেখবে পার্বত্যবাসীদের প্রশ্ন থাকাটা স্বাভাবিক। ভুমি কমিশনে যারা সদস্য বিশেষ করে সার্কেল চীফরা ভুমি সমস্যার সমাধানে সহায়তার পরিবর্তে এদের দ্বারাই প্রতিনিয়ত সৃষ্টি হচ্ছে ভুমি নিয়ে জটিলতা। কারণ তারা কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা করেন না। এখানে চাকমা সার্কেল চীফের একটি প্রতিবেদন তুলে ধরা হলো- রাঙামাটি সদরের ১০২ নং রাঙাপানি মৌজার সরকারী (১ নং) ভলিউম ও মাঠ খসরায় ৪১২ নং দাগের ভুমির পরিমাণ ৩ একর ৯০ শতক। দখলসূত্রে মালিক জনৈক আসমত আলী।
কিন্তু ভোগ দখলকারী হিসেবে চাকমা সার্কেল চীফ জনৈক জীবণ চাকমা ও সেবিকা চাকমা নামে ৪৭ শতক জায়গা বন্দোবস্ত প্রদানের জন্য ৪ ফেব্রুয়ারী-২০১৩ ১০২ নং রাঙাপানি মৌজার হেডম্যান হিসাবে সুপারিশ প্রদান করেছেন। ভুমি বিরোধ নিষ্পত্তির পরিবর্তে ভুমি বিরোধ প্রতিনিয়ত এভাবেই বেড়েই চলছে। অথচ সরকারী ভাবে খাস ভুমি ক্রয়-বিক্রয় নিষেধ, তার পরও অবাধে চলছে খাস ভুমি ক্রয়-বিক্রয় প্রশাসনের বন্ধ করার উদ্দ্যোগ নাই। রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ সমূহ স্থানীয় জনগণের প্রত্য¶ ভোটের মাধ্যমে গঠনের আইন থাকলেও বিগত সরকার ও বর্তমান সরকার মিলে ভোটারদের মূল্যায়ন অগ্রাহ্য করে অন্তর্বতীকালীন পরিষদ গঠন করে রাজনৈতিক নেতাদের পুনর্বাসন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। এসব পরিষদ সমূহে সদস্যরা আইন- কানুনের তোয়াক্কা না করে যেমন খুশি তেমন করেই চালাচ্ছেন এসব জেলা পরিষদের কার্যক্রম। হাজারো প্রকল্প বাস্তবায়নে দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত জেলা পরিষদগুলো পার্বত্য অধিবাসীদের কাছে নেই কোন জবাবদিহিতা। জেলা পরিষদগুলো যেন এনজিও সংস্থা। লেকচার পিকচার ভাউচার যেন তাদের দৈনন্দিন কাজ।
পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড জন্মলগ্ন থেকে উন্নয়নের ছোয়া লক্ষ্য করা গেলেও বর্তমানে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড এর উন্নয়ন কার্যক্রম প্রশ্নবিদ্ধ। রাজনৈতিক বিবেচনায় এ বোর্ডের উন্নয়ন প্রকল্পসমূহ গ্রহণ ও বাস্তবায়নের অভিযোগ পার্বত্য অঞ্চলের জনসাধারনের মুখে মুখে। পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান কার্যালয় রাঙামাটিতে হলেও বোর্ডের বর্তমান চেয়ারম্যান মাঝেমধ্যে রাঙামটিতে আসেন। বেশীরভাগ সময় রাজধানীতে অফিস করেন। এতে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের দৈনন্দিন কাজের ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়। ভাইস চেয়ারম্যান দিয়ে চলছে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড, ভাইস চেয়ারম্যান দিয়ে যদি পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড চলে তাহলে চেয়ারম্যানের আর প্রয়োজন কি ? তাছাড়া আমলাতন্ত্রের জটিলতায় বন্দি আছে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড। হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে যে গুরুদায়িত্ব পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের উপর ন্যস্ত রয়েছে সে সংস্থাটিও পার্বত্যবাসীদের আস্থা হারিয়েছে।
রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি তিন পার্বত্য জেলা প্রশাসন সাধারন জনগণের সেবা প্রদানের চেয়ে প্রটৌকল, সভা, বিভিন্ন দিবস পালন নিয়ে বর্তমান প্রশাসকদের ব্যস্ত থাকতে দেখা যায়। একসময় সকল রাজনৈতিক দলের নেতাদের নিয়ে এসব জেলা প্রশাসন কাজ করলেও বর্তমান সময়ে ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় সংসদ সদস্য ও মন্ত্রী পরিষদের নির্দেশনা নিয়ে সময় পার করেন। চাকরী রক্ষা আর সময় পার করা ছাড়া স্থানীয় জন স্বার্থে দায়িত্ব পালনে অনেকটা উদাসীন এসব প্রশসনগুলো। এসব প্রশাসন থেকে মানুষ অনেক আগে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।
তিন জেলার ২৫টি উপজেলার উপজেলা প্রশাসন কেবলমাত্র নিয়ম রক্ষার্থে সাধারন জনগণের সাথে সম্পৃক্ত।
তিন পার্বত্য জেলার পৌরসভা ও তিন পার্বত্য জেলার ইউনিয়ন পরিষদগুলো এখন হয়ে উঠেছে ঠিকাদারদের পুনর্বাসন কেন্দ্র। এদের সাধারন জনগণের সাথে যোগাযোগ নেই বললে চলে। দলীয় পরিচয় ছাড়া সাধারন জনগনের কদর এখন তাদের কাছে নেই।
পার্বত্য চুক্তির আলোকে যে সমস্ত বিভাগ পার্বত্য জেলা পরষদ সমূহে হস্তান্তরিত করা হয়েছে তন্মধ্যে –
১.কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তর
২.জেলা প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগ
৩.মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগ
৪.তুলা উন্নয়ন বোর্ড
৫.জন স্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ
৬.পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ
৭. প্রাণীসম্পদ বিভাগ
৮.মৎস্য বিভাগ
৯.বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প
১০.ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠি সাংস্কৃতি ইন্সটিটিউট
১১.জেলা শিল্পকলা একাডেমী
১২.বাজারফান্ড প্রশাসন
১৩.টেক্সটাল ভোকেশনাল প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউট
১৪.জেলা সরকারী গণগ্রন্থাগার
১৫.যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর
১৬.স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর
১৭.আঞ্চলিক জনসংখ্যা প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউট (আরপিটিআই)
১৮.জেলা সমাজসেবা বিভাগ
১৯.হর্টিকালচার সেন্টার
২০.জেলা সমবায় বিভাগ
২১. নাসিং ট্রেনিং ইন্সটিটিউট
২২. স্বাস্থ্য বিভাগ
২৩. জুমচাষ
২৪. কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি)
২৫. জেলা ক্রীড়া অফিস
২৬. পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ ব্যতিত ইমপ্রুভমেন্ট ষ্ট্রাষ্ট ও অন্যান্য শাসন সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠান
২৭. স্থানীয় শিল্প বানিজ্য লাইসেন্স
২৮. জন্ম-মৃত্যু ও অন্যান্য পরিসংখ্যান
২৯. মহাজনি কারবার
৩০. স্থানীয় পর্যটন
জেলা পরিষদ সমূহের কাছে হন্তান্তরিত এসব বিভাগ সমূহের কাজ কি ? বিগত ২৩ বছরে যেখানে একটি হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা হয়নি একজন মুমুর্ষ রোগীকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যেতে হয় চট্টগ্রাম অথবা ঢাকায়। একটি স্বয়ং সম্পূর্ণ হাসপাতাল তো দূরের কথা জেলা পরিষদের অধীনে আসার পর থেকে হাসপাতালগুলিতে দুর্গন্ধে ওয়ার্ডে প্রবেশ করা যায়না। ভেঙ্গে পরেছে চিকিৎসা সেবা। অন্যান্য বিভাগের কথা নাইবা বলা হলো কিন্তু ভালো নেই হন্তান্তরিত বিভাগ সমূহের কর্মকর্তা কর্মচারীরা। প্রতিমাসে জেলা পরিষদ সমূহের সাথে মাসিক সমন্বয় সভা ও উন্নয়ন সভা ব্যতিত হন্তান্তরিত বিভাগের বেতন ভাতা স্বাক্ষর করা ছাড়া উন্নয়ন বা অগ্রগতি দৃশ্যমান নয়। পার্বত্য চুক্তি করার পর থেকে পার্বত্য অঞ্চলের মানুষ যোগ্যতার ভিত্তিতে চাকরী পাবে এমন আশা করেছিলো, সমতলে যেখানে তিন লক্ষ টাকা খরচ করে একজন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রার্থী চাকরী পায়, সেখানে পার্বত্য অঞ্চলে জেলা পরিষদগুলোর মাধ্যমে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের চাকরী পেতে গুনতে হয় আট থেকে দশ লক্ষ টাকা। পার্বত্য চুক্তির পর একটি বারের জন্য চুক্তি সম্পাদনকারী উভয়ে কেউ বলেনি যে, সরকারী চাকরী পেতে ঘুষ বাণিজ্য বন্ধ করা হোক। উল্টো চুক্তি সম্পাদনকারীদের দলীয় নেতাদের ঘুষ না দিলে মিলেনা চাকরী।
এখানে একটি কথা পরিষ্কারভাবে খোলাসা করা প্রয়োজন- পার্বত্য চুক্তির আলোকে স্থানীয় পার্বত্য অঞ্চলের অধিবাসীরা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে চাকরী পাওয়ার কথা কিন্তু ঘুষ বাণিজ্য ও আমলাতন্ত্রের জলিতার কারণে পার্বত্য অঞ্চলের বাহিরের লোকজন চাকরীর বাজার দখল করে আছে। যারা পার্বত্য অঞ্চলের মানুষকে ভালোবাসেন তাদের মধ্যে বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অন্যতম। কিন্তু যারা পার্বত্য অঞ্চলের মানুষকে মনেপ্রাণে ভালোবাসেন না এবং বিশ্বাস ও করেন না কেবলমাত্র চাকরির খাতিরে আসা সন্ধ্যা নেমে আসলে রঙিন আলোয় আলোকত হয়ে বিভিন্ন রেষ্টুরেন্টে ভোগ বিলাস করেন এধরনের লোকদের কাছে পার্বত্য অঞ্চলে আসা হলো ভ্রমন বিলাস। এই প্রকৃতির লোকেরা বছরে ৩৬৫ দিনের মধ্যে ৩৬৪ দিন পার্বত্য চুক্তি বিরোধী কার্যকলাপে লিপ্ত থাকে আবার চুক্তি স্বাক্ষরের দিন আসলে অর্থাৎ ২রা ডিসেম্বর আসলে জাক জমক পূর্ণভাবে দিনটিকে পালন করে। হাস্যকর হলেও অবিশ্বাস্য এদের আচরণ ও দৃষ্টিভঙ্গি। পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি নিয়ে অথবা চুক্তির পক্ষে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচারের বাধ্যবাদকতা তাদের কাছে জিম্মি। এরা কারা? ২০০৭ সালের পর থেকে পার্বত্য চুক্তি মুখ থুবরে পরেছে ।
বাস্তবায়নকারীরা সরে গেছে তার মূল স্প্রিড থেকে। পার্বত্য চুক্তির বর্ষপূর্তি এলে চুক্তি স্বাক্ষরকারীর একটি পক্ষ রাস্তবায়ন তোড়ন নির্মান, সভা সমাবেশ, খেলাধুলা ও আনন্দ আয়োজন করে বিশালভাবে পার্বত্য চুক্তির বর্ষপূর্তি উদযাপন করেন। চুক্তি স্বাক্ষরকারী আরেকটি পক্ষ রাজধানীতে ফাইভ ষ্টার হোটেলে সভা সমাবেশ করে এবং পার্বত্য অঞ্চলে শো-ডাউন করে পার্বত্য চুক্তির বর্ষপূর্তি উদযাপন করেন। পার্বত্য চুক্তি স্বাক্ষরকারীর এক পক্ষ বলেন পার্বত্য চুক্তি পূর্ণ বাস্তবায়িত হয়েছে অপরপক্ষ বলেন চুক্তির মূল ধারা সমূহ এখনো অবাস্তবায়িত রয়ে গেছে ইত্যাদি। পার্বত্য অঞ্চলের মুল সমস্যা হচ্ছে ভুমি সমস্যা যা আজ পর্যন্ত সমধান হয়নি এবং বর্তমান সরকারের নীতি নিধারকদের পার্বত্য অঞ্চল নিয়ে মনোভাব, দৃষ্টি পরিবর্তন না হলে পার্বত্য অঞ্চলের ভুমি সমস্যা সমধান হওয়ার সম্ভবনা নাই।
পার্বত্য অঞ্চলের শান্তিকামী সাধারন জনগন এসবের কোনটাতেই সন্তুষ্ট নয়। জাতীয় সংসদে পাশ হওয়া পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি আইনটি এখনো বলবৎ রয়েছে। তাহলে কি নতুন করে জাতীয় সংসদে আরেকটি পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি দায়-মুক্তি আইন পাশ করা হবে ? পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি স্বাক্ষরকারী উভয়ে এ দায় এড়াতে পারেন না।
পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণ শুভঙ্করের ফাকি আর ঘুম পাড়ানি মাসি পিসির গল্প শুনে দিন পার করতে রাজী নয়। পার্বত্য অঞ্চলের বিশেষ করে প্রত্যান্ত অঞ্চলের অধিবাসীরা না পারে সইতে না পারে কইতে এমন একটা জীবণ যাপন করছে তাদের কথা যেমন গণমাধ্যমে আসেনা তেমনি মুখ খুললে পরের দিন লাশ পরে থাকে। জিম্মি দশায় রয়েছে পার্বত্য অঞ্চলের সাধারন খেটে খাওয়া অধিবাসীরা। মুক্তি চায় এবং শান্তিতে বাঁচতে চায় পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষ।
গত ২৮ নভেম্বর-২০১৯ তারিখ বৃহষ্পতিবার সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে সোলার প্যানেল ও এনিম্যাল সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে কাপ্তাই লেক এ সিভাসু গবেষণা তরী উদ্বোধনকালীন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বক্তব্যে বলেছেন পার্বত্য চট্টগ্রামের আত্মসামাজিক উন্নয়নে আরো নতুন নতুন প্রকল্প গ্রহণ করা হবে। যাতে পার্বত্য অঞ্চলে বসবাসরত জনসাধারন জনসাধারন আর্থিকভাবে উন্নতি করতে পারে।
আজ বুধবার ২রা ডিসেম্বর ২০২০ সালে পার্বত্য চুক্তির ২৩ বছর পূর্ণ হয়েছে। এই ২৩ বছরে পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণ কি পেলেন আর কি হারালেন মূল্যায়ন করবেন পার্বত্য অঞ্চলের সাধারন জনগণ।
লেখক : নির্মল বড়ুয়া মিলন
মুখ্য সম্পাদক
সিএইচটি মিডিয়া টুয়েন্টিফোর ডটকম।
CBALO/আপন ইসলাম