স্টাফ রিপোর্টার:
হঠাৎ মৃত মেয়ে দিসার কল আসে পরিবারের মোবাইল ফোনে। ফোনে পরিবারে কাছে ৪ হাজার টাকা চায় খুন হওয়া দিসা মনি। হঠাৎ মৃত মেয়ের ফোন পেয়ে পরিবারের লোকজন বিব্রত হয়ে পড়েন। গত এক মাস আগে শীতলক্ষ্যায় বেড়াতে গিয়ে গণধর্ষণের পর তাকে হত্যা করা হয়েছে ১৫ বছরের মেয়ে দিসা মনিকে। ঠিক তখন এমটাই প্রচার হয়েছিল গণমাধ্যমসহ সর্বত্র। সেই প্রেক্ষিতে পুলিশ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে দিসাকে গণধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায়। গ্রেফতারকৃত আসামিরা স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছিল। আর এই ঘটনার মাস না পেরুতেই ৪ হাজার টাকা চেয়ে পরিবারের কাছে মৃত মেয়ের ফোন আসে। দিসার মা-বাবা টাকা পাঠিয়ে ছুটে যান রেললাইন এলাকায়। এই খবর পেয়ে পুলিশ দিসা মনিকে উদ্ধার করে সদর মডেল থানায় নিয়ে আসে। দিসা মনি বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান‘মেয়েটিকে উদ্ধার এবং পুলিশের হেফাজতে রয়েছে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি আরো বলেন গ্রেফতারকৃত তিন আসামি কেন এই রকম জবানবন্দি দিয়েছে সেটা বলতে পারছি না। তবে তাদের আবারও রিমান্ডে নিয়ে পুনরায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।’ এর আগে, দীর্ঘ ১ মাস খোঁজাখুজির পর মেয়ে দিসা মনিকে না পেয়ে বাবা জাহাঙ্গীর হোসেন গত ৬ আগস্ট সদর মডেল থানায় অপহরণ মামলা করেন। এই মামলার তদন্তভার পান সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শামীম আল মামুন। এ মামলায় গ্রেফতার করা হয় বন্দর উপজেলার খলিলনগর এলাকার আমজাদ হোসেনের ছেলে আব্দুল্লাহ (২২), পশ্চিমপাড়া এলাকার সামসুদ্দিনের ছেলে রকিব (১৯) ও নৌকার মাঝি খলিলকে (৩৬)।
মামলায় দিসা মনির বাবা জাহাঙ্গীর উল্লেখ করেন, তার মেয়েকে স্কুলে যাওয়া-আসার পথে প্রেমের প্রস্তাব দিত আব্দুল্লাহ। তাকে বিরক্ত করতে নিষেধ করা হলে সে আমার মেয়েকে অপহরণের হুমকি দেয়। গত ৪ জুলাই সন্ধ্যায় আব্দুল্লাহ দিসা মনিকে ফোন দিয়ে তার কাছে যেতে বলে। এরপর থেকেই আমার মেয়ের কোন খোঁজ নেই।