সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ১০:৩০ পূর্বাহ্ন

ই-পেপার

অভয়নগরে আদালতে বিচারাধীন থাকা অবস্থায় ক্ষমতাবলে জমি দখলের অভিযোগ

মোঃ কামাল হোসেন, অভয়নগর(যশোর):
আপডেট সময়: বৃহস্পতিবার, ৯ মে, ২০২৪, ১২:১৪ অপরাহ্ণ

যশোরের অভয়নগরে আদালতে মামলা বিচারাধীন থাকা অবস্থায় মামলার বাদীর দখলীয় জমি ক্ষমতা বলে জোর করে দখল করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিবাদীর বিরুদ্ধে। গত ৩ মে শুক্রবার নওয়াপাড়া হাসপাতাল রোডে এ ঘটনা ঘটে। সরেজমিনে ও মামলা সূত্রে জানা  গেছে, উপজেলার নওয়াপাড়া বুইকরা মৌজার আর এস খতিয়ান ৩৫৪ নং যার আরএস দাগ নং ২৭০২-২৭২১, জমির পরিমান ১১.৭৭ শতাংশ জমি দীর্ঘদিন বাদী উপজেলার শংকরপাশা গ্রামের মৃত- মকছেদ মোল্লার ছেলে মোঃ শুকুর আলী দখলে থাকা অবস্থায় এয়াজ দলিলের অজুহাতে উপজেলার বারান্দি গ্রামের মৃত- আরজান শেখের ছেলে মোঃ আব্দুল খালেক শেখ ওই জমি দাবি করে দখল নিতে গেলে বাদী শুকুর আলী বিজ্ঞ আদালতে বিরোধীয় জমি নিজের দাবি করে একটি দেওয়ানী মামলা দাখিল করেন যার মামলা নং ৪৬/১৫ মামলা বিচারাধীন চলা অবস্থায় ওই জমি বাদীর দখলে থাকে এবং ওই জমি বাদী দুইজন ব্যবসায়ীকে চুক্তিতে ভাড়া দিয়ে দখল স্বত্ত বজায় রাখে। মামলা পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ওই জমিতে যে দুইজন ব্যবসা করতেন তারা দু’জন বিজ্ঞ আদালতে স্বাক্ষ্য দিয়েছেন, বিরোধীয় জমি বাদীর দখলে এবং তারা বাদীর কাছ থেকে মাসিক চুক্তিতে নন জুডিশিয়াল স্টাম্পে চুক্তি সম্পাদন করে শান্তিতে ব্যবসা করে আসছিলো। গত ২৫/০৩/২০২৪ ইং তারিখ বিজ্ঞ আদালত মামলায় প্রর্যাপ্ত পরিমান তথ্য উপাত্ত না থাকায় বাদীর আনিত মামলাটি খারিজ করে দেন। ফলে বাদী পড়ে বিপাকে। বাদী কালক্ষেপণ না করে ওই মামলা খারিজের বিরুদ্ধে চ্যালেন্স করে উচ্চ আদালতে গত ২৮/০৩/২০২৪ তারিখে আপিল যার নং ২৩/২৪। আপীল করার নোটিশ বিবাদী মোঃ আব্দুল খালেক শেখের কাছে পৌছানোর পরে গত শুক্রবার ৩ মে বিবাদির ছেলে মনিরুল শেখ ও খালেক শেখসহ স্থানীয় প্রভাবশালীদের যোগসাজশে শতাধিক মানুষ ওই জমির ভাড়াটিয়া দু’জনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুরসহ ওই জমিতে চতুরপাশে প্রাচিল দিয়ে দখল করে নেয়। সরেজমিন ও বিভিন্ন সূত্রে জানাগেছে কয়েক কোটি টাকার জমি বাদী, বিবাদির এই মামলা মোকদ্দমা অনেক আগে থেকে চলছে। কেউ কোটি কোটি টাকার ওই জমি হারাতে রাজি নয়। অন্যদিকে বাদী প্রমান স্বরুপ জানিয়েছেন এবং প্রতিবেদকের কাছে একটি এওয়াজ দলিল দাখিল করেন যে দলিল নং ৫০৭২/৮৬ নং জমির দলিল পর্যালোচনা করে দেখা যায়। নালিশী জমি আখিরুন নেছা ও নুরজাহানের মধ্যে এয়াজ সম্পূর্ণ হয়। এয়াজের শর্ত অনুযায়ী নালিশী ও বে নালিশী জমি এয়াজ হয়। কিন্তু দলিলের ক এবং খ তপশিলে দেখা যায়। উভয় জমি ২ য় পক্ষ অর্থাৎ আখিরুন নেছা প্রাপ্ত হয়েছে। অথচ বর্তমান খালেক দিং ১ম পক্ষ নুরজাহানের কাছ থেকে নালিশী জমির ৫০৭২ নং দলিল সূত্রে নুর জাহানের কাছ থেকে ২ টি এয়াজ দলিল করে নিয়ে প্রাই ৩৫ বছরপর জোর করে দখলে নেওয়ার অভিযোগ। এ বিষয়ে উপজেলার বারান্দী গ্রামের আব্দুল খালেক শেখের ছেলে মোঃ মনিরুল ইসলাম শেখ বলেন জমির কাগজপত্র সব আমাদের নামে, দেওয়ানী মামলার রায়ও আমাদের পক্ষে, জমি আমাদের দখলে আগেও ছিলো এখনো আমরা ইটের প্রাচিল দিয়ে দখল করে রেখেছি। বাদি আপিল করেছে শুনেছি আপিলে বাদী শুকুর জমির রায় পেয়ে গেলে আমরা স্ব ইচ্ছায় জমি বাদি শুকুরকে ছেড়ে দেবো। এবিষয়ে মামলার বাদি শুকুর আলী বলেন, নালিশী জমি ১৩/০৮/১৯৮৬ ইং তারিখে যে ৫০৭২  নং এয়াজ দলিল সম্পাদন হয়েছে ওই দলিল অনুযায়ী নূর জাহান কোন জমির মালিক নাই, কিন্তু বিবাদি আব্দুল খালেক ওই দলিল সূত্রে নুর জাহানের কাছ থেকে যে ৩/০৯/১৯৮৬ তারিখে ৫২৮৩ নং ও ৩১/০৩/১৯৮৮ তারিখে ১৫৭৮ নং দলিলে মোট ১১.৭৭ শতাংশ জমি দুইটি এওয়াজ দলিলে উল্লেখ করেছে। সে দলিল সঠিক নয়। কারণ ওই দুইটি দলিল দাতা ৫০৭২ নং দলিলের ক ও খ তপশীল অনুযায়ী নালিশি জমির মালিক নয়। তাই আমি সঠিক ন্যায় বিচারের জন্য বিজ্ঞ আদালতের দারস্থ হয়েছি। ইনশাল্লাহ আদালত সবকিছু প্রর্যালোচনা করে ন্যায় বিচার করবেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর