অনলাইন ডেস্ক:কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী এবং তার বোন প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে আটক করার কয়েক ঘণ্টা পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার (০১ অক্টোবর) বিকেলে উত্তর প্রদেশ পুলিশ রাহুলকে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেয় এবং জনসমাবেশে নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গের অভিযোগে তাদের আটক করে। তবে সন্ধ্যার দিকে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, নয়ডার কাছে বুদ্ধ ইন্টারন্যাশনাল গেস্ট হাউস থেকে বেরিয়ে এরই মধ্যে দিল্লির উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন তাঁরা। পুলিশ কর্মকর্তাদের বিশেষ অনুরোধে তারা হাথরাসে ধর্ষণের শিকার হওয়ার তরুণীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করার পরিকল্পনা আপাতত স্থগিত করেছেন।
হাথরাসে নিহত তরুণীর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করার জন্য এ দিন দিল্লি থেকে রওনা হয়েছিলেন সাবেক কংগ্রেস প্রধান রাহুল গান্ধী। সঙ্গে ছিলেন বোন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা, লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরী প্রমুখ। যদিও হাথরাস থেকে ১৪০ কিলোমিটার দূরে নয়ডার কাছেই রাহুলদের আটকে দেয় পুলিশ।
রাহুল গান্ধীর দাবি, নয়ডায় পুলিশ তাকে ধাক্কা দিয়েছে এবং মহাসড়ক দিয়ে হাথরাসের দিকে পদযাত্রার সময় প্রিয়াঙ্কাসহ তাদের দলের ওপর লাঠিপেটা করেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ।
আগে থেকেই রাহুল-প্রিয়াঙ্কা ঘোষণা করেছিলেন হাথরসে যাওয়ার কথা। কিন্তু আজ বৃহস্পতিবার ১৪৪ ধারা জারি করেছিলো যোগী সরকার। তাতেও কর্মসূচি বাতিল করেননি কংগ্রেস নেতা-নেত্রীরা। রাহুল-প্রিয়াঙ্কার গাড়িবহর গ্রেটার নয়ডায় আসতেই আটকে দেওয়া হয়। সেখানে গাড়ি থেকে নেমে উত্তরপ্রদেশ-দিল্লি হাইওয়ে ধরে হাঁটতে শুরু করেন তারা।
এর আগে, গত মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) উত্তরপ্রদেশের হাথরাসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার এক তরুণী রাজধানী নয়াদিল্লিতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। পরে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ পরিবারের সদস্যদের বিনাউপস্থিতিতে রাতের আঁধারে ওই তরুণীর মরদেহ পুড়িয়ে দেয়। এ ঘটনায় দেশজুড়ে ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হয়।
সূত্র : এনডিটিভি।