পাবনার ঈশ্বরদিতে জমজম স্পেশালাইড হাসপাতালের আয়া ও ঝাড়ুদার কে দিয়ে ডেলিভারি করে নবজাতকের মৃত্যুর প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে মৃত নবজাতকের পরিবার ও এলাকাবাসী। মঙ্গলবার (১১ জুন) সকাল ১০ টার দিকে শহরের রেলগেটে এই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। এসময় পরিবার ও এলাকাবাসী জমজম স্পেশালাইড হাসপাতালটি বন্ধের দাবি ও ডাঃ নাফিসা কবির সহ ক্লিনিকের আয়া ও ঝাড়ুদারদের শাস্তির দাবি জানায়। এর আগে গত শনিবার (৮ জুন) রাত ১০টায় উপজেলার পৌর এলাকার হাসপাতাল রোডে অবস্থিত জমজম স্পেশালাইড হাসপাতালে লালপুর উপজেলার দুয়ারিয়া ইউনিয়নের মাঝগ্রাম এলাকার মোঃ সাইদুর রহমানের স্ত্রী জিমু খাতুন ডেলিভারির জন্য ভর্তি হন। পরে ডাঃ নাফিসা কবির জিমুকে দেখে আল্ট্রাসনো করতে বলেন। আল্ট্রাসনোর রিপোর্ট দেখে জিমুর পরিবারকে নরমালে ডেলিভারির জন্য তিন ঘন্টা অপেক্ষা করতে বলে ডাঃ নাফিসা কবির বাসায় চলে যায়। পরবর্তীতে রাত তিনটার দিকে জিমুর প্রসবের তীব্র যন্ত্রণা বেড়ে গেলে ডাক্তারকে খবর দেওয়া হয়। ডাক্তার না আসায় ক্লিনিকের আয়া ও ঝাড়ুদার ডেলিভারি সম্পূর্ণ করতে ব্যর্থ হওয়ায় নবজাতক শিশুটির সঙ্গে সঙ্গেই মৃত্যু হয়। এই বিষয়ে সেই দিনই মৃত নবজাতকের পিতা মোঃ সাইদুর রহমান ঈশ্বরদী থানায় লিখিত এজাহার দায়ের করেন।
প্রায় ২ ঘণ্টার মানববন্ধন শেষে একটি মিছিল নিয়ে ঈশ্বরদী থানায় যায় পরিবার ও এলাকাবাসী। সেখানেও নবজাতক শিশুটিকে
হত্যার বিচারের দাবি উল্লেখ করে স্লোগান দিতে থাকে। পরে থানার সেকেন্ড অফিসার এসে পরিবেশ শান্ত করে তাদেরকে সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাস দেন।