শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:১২ পূর্বাহ্ন

ই-পেপার

প্রকাশিত সংবাদ প্রসঙ্গে : ভাঙ্গুড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ড্রাইভারের প্রতিবাদ

প্রতিনিধির নাম:
আপডেট সময়: বুধবার, ২৬ আগস্ট, ২০২০, ১২:০২ অপরাহ্ণ

গত ২৩ আগস্ট অনলাইন ‘ভাঙ্গুড়ার আলো’ ও ‘অনাবিল সংবাদ’সহ ‘দৈনিক কালের কণ্ঠ’ পত্রিকার অনলাইনে “৯৯৯ কল করেও মিলেনি অ্যাম্বুলেন্স” ও ২৪ আগস্ট ১৫ পাতায় “ভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স: তদবির ছাড়া অ্যাম্বুলেন্সের চাকা ঘোরে না” শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন ভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভার মোঃ রবিউল ইসলাম।

ওই সংবাদটি মিথ্যা ও কাল্পনিক দাবি করে ড্রাইভার রবিউল ইসলাম বলেন, ‘‘ গত ২২ শে আগস্ট সকালে ভাঙ্গুড়া উপজেলার করোনা কালেকশনকৃত স্যাম্পল পাবনা জেলা ইপিআই সেন্টারে পৌঁছে দিয়ে ফিরে আসার পর হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ি। এ কারণে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: হালিমা খানম স্যারকে ফোন করে সাময়িক ছুটি নেই। সেই সাথে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ি।

 

” তবে ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ড্রাইভার অধিকাংশ সময় অ্যাম্বুলেন্স বাড়িতে অথবা হাসপাতালে রেখে বিশ্রামে থাকেন। বিশ্রামে থাকাকালিন সময় তিনি সরকারি হাসপাতালে টাঙ্গানো জরুরি সেবার জন্য তার মোবাইল নম্বর বন্ধ করে রাখেন – যা সঠিক নয়। এ ছাড়া জরুরি প্রয়োজনে বিশেষ ব্যক্তিরা ওই মোবাইল নম্বরে ফোন দিয়ে ড্রাইভারের নিকট থেকে অ্যাম্বুলেন্সের সেবা নেন অথচ অসহায় ও দরিদ্র রোগীরা সেই সুযোগ পাচ্ছে না বলে ওই সংবাদে যাপ্রচার করা হয়েছে তাও সঠিক নয়। রবিউল ইসলাম বলেন,প্রকৃত পক্ষে হাসপাতালে কোনো অসুস্থ ব্যক্তি এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক যদি মনে করেন তাকে দ্রুত জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এ সময় যদি হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্স থাকে তাহলেও রোগী পরিহনের জন্য কর্তৃপক্ষের নির্দেশ প্রয়োজন। ওই দিন কর্তৃপক্ষ এ রকম কোনো নির্দেশও তাকে প্রদান করেনি বলেও তিনি জানান।

তিনি আরো বলেন,অসুস্থ মানুষের সেবারব্রত নিয়েই তিনি অ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভারের চাকরি নিয়েছেন। তাই রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়াই তার কাজ। কিন্তু সরকারি হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স ব্যবহার করতে অবশ্যই কর্তৃপক্ষের অনুমতি প্রয়োজন। ওই রোগীর আত্মীয়-স্বজন সেই অনুমতি নিয়ে থাকলে কতৃৃপক্ষ অবশ্যই আমাকে তলব করতেন। এছাড়া একজন মানুষ হিসাবে তিনিও অসুস্থ থাকতে পারেন-এ বিষয়টিও সংবাদকর্মীদের অনুধাবনের প্রয়োজন ছিল। তাছাড়াও সংবাদটি প্রকাশের আগে ড্রাইভারের কোনো বক্তব্য না নিয়ে মিথ্যা ও একতরফা সংবাদ প্রচার করা হয়েছে।

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর