পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড কর্তৃক পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিগুলোতে বেতন বৈষম্য, মানহীন ও নিম্নমানের মালামাল সরবরাহের কারণে ভঙ্গুর বিতরণ ব্যবস্থা নিরসনসহ অভিন্ন চাকরি বিধি ও চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে ৬ষ্ঠ দিনের মত চলছে পাবনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর কর্মকর্তা কর্মচারীদের অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি পালন করছেন। তবে জরুরী গ্রহক সেবা ও বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রেখে গত সোমবার (০১ জুলাই) থেকে এ কর্মসূচি চলছে।
সমিতির প্রধান কার্যালয়সহ ৩টি জোনাল অফিস ও একটি সাব-জোনাল অফিস, এরিয়া অফিস ও অভিযোগকেন্দ্র সহ ৫ শতাধিক কর্মকর্তা কর্মচারীগণ এ কর্মবিরতিতে যোগ দেন। তারা ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চাটমোহরে অবস্থিত পাবনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর প্রধান কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচিতে সমিতির বিভিন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বক্তব্য রাখেন।
পাবনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর এজিএম আইটি সামিরুল ইসলাম বলেন, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড এবং পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি একীভূতকরণ সহ অভিন্ন চাকুরিবিধি বাস্তবায়নের দাবিতে এ কর্মসূচি চলমান রয়েছে।
সোমবার (১ জুলাই) থেকে কর্মসূচি শুরু হয়েছে এবং দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ কর্মসূচি চলমান থাকবে।
শনিবার (৬ জুলাই) সকাল থেকে শুরু হওয়া প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন, টেকসই বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা ও মানসম্মত নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড কর্তৃক নিম্নমানের বৈদ্যুতিক মালামাল ক্রয়ের মাধ্যমে ভঙ্গুর বিতরণ ব্যবস্থা, প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোগত জটিলতা এবং পলিসি প্রণয়নে অদক্ষতার কারণে সাধারণ গ্রাহকদের ভোগান্তি বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেই সঙ্গে সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ প্রতি নিয়ত নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন।
জানা গেছে, দেশের ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রায় ৪০ হাজার কর্মকর্তা কর্মচারী গত ৫ মে থেকে জরুরী বিদ্যুৎ সেবা চালু রেখে কর্মবিরতিতে নামেন। এ সময় বিদ্যুৎ বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ১৫ দিনের মধ্যে আলোচনায় বসে দাবি বাস্তবায়নের আশ্বাসে তারা সেসময় কর্মবিরতি স্থগিত করে কাজে যোগ দেন।
কিন্তু গত প্রায় দুই মাস অতিবাহিত হলেও ওই সমস্যার সমাধান না হওয়ায় কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সোমবার হতে ফের কর্ম বিরতি শুরু করেন পাবনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর কর্মকর্তা কর্মচারীগণ। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলে আন্দোলনরত কর্মকর্তা কর্মচারীরা জানিয়েছেন। তবে জরুরী গ্রাহক সেবা ও বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক থাকবে বলে জানান তারা।
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, আটঘরিয়ার (ডিজিএম) মো. আশরাফুল হক, সদর দপ্তরের ডিজিএম (কারিগরি) মো. সুহেল আখতার, দাশুড়িয়া জোনাল অফিসের ডিজিএম মো. কামাল হোসেন, ভাঙ্গুড়া জোনাল অফিসের ডিজিএম মো. মোজাম্মেল হক,এজিএম আলহাজ উদ্দিন (ওএন্ডএম), এজিএম (এইচ আর) কুদরত-ই ইলাহী, এজিএম (ওএন্ডএম), ফরিদপুর সাব-জোনাল অফিসের এজিএম মো. মনির হোসেন (ওএন্ডএম), জুনিয়র ইন্জিনিয়ার মো. হাসানুজ্জামান, সহকারী জুনিয়র ইন্জিনিয়ার মো. নাছিরুল হক, আটঘরিয়ার ইসি মোস্তাক আহমেদ, লাইন টেকনিশিয়ান আক্তার উদ্দিন, লাইনম্যান সাজেদুর রহমান, মিটার রিডার কাম ম্যাসেন্জার) সাইফুল ইসলাম, লাইন টেকনিশিয়ান আবু তালেব, লাইন শ্রমিক সাদ আহমেদ প্রমূখ।