শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:৪৫ পূর্বাহ্ন

ই-পেপার

ভাঙ্গুড়ায় প্রশংসা পত্র ৫শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে দোকানে ; ইউএনও বরাবর লিখিত অভিযোগ

প্রতিনিধির নাম:
আপডেট সময়: শুক্রবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ৪:১০ অপরাহ্ণ

চলনবিলের আলো বার্তাকক্ষ:

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় এসএসসি পাশের পর প্রশংসা পত্র নিতে শিক্ষার্থীদের গুনতে হচ্ছে টাকা। টাকা ছাড়া মিলছেনা শিক্ষার্থীদের প্রশংসা পত্র। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার অষ্টমনিষা উচ্চ বিদ্যালয়ে।অভিযোগ উঠেছে বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক পষ্কজ কুমার পালের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে ভুক্তভোগী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। এদিকে দোকানে প্রশংসা পত্র বিক্রি করায় শিক্ষার্থী-অভিভাবকের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। অপরদিকে শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে টাকা নেওয়ার বিধান না থাকলেও নিয়মনীতির তোয়াক্কা করছেন না কতৃপক্ষ।

অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, ২০২০ সালে অষ্টমনিষা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মানবিক বিভাগ হতে ৩.৬৭ গ্রেডে উত্তীর্ন হয় এক শিক্ষার্থী। একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি হওয়ার জন্য প্রসংসা পত্র নিতে ওই শিক্ষার্থীর অভিভাবক বিদ্যালয়ে গেলে তার থেকে রশিদ ছাড়াই ৫০০ টাকা নেন সহকারি শিক্ষক পষ্কজ কুমার পাল।

 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,করোনা পরিস্থিতির কারণে সারা দেশের সকল বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় ভাঙ্গুড়া উপজেলার অষ্টমনিষা বাজার এআরপি ফটোষ্ট্যাট অ্যান্ড ডিজিটাল ষ্টুডিও’র দোকানে বিক্রি করা হচ্ছে প্রশংসা পত্র।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় মাধ্যমিক ও সংযুক্ত উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১৯টি, মাদ্রাসা ৯ দাখিল ও সংযুক্ত আলীম-ফাযিল মাদ্রাসা ৪টি, এসএসসি বা সমমান (ভোকঃ) ৯টি মিলে মোট ৪১ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে।

 

এবিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষার্থী ও অভিভাবক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ৫শত টাকা না দিলে মিলছে না এসএসসি-র প্রশংসা পত্র। অনেকটা বাধ্য হয়েই ওই টাকা দিয়ে নিতে হচ্ছে প্রশংসা পত্র ।


দোকানে প্রশংসা পত্র বিক্রির বিষয়ে জানতে চাইলে অষ্টমনিষা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক পষ্কজ কুমার পাল বলেন,করোনা পরিস্থিতির কারণে বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় দোকান থেকে দেয়া হয়েছে তবে এখন আর দিচ্ছি না।

 

অষ্টমনিষা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আনছার আলী বলেন,অষ্টম শ্রেণীর ও দশম শ্রেণীর প্রশংসাপত্র সবমিলিয়ে ৫০০ টাকার রশিদের মাধ্যমে গ্রহণ করা হচ্ছে।

অভিযোগের অনুলিপি প্রাপ্তি স্বীকার করে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ সাইফুল আলম বলেন,্বিষয়টি নিয়ে ইউএনও স্যারের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অভিযোগ প্রাপ্তি স্বীকার করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দ আশরাফুজ্জামান বলেন, বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে যথাযত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

#CBALO/আপন ইসলাম


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর