সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৫৪ অপরাহ্ন

ই-পেপার

ফের লকডাউন হচ্ছে জার্মানি-ফ্রান্স

প্রতিনিধির নাম:
আপডেট সময়: বুধবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২০, ১০:৫৩ অপরাহ্ণ

অনলাইন ডেস্ক:দ্বিতীয় দফা করোনা সংক্রমণে ইউরোপজুড়ে ফের বিধিনিষেধ জারি হয়েছে। লকডাউনের পরিকল্পনা করছে জার্মানি ও ফ্রান্স। নভেম্বরে মাসজুড়ে জারি হতে যাওয়া এই লকডাউনকে কিছুটা হালকা বলে অভিহিত করছে জার্মানি। এদিকে চার সপ্তাহ দেশ লকডাউনের পরিকল্পনা করা ফ্রান্স বলছে, পূর্বের মতো কঠোর হবে না।

বিবিসির এ খবর দিয়ে জানাচ্ছে, নতুন করে সংক্রমণের লাগাম টানতে বার, অবকাশযাপন কেন্দ্র ও হোটেল বন্ধ করা হবে কিনা এ নিয়ে রাজ্য পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল। এ দিকে ফ্রান্সের লকডাউন সংক্রান্ত বিস্তারিত জানাতে যাচ্ছেন প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ।

প্রথম দফার চেয়ে দ্বিতীয় দফায় করোনার প্রকোপ বেশি। অবশ্য এখন নমুনা পরীক্ষাও হচ্ছে বেশি। এ দিকে ইউরোপের বেশিরভাগ দেশে জারি হয়েছে রাত্রীকালীন কারফিউ। বড়দিনে পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে মানুষের দেখা করতে দেয়ার ব্যাপারে জার্মান সরকার আগ্রহী হলেও দেশটিতে রেকর্ড সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে।

জার্মানির লকডাউন শুরু হবে ৪ নভেম্বর। নতুন লকডাউনে স্কুল খোলা থাকলেও দুই পরিবারের মধ্যে দেখা-সাক্ষাৎ সীমিত করা হবে। ভ্রমণের ওপর জারি হবে নিষেধাজ্ঞা। বন্ধ করে দেয়া হবে বার, পেক্ষাগৃহ, থিয়েটার, অবকাশযাপন ও শরীরচর্চা কেন্দ্র। রেস্তোরাঁ খোলা থাকবে, তবে তা থাকবে সীমিত সময়ের জন্য।

ফ্রান্সের প্রতিরক্ষা পরিষদ ও মন্ত্রিসভা বুধবার চার সপ্তাহের লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু স্কুলগুলো খোলা থাকার কথাও শোনা যাচ্ছে। তবে প্রাপ্তবয়স্ক ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের অনলাইনে ক্লাস করার ব্যাপারে উৎসাহিত করা হবে বলে জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত থেকে নতুন লকডাউন কার্যকর হতে পারে।

মঙ্গলবার নতুন করে ফ্রান্সে করোনায় আক্রান্ত আরও ৫২৩ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে ২৩৫ জন আবাসিক কেন্দ্রগুলোতে। হাসপাতালে রোগী ভর্তি বৃদ্ধির কারণে সম্ভব হলে নতুন করে দেশে বৃহৎ পরিসরে লকডাউন নিষেধাজ্ঞা জারি করার অনুরোধ করেছে দেশটির হাসপাতাল ফেডারেশন।

দ্বিতীয় দফায় মহামারি করোনার সংক্রমণ নিয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছে ফ্রান্স সরকার। প্রতিদিন অর্ধ লক্ষাধিক নতুন রোগী শনাক্ত হচ্ছে। আগামী আরও তা বাড়বে বলেই শঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। প্যারিসের হাসপাতালগুলোর জরুরি সেবা দেয়ার মতো শয্যাগুলোর ৭০ শতাংশ এখন পূর্ণ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর