যশোরের অভয়নগর উপজেলায় ভূমিহীন পরিবারের জন্য বরাদ্দকৃত জমি ও ঘর উপহারের নামে করা হয়েছে ব্যাপক লুটপাট। তথ্য অনুসন্ধানে জানা গেছে, সাবেক আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় ভূমিহীন পরিবারদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর উপহার সরকারি জমি ও ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়। ভূমিহীনদের জন্য বরাদ্দ জমি ও ঘর নিয়ে করা হয়েছে ব্যাপক দুর্নীতি ও লুটপাট। ফলে উপহার পাওয়া বসবাসকারী ভূমিহীন পরিবারগুলো রয়েছে চরম আতংকে উৎকন্ঠায়। তথ্য অনুসন্ধানে জানা গেছে তৎকালীন অভয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সরকারি ওই সব উপহারের ঘর তৈরি ও মেরামত কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিদের যোগসাজশে ভূমিহীনদের ঘর উপহার দেওয়া হয়েছে নামেমাত্র বাস্তবে কোটি কোটি টাকা লুটপাট করা হয়েছে। অনুসন্ধান করতে গিয়ে জানা গেছে, যাদের নামে উপহারের ঘর গুলো দেওয়া হয়েছে। বাস্তবে তাদের মধ্যে অধিকাংশ ভুমিহীন ব্যক্তি নয়। শুধুমাত্র টাকার বিনিময়ে অধিকাংশ ব্যক্তির নামে ওইসব উপহারের জমি ও ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে সরকারি ওইসব ঘর মোরামতে করা হয়েছে ব্যাপক লুটপাট। সরেজমিনে দেখা গেছে, ওইসব উপহারের ঘর মেরামতে নিন্মমানের ইট, বালুসহ সিমেন্টের পরিমাণ কম ব্যবহার করা হয়েছে। বরাদ্দকৃত অর্থের ৩ অংশোই লোপাট করা হয়েছে। ফলে বসবাসরত পরিবার গুলোর নামে বরাদ্দকৃত ঘর ভেঙেচুরে একাকার হয়ে পড়ছে। ঘরের বিভিন্ন স্থানে ফাটলসহ ভেঙেচুরে পড়ার উপক্রম হয়েছে। তথ্য সূত্রে আরো জানা গেছে, যাদের নামে ঘর- জমি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, তাদের অধিকাংশ ব্যক্তিরা ওইসব ঘরে বসবাস করেনা, তাদের আত্মীয় স্বজন অথবা তারা ওইসব ঘর ভাড়া দিয়ে তাদের নিজস্ব বাড়িতে বসবাস করছে। এমন ঘটনার অনুসন্ধান করতে গিয়ে দেখা গেছে উপজেলার আমডাঙ্গা গ্রামে সরকারি অনুদানের ২২ টি পরিবারকে দেওয়া হয়েছে ২২ টি ঘর ও জমি যা সম্পূর্ণ অনিয়মভাবে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এবং সরকারি ওইসব ঘরে পরিবারগুলোর বসবাস করার অনুপযুক্ত হয়ে পড়েছে। সরকারি ওইসব ঘরের অধিকাংশ ঘর ফাটল ধরে ভেঙেচুরে গেছে। ফলে যে কোন সময় ঘটতে পারে বড় দুর্ঘটনা। বরাদ্দ পাওয়া ঘরে বসবাসকারী মমতাজ বেগমকে পাওয়া যায়নি ওই ঘরে বসবাস করছেন তার মেয়ে। আর এক ঘর- জমি পাওয়া আলেয়া বেগম নামে একজন জানান, সরকারি উপহারের ঘর ও জমি পেয়ে আমি এই ঘরে বসবাস করছি, কিন্তু কিছুদিন পার হতেই আমার ঘরের দেওয়াল ফাটল ধরেছে, যে কোন সময় ভেঙেচুরে পড়বে আমাদের গায়ের উপর, সরকারি পক্ষ থেকে কেউ এপযন্ত খবর রাখেনি। আমরা অনেক ঝুঁকি নিয়ে এই ২২ টি পরিবার বসবাস করছি। আমরা চায় সরকারি ভাবে আমাদের খোঁজ খবর নিয়ে আমাদের এইসব ঘরগুলো পূর্ণ মেরামত করে দিলে আমরা নির্ভয়ে বসবাস করতে পারবো। এবিষয়ে অভয়নগর উপজেলা নির্বাহীকর্মকর্তা জয়দেব চক্রবর্তীর মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।