মোঃ কামাল হোসেন:
যশোর অভয়নগরে অবহেলা অনাদর ও খাদ্যা অভাবে ঝর্ণা (২০) নামের এক প্রতিবন্দীর মৃত্য হয়েছে। মৃত ঝর্ণা নওয়াপাড়া পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড মিনিবাজার এলাকার নুরুজ্জামানের মেয়ে। সরেজমিনে যেয়ে জানা যায়, মৃত ঝর্ণা জন্ম থেকেই প্রতিবন্দী ছিলেন। তার বাবা নুরুজ্জামান দর্জি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। তার গচ্ছিত টাকা ও তার কৃষি জমির উপর দিয়ে গ্যাস লাইন নেওয়া বাবদ তার ক্ষতিপূরণ বাবদ পাওয়া ১৫ লক্ষ টাকা ব্যাংক ও পোষ্ট অফিসে রাখা ছিল, হঠাৎ করে নুরুজ্জামান ব্রেনষ্টক করলে শুরু হয় নুরুজ্জাম্মান ও তার প্রতিবন্দী মেয়ে ঝর্ণার প্রতি অবহেলা। এদিকে এলাকা সূত্রে জানা যায়, বেশ কয়েকবার তার স্ত্রী জোলেখা বেগম তাদের ফেলে তার বাপের বাড়ি যশোরে চলে যায়।
এমতঅবস্থায় অসহায় বাবা মেয়ে খেয়ে না খেয়ে কখনো প্রতিবেশী কখনও ভাইয়ের বাসা থেকে পাঠান খাবার খেয়েই কোন রকম বেঁচে ছিলেন। প্রতিবন্দী ঝর্ণার মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নুরুজ্জামানের ভাই আঃ রউফ বলেন, মেয়েটা খাদ্য আভাবে তার মায়ের অবহেলার কারণে মারা গেল। এ সময় তিনি জোলেখা বেগম ও তার ছেলে বাকেরের উপর অভিযোগ তুলে বলেন, ওরা দু’জন আমার ভাইয়ের টাকা ছ’লেব’লে কৌশলে আত্মসাৎ করে আমার অসুস্থ ভাই ও প্রতিবন্ধী ভাইঝিকে রেখে ১৫ দিন আগে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। এদের লোভের কারণেই আমার ভাইঝির মৃত্যু হয়েছে এবং আমার ভাইয়ো অসুস্থ অবস্থায় মৃত্যু মুখে রয়েছে ।
তবে এ বিষয়ে, জোলেখা বেগমের কাছে তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সত্য নয়। এ বিষয়ে ওই এলাকার স্থানীয় ও মিনিবাজার জামে মসজিদের সভাপতি মোঃ আব্দুল মজিদ শেখ, মোঃ ইসমাইল হোসেন মোঃ লুৎফর রহমান-সহ আরও বেশ কয়েকজন এলাকাবাসী জেলেখা বেগমের নামে আনিত অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মেয়েটাকে দাফন করানোর মত টাকাটাও আজ মেয়ের বাবা নুরুজ্জামানের নেই। সে এখন তার মেয়ের চেয়েও অসহায় হয়ে পরেছে। এদিকে আবদুল মজিদের নেতৃত্ব এবং এলাকাবাসীর সহযোগিতায় মেয়েটিকে আমরা দাফন কাফনের ব্যবস্থা করেছি। এছাড়া এলাকাবাসী সাংবাদিকদের উপস্থিত পেয়ে বলেন, এখন এই নুরুজ্জামানের দায়ভার কে নিবে…? এ সময় তারা (নুরুজ্জানের স্ত্রী ও ছেলের কথা তুলে ধরে বলেন) প্রতিবন্ধী ঝর্ণা ও নুরুজ্জামানে সাথে তার স্ত্রী জোলেখা ও সন্তান বাকের যে ব্যবহার করেছে তা সত্যিই দুঃখ জনক। তাদের আইনের আওতায় এনে কঠিন বিচার হওয়া উচিৎ। এবিষয়ে ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জিয়াউদ্দীন পলাশ জানান এহেন কর্মকাণ্ড সত্যিই দুঃখ জনক, তিনি বলেন, ঘটনার বিষয় আমি জানতে পেরে সেখানে তাত্ক্ষণিকভাবে উপস্থিত হয়, এবং দাফন কাফনের জন্য প্রস্তুতি নিতে বলি। এছাড়া আসন্ন নির্বাচন পদ প্রার্থী মোঃ সালাম শেখ জানান তিনিও সেই সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন এবং সত্যতা নিশ্চিত করেন।
CBALO/আপন ইসলাম