সুজন কুমার,নাটোর প্রতিনিধিঃ
“৯৯৯” এ ফোন পেয়ে নাটোর জেলা পুলিশ রক্ষা করলো ৪০ জনের জীবন। যার মধ্যে ৫ জন শিশু, ১২ জন মহিলা এবং ২৩ জন পুরুষ। সারা রাত ধরে অনেক চেষ্টা করে বুধবার দিবাগত রাত ৪টার দিকে গুরুদাসপুর থানাধীন যোগেন্দ্রনগর এলাকা থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়। পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা। তিনি জানান, বুধবার সকালে নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলা থেকে ইঞ্জিন চালিত একটি নৌকায় করে ৪০ জনের একটি নারী শিশু ওপুরুষের দল নাটোরের সিংড়া উপজেলার চলন বিলে বেড়াতে আসে।
বেড়ানোর এক পর্যায়ে তারা সন্ধ্যে সাড়ে সাতটার দিকে বিলের মাঝখানে তিসিখালী মাজারে যায়। সেখান থেকে তারা মাজার জিয়ারত এবং খাওয় দাওয়া শেষে রাত সাড়ে দশটার দিকে নৌকাযোগে আত্রাই এর উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। তিন ঘন্টা চলার পর তারা বুঝতে পারেন যে তারা পথ হারিয়ে ফেলেছেন। এর মধ্যে প্রবল ঝড়বৃষ্টি এবং ঢেউ শুরু হলে তারা আতঙ্কে পড়ে যান। কিন্তু চলনবিলের মধ্যে তারা তাদের দিক কিংবা অবস্থান বুঝতে পারে না । তারা প্রকৃতপক্ষে কোন জায়গায় অবস্থান করছে কিংবা কোন দিকে যেতে হবে তারা তা বুঝতে পারছিল না ।
এরপর তারা ৯৯৯ এ কল করলে অনেক চেষ্টার পর পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় পুলিশের ৫টি টিম সারা রাত ধরে খুঁজে গুরুদাসপুর উপজেলার যোগেন্দ্রনগর এলাকা থেকে তাদের উদ্ধার করে নিরাপদে আত্রাই সীমানায় পৌঁছে দেয়। পুলিশ সুপার আরো জানান, এই দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় পড়ে নৌকা ডুবে তাদের ৪০ জনেরই প্রাণহানি ঘটতে পারতো। নৌকায় যথেষ্ঠ পরিমাণ আলো এবং লাইফ সাপোর্ট ছাড়া তাদের এভাবে ভ্রমণ করাটা মোটেও ঠিক হয়নি।