শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:১১ পূর্বাহ্ন

ই-পেপার

আটঘরিয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এস এম শাহজাহান আলীর বিরুদ্ধে অভিযোগ

প্রতিনিধির নাম:
আপডেট সময়: রবিবার, ২৩ আগস্ট, ২০২০, ৫:৩৫ অপরাহ্ণ

আটঘরিয়া (পাবনা) প্রতিনিধি:
পাবনার আটঘরিয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এস এম শাহজাহান আলীর বিরুদ্ধে শিক্ষক ও কর্মচারীদের নতুন এমপিও ভুক্ত, বিএড স্কেল, উচ্চতর স্কেল পরিবর্তনের ক্ষেত্রে তাঁর কাছে গেলে শিক্ষকদের সঙ্গে দূর্ব্যবহার এবং শিক্ষক প্রতি ২০-২৫ হাজার টাকা আদায় এক লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন উপজেলার মাধ্যমিক পর্যায়ের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষকবৃন্দ।

মহাপরিচালক, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর, ঢাকা বরাবর লিখিত অভিযোগের ছায়া লিপি হতে জানা যায়, উক্ত শিক্ষা অফিসার এস এম শাহজাহান আলী আটঘরিয়া উপজেলায় মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার হিসেবে যোগদানের পর থেকেই শিক্ষকদের নানাভাবে হয়রানি ও ঘুষ দূর্নীতি করছেন। শিক্ষক ও কর্মচারীদের নতুন এমপিও ভুক্ত, বিএড স্কেল, উচ্চতর স্কেল পরিবর্তনের ক্ষেত্রে তাঁর কাছে গেলে শিক্ষকদের সঙ্গে দূর্ব্যবহার করেন এবং শিক্ষক প্রতি ২০-২৫ হাজার টাকা আদায় করেন। টাকা দিতে অস্বীকার করলে তার ফাইল ফেরৎ দেয়া হয়।

সম্প্রতি অনেক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মচারীদের উচ্চতর স্কেল প্রাপ্তির ফাইল প্রতি মোটা অংকের টাকা ঘুষ নিয়েও ফাইল ফেরৎ দেয়া হয়েছে। ফাইল ফেরতের ক্ষেত্রে ফেরতের সুনির্দিষ্ট কারণ উল্লেখ করার বিধান থাকলেও তিনি প্রত্যেকটি ফাইলে ঙঃযৎবং লিখে ফাইল ফেরৎ দিয়েছেন। ঙঃযৎবং বলতে কি বোঝানো হয়েছে এটা বোধগম্য নয়।

আটঘরিয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এস এম শাহজাহান আলীর ঘুষ দূর্ণীতির বিরুদ্ধে স্থানীয় শিক্ষক সমাজ ফুসে উঠেছেন। শিক্ষকদের পেটে লাথি মারার মত কাজ তিনি করছেন।

এ’ছাড়া বিদ্যালয় সমূহে পরিদর্শনে গেলে অর্থিক সুবিধা আদায় করে থাকেন। বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি, বই বিতরণে, বাৎসরিক মা সমাবেশের অর্থ, উদ্দীপনা পুরস্কারে অর্থ আদায়সহ বিভিন্ন অভিযোগ করেছেন তার বিরুদ্ধে।

মহাপরিচালক, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর, ঢাকা বরাবর লিখিত অভিযোগে স্থানীয় শিক্ষকদের দাবী তাঁকে অনতি বিলম্বে আটঘরিয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার থেকে অপসারণ পূবর্ক উপজেলায় সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

 

একাধিক গোপন সূত্রে জানা যায়, ইতিপূর্বে তিনি ভাঙ্গুড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার থাকা কালীনে শিক্ষকদের হয়রানী ও ঘুষ দূর্নীতির অভিযোগের কারণে চট্রগ্রাম বিভাগের কোন এক উপজেলায় বদলীয় করা হয়েছিল।

এ বিষয়ে উক্ত শিক্ষা অফিসারের সাথে যোগাযোগের জন্য তাঁর অফিসে দিয়ে তাঁকে পাওয়া যায় নাই। তিনি গত রবিবার থেকে অফিসে আসেন নাই। মোবাইলে যোগাযোগ করাও সম্ভব হয় নাই।

 

 

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর