অনলাইন ডেস্ক:মার্কিন নির্বাচনের দিন মঙ্গলবার শেষ রাতে জনসমক্ষে ভোট জালিয়াতির অভিযোগ এনে বক্তৃতা দেন ট্রাম্প। পরে বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ভাষণে নির্বাচন, ভোট গণনা নিয়ে অব্যাহতভাবে মিথ্যাচার করায় প্রেসিডেন্টের ভাষণ সম্প্রচার বন্ধ করে দেয় বেশ কয়েকটি মার্কিন গণমাধ্যম। এরপর থেকেই যেন হাওয়ায় মিলিয়ে গেলেন এই ক্ষেপাটে রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী। যেখানে তার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী জো বাইডেন ভাষণ এবং প্রকাশ্যে দেখা দিলেও উল্টো চিত্র ট্রাম্পের বেলায়।
বিশেষ করে নির্বাচনে বাইডেনের কাছে অনেক ভোট পিছিয়ে পড়ার পরেই নিজেকে অনেকটা আত্মগোপন করে রেখেছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল এখন সুতার ওপর ঝুলছে। ডেমোক্র্যাট পার্টির প্রার্থী জো বাইডেনের জয়ের চূড়ান্ত ঘোষণা এখন সময়ের ব্যাপার। অঙ্কের হিসাবে সম্ভাবনা একদমই কমে যাচ্ছে ট্রাম্পের।
বিশেষ করে নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভোট গণনায় ‘জালিয়াতির’ যে অভিযোগ তুলেছেন সেটি নিয়ে তার দল রিপাবলিকান পার্টিতে চরম মতভেদ দেখা দিয়েছে। ট্রাম্পও মনে করছেন রাজপথ এবং গণমাধ্যমে সমর্থকদের কাছ থেকে পর্যাপ্ত সমর্থন পাচ্ছেন না। এমন পরিস্থিতিতে তিনি ক্ষুব্ধ এবং হতাশ হয়ে পড়েছেন বলে দাবি করেছে ঘনিষ্ঠ কিছু সূত্র। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিবিএস নিউজের একটি প্রতিবেদনে এমনটি উঠে এসেছে।
ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সূত্রের বরাতে সিএবিএস নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, স্থানীয় সময় শুক্রবার ক্ষুব্ধ ট্রাম্প প্রচুর টিভি দেখছেন এবং একটু পর পর ফোন দিচ্ছেন। তবে কারও সঙ্গে সাক্ষাৎ করছেন না বলেও শোনা যাচ্ছে।
এরই মধ্যে পদত্যাগ করেছেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্ক এস্পার। সঙ্কটপূর্ণ মুহূর্তে সব কিছু মিলিয়ে অনেকটা ভেঙে পড়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। গুঞ্জন ওঠেছে, হোয়াইট হাউজের ঘণিষ্ঠ কর্মকর্তাও তাকে এড়িয়ে চলছেন।
মূলত হোয়াইট হাউজের অনেক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ট্রাম্পের পিছিয়ে পড়ার ইঙ্গিত স্পষ্ট হতেই তার সঙ্গ ছাড়তে শুরু করেছেন। নির্বাচনি প্রচার শিবিরের কয়েকজন কর্মকর্তারাও তার কাছ থেকে দূরে সরে যাচ্ছেন।
হোয়াইট হাউজে কি চলছে? এমন প্রশ্ন এখন সাধারণ মানুষে ভিতর ঘোরপাক খাচ্ছে। চূড়ান্তভাবে হেরে গেলে কি পদক্ষেপ নেবেন তিনি।
এখন পর্যন্ত ২৬৪টি ইলেকটোরাল ভোট নিয়ে এগিয়ে আছেন বাইডেন। জয়ের জন্য বাইডেনের প্রয়োজন আর মাত্র ৬টি ইলেকটোরাল ভোট। নেভাদা, জর্জিয়া, পেনসিলভানিয়া এই তিন রাজ্যেই এগিয়ে আছেন বাইডেন। এসব রাজ্যের যেকোন একটিতে জিতলেই বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হবেন।