বিশেষ প্রতিনিধি:
পাবনার ভাঙ্গুড়ায় চাকরি দেওয়ার নামে লোভ দেখিয়ে ৩০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিসের নিরীক্ষণ কর্মকর্তা আনছার আলী ভুক্তভোগী তিনজনকে আংশিক টাকা ফেরত দিতে রাজি হয়েছেন। বুধবার(২৬ আগস্ট) উপজেলার পাথরঘাটা গ্রামে গভীর রাত পর্যন্ত স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গ্রামবাসীদের উপস্থিতিতে এক সালিস বৈঠকের পর ভুক্তভোগীদের এই টাকা ফেরত দিতে রাজি হয়েছেন। এতে ভুক্তভোগী পরিবার গুলির মধ্যে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরে এসেছে। আগামী পনেরো দিনের মধ্যে এই টাকা সবাইকে দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।
জানা গেছে , ভাঙ্গুড়া উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিসের নিরীক্ষণ কর্মকর্তা আনছার আলী ও যুব উন্নয়ন অফিসের অফিস সহকারী আবু সাঈদ ঢাকার একটি চক্রের সঙ্গে হাত মিলিয়ে গত বছরের জুন মাসের দিকে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের পাঁচজন যুবকের কাছ থেকে সরকারি চাকরি দেওয়ার কথঅ বলে প্রায় ৩০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছিল। পরে সকলেই চাকরিতে যোগদান করতে গেলে ভুয়া নিয়োগপত্রে কারণে প্রতারণার শিকার হন। এরপর থেকে দুজন চাকরি প্রার্থী আনছার আলী ও আবু সাঈদকে ধরপাকড় করে ওই চক্রের কাছ থেকে প্রদানকৃত অধিকাংশ টাকা তুলে নেন। কিন্তু উপজেলার পাথরঘাটা গ্রাামের আফসার আলীর ছেলে রাজিউল ইসলামের কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করেন আনছার আলী। বিষয়টি নিয়ে রাজিউলের পরিবার গত কয়েকমাস মাস আগে ওই কর্মকর্তার বাড়ি ঘেরাও করা সহ তাকে লাঞ্ছিত করে।
এ অবস্থায় গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিরা পারভাঙ্গুড়া ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব হেদায়েতুল হক ও ভাঙ্গুড়া পৌর মেয়র গোলাম হাসনাইন রাসেলের মধ্যস্থতায় বিষয়টি সমাধানের জন্য উদ্যোগ নেন। যার ফলে গত বুধবার গভীর রাত পর্যন্ত একটি সালিস বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সালিসে রাজিউল ইসলামকে পাঁচ লাখ টাকার মধ্যে তিন লাখ টাকা আনছার আলী ফেরত দেবেন বলে সিধান্ত হয়। এছাড়াও অপর ভুক্তভোগী একই গ্রামের ইমরান হোসেনের ছেলে সবুজকে ২ লাখ টাকার মধ্যে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা এবং চাটমোহরের সমাজ গ্রামের বাসিন্দা রিপন নামে আরেকজনকে তিন লাখের মধ্যে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা আনছার আলী ফেরত দিবেন বলে সিদ্ধান্ত হয় ওই বৈঠকে।
সালিসকারী ভাঙ্গুড়া পৌর মেয়র গোলাম হাসনাইন রাসেল বলেন, চাকরি প্রার্থীদের নিকট থেকে টাকা নিয়ে চাকরি না দিয়ে টাকা ফেরত না দিলে বেশ কিছুদিন ধরে বিষয়টি নিয়ে ঝামেলা চলছিল। এ নিয়ে ভুক্তভোগীরা ওই কর্মকর্তাকে একাধিকবার লাঞ্ছিত করে। তাই শান্তির লক্ষে সালিস বৈঠকের মাধ্যমে চাকরি প্রার্থীদের দেওয়া বেশির ভাগ টাকা ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।