শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:৪৫ পূর্বাহ্ন

ই-পেপার

ভাঙ্গুড়ায় শিক্ষার্থীদের প্রশংসা পত্রের মূল্য ৫০০ টাকা !

প্রতিনিধির নাম:
আপডেট সময়: বুধবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ৯:৪৭ পূর্বাহ্ণ

চলনবিলের আলো বার্তাকক্ষ:

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় এসএসসি পাশের পর প্রশংসা পত্র নিতে শিক্ষার্থীদের গুনতে হচ্ছে টাকা।টাকা ছাড়া মিলছেনা শিক্ষার্থীদের প্রশংসা পত্র। এদিকে প্রশংসা পত্র দিতে শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে টাকা নেওয়ার বিধান না থাকলেও কর্তৃপক্ষ সে নিয়মনীতির তোয়াক্কা করছেন না। ২০২০ সালের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাশ করা কমলমতি শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে বোর্ড প্রদত্ত নম্বর পত্রে সাথে প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রশংসা পত্র দেওয়ার সময় ৩শত থেকে ৫শত টাকা করে অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তাদের রশিদের মাধ্যমে আদায় করে চলেছেন। এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় পাশ করে প্রশংসা পত্র নিতে পুনরায় টাকা দিতে না পারলে বা অস্বীকার করলে শিক্ষার্থীদের বিড়ম্বনার শিকার হতে হচ্ছে। কিন্তু মিলছে না এর কোনো প্রতিকার।

 

মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় মাধ্যমিক ও সংযুক্ত উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১৯টি, মাদ্রাসা ৯ দাখিল ও সংযুক্ত আলীম-ফাযিল মাদ্রাসা ৪টি, এসএসসি বা সমমান (ভোকঃ) ৯টি মিলে মোট ৪১ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। প্রতি বছরই এই সকল প্রতিষ্ঠান থেকে সহস্রাধিক শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় কৃতকার্য্য হয়ে থাকে।এসকল উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে ভর্তির জন্য শিক্ষাবোর্ড প্রদত্ত নম্বর পত্রের পাশাপাশি প্রাতিষ্ঠানিক প্রশংসা পত্রের প্রয়োজন হয়। দেশে করোনাভাইরাসের কারণে উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমান শ্রেণিতে ভর্তি প্রক্রিয়া প্রলম্বিত হলেও ইতোমধ্যে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবক বৃন্দ স্বস্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে বোর্ড প্রদত্ত নম্বর পত্রের পাশাপাশি প্রশংসা পত্র নিতে গেলে ছাত্র প্রতি ৩শত থেকে ৫শত টাকা পর্যন্ত গুনতে হচ্ছে । যা রশিদের মাধ্যমে আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। টাকা ছাড়া মিলছে না ছাত্র-ছাত্রীদের প্রশংসা পত্র। আবার অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রশংসা পত্রে আদায়কৃত টাকার রশিদ না দিয়েও গ্রহণ করে চলেছেন একই পরিমান টাকা। অপরদিকে উচ্চ মাধ্যমিক বা সমমান পর্যায়ে ভর্তির সময় প্রয়োজনীয় কাগজ পত্রের সাথে প্রশংসা পত্রে চাহিদা রয়েছে। ফলে তারা বাধ্য হয়েই প্রশংসা পত্র নিতে হচ্ছে। কিন্তু টাকা দিয়ে প্রশংসা পত্র নিতে ক্ষোভ প্রকাশ করে এর প্রতিকার দাবী করেছেন অনেক শিক্ষার্থী ও তার অভিভাবক।

 

এবিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষার্থী ও অভিভাবক ক্ষোভ প্রকাশ বলেন, ৫শত টাকা না দিলে মিলছে না এসএসসি-র প্রশংসা পত্র। অনেকটা বাধ্য হয়েই ওই টাকা দিয়ে নিতে হচ্ছে প্রশংসা পত্র ।

 

বিষয়টি নিয়ে সরকারি ভাঙ্গুড়া ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, পূর্বের কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রশিদের মাধ্যমে ৫শত টাকা করে গ্রহণ করা হচ্ছে। অষ্টমনিষা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আনছার আলী বলেন, অষ্টম শ্রেণীর ও দশম শ্রেণীর প্রশংসাপত্র সবমিলিয়ে ৫০০ টাকার রশিদের মাধ্যমে গ্রহণ করছেন। অপরদিকে অষ্টমনিষা হাসিনা-মোমিন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল খালেক সরকার বলেন, রশিদ এর মাধ্যমে ৩০০ টাকা নিয়ে প্রশংসা পত্র দিচ্ছি।টাকা নেয়ার বিধান আছে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বিধান আছে মর্মে টাকা নিচ্ছি না হলে তো আর নিতাম না।

 

এবিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ সাইফুল আলম বলেন, শিক্ষার্থীদের প্রশংসা পত্র দিতে টাকা নেওয়া যাবে না এটি এক ধরণের অন্যায় কাজ।

এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দ আশরাফুজ্জামান বলেন, বিষয়টি নিয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

#CBALO/আপন ইসলাম


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর