বিজয়া দশমীতে সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে সনাতন ধর্মালম্বীদের ধর্মীয় বড় অনুষ্ঠান শারদীয় দূর্গোৎসব।রবিবার সন্ধ্যায় দেবী দূর্গার প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়েই দূর্গাপূজার সমাপ্তি হলো।দেবীকে বিদায় জানাতে সলঙ্গা ভুষাল হাটা,গার্লস স্কুল মাঠ,উত্তরপাড়া জগন্নাথ মন্দির,বাসুদেব কোল মন্দিরসহ সলঙ্গার অন্যান্য মন্দির ও গাঢ়ুদহ নদীর তীরে জড়ো হয়েছিল হাজারো ভক্ত।এবার সলঙ্গায় ২৪ টি মণ্ডপে শারদীয় দূর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়।
বিজয়া দশমীতে পূজা উদযাপনের প্রধান আকর্ষন নারীদের সিদুঁর খেলা।মণ্ডপ ও মন্দিরে দূর্গার পায়ে সিঁদুর নিবেদন করেন।সিঁদুরে দেবী দূর্গার শক্তির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয় বলে অনেক নারীরাই জানান।শুধু তাই নয়,হিন্দু নারী-পুরুষ একে অপরের গায়ে,মুখে,কপালে সিঁদুর মাখিয়ে জীবনের সমৃদ্ধি কামনা করেন। উত্তরপাড়া শ্রী শ্রী জগন্নাথ মন্দির প্রাঙ্গণে বিকেল হতে সন্ধ্যা পর্যন্ত শিশু,কিশোর-কিশোরীদের নেচে গেয়ে বিনোদন যেন মাতিয়ে তুলেছিল মন্দির এলাকা।আবার সন্ধ্যায় প্রতিমা বিসর্জনের সময় অনেক ভক্তকে অশ্রুসিক্ত নয়নেও দেখা গেল।এবারে রাজনৈতিক দল বিএনপি,জামায়াতের পক্ষ হতেও নেয়া হয়েছিল কড়া পদক্ষেপ ও সতর্ক।সার্বক্ষনিক তারা পূজা উদযাপন কমিটির সদস্যদের সাথে যোগাযোগ ও মন্ডপ পরিদর্শন করেছেন।সলঙ্গা থানা পূজা উদযাপন কমিটির সাধারন সম্পাদক গজেন্দ্র নাথ মন্ডল জানান,এবারে প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনী খুবই তৎপর ছিল।তাই কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই নির্বিঘ্নে উৎসব মুখর পরিবেশে সুষ্ঠ, সুন্দর ও শান্তিপুর্ণ ভাবে সলঙ্গায় দূর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।বিসর্জনকে ঘিরে প্রতি বছরের ন্যায় এবারেও সলঙ্গা বাজার কদমতলায় বসেছিল মেলা। মেলায় শিশুদের হরেক রকমের খেলনা,মাটির তৈরি পুতুল,হাড়ি পাতিল,ব্যাংক, তৈযসপত্র,ঝুড়ি-মুড়কি,খাজা,লাড্ডুসহ প্লাস্টিকের তৈরি রকমারি জিনিস।মেয়েদের প্রসাধনীর দোকানও বসেছিল অনেক।পূজার শেষে বিসর্জনের দিন এ মেলাতে প্রচুর বেচাকেনা হয় বলে জানিয়েছেন মেলা আয়োজক কমিটি।