শুক্রবার মহাষ্টমীতে কুমারী পূজা পালিত হয়।বাঙালী হিন্দু সম্প্রদায়ের বড় উৎসব শারদীয় দূর্গাপুূজায় চলছে একের পর এক আনুষ্ঠানিকতা।ষষ্ঠী,সপ্তমী,অস্টমী পেরিয়ে গতকাল মহানবমী তিথি উৎসবমুখর ও শান্তিপুর্ণ ভাবে চলছিল।প্রতিটি মন্ডপে চলছে ঠাকুরের চন্ডিপাঠ,শুরু হয়েছে ঢাকের শব্দ।ঘন্টার শব্দ আর কাঁসার ধ্বনির সাথে ভক্তদের উলোধ্বনিতে মুখরিত হচ্ছে মন্ডপ অঙ্গন।ধুপের গন্ধে মোহিত করে তুলেছে পূজার প্রতিটি এলাকা।বেশির ভাগ মন্ডপ এলাকায় আলোক সজ্জা ও বর্ণিল সাজে সজ্জিত হয়েছে।সলঙ্গা উত্তরপাড়া জগদ্বিশ্বরী মন্দিরের বিশাল এলাকা আলোক সজ্জা যেন সবার মন কেড়েছে।জগদ্বিশ্বরী কালিমাতা মন্দিরে পূজা করতে আসা কিশোরী রত্না কুমারীর সাথে কথা হয়।সে জানায়,আসুন আমরা প্রতিহিংসা,বিভেদ-বিদ্বেষ ভুলে সবাই এক সাথে শান্তিতে বসবাস করি।মায়ের কাছে এ প্রার্থনাই করি। জগদ্বিশ্বরী মন্দির এলাকায় বসেছে অনেক দোকান।শিশু,কিশোরসহ আগতরা তাদের পছন্দের জিনিস ক্রয় করছেন।কেউবা মুখরোচক অনেক কিছুই খাচ্ছেন।কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে সলঙ্গায় ২৪ টি মন্ডপে সুষ্ঠ,সুন্দর ও শান্তিপুর্ণ পরিবেশে চলছে দূর্গাপূজা।
গতকাল মহানবমীতে মন্দিরে মন্দিরে ভক্ত ও দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভীড় দেখা যাচ্ছে।বিকেল হতে গভীর রাত পর্যন্ত পুর্ণার্থী,দর্শনার্থী ও ভক্তদের যেন মিলন মেলা।এবারে বৈরি আবহাওয়া উপেক্ষা করে সব বয়সের দর্শনার্থীরা ও সকল ধর্মের মানুষের পদচারনায় মুখরিত ছিল মন্ডপগুলো।দূর্গাপূজাকে ঘিরে প্রতি বছরই ঐতিহ্যবাহী সলঙ্গার কদমতলায় চারু-কারু শিল্পের পূজার মেলা বসতো।এবারেও বিজয়া দশমী ও প্রতিমা বিসর্জনের দিন সলঙ্গায় হরেক রকমের পণ্য নিয়ে মেলা বসবে।