পাবনার ঈশ্বরদীতে প্রতিনিয়ত নির্বিঘ্নে কাঁটা হচ্ছে গাছ। যেখানে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রেণে বৃক্ষ রোপন করা অতি জরুরি, ঠিক সেই মুহুর্তে গাছ কেঁটে নিয়ে যোগান দিচ্চে ইটভাটায়। এসব অবৈধ যানবাহন করে কাঁটা গাছের গুঁড়ি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে অবৈধ ইট ভাটায় জ্বালানি হিসেবে। গাছ কেঁটে পরিবেশ ধ্বংসের দায়িত্ব নিয়েছে অবৈধ ইটভাটার মালিকগণেরা। নির্বিচারে গাছ কেঁটে পরিবেশকে ফেলে দিচ্ছে হুমকির মুখে। প্রচন্ড তাপদাহে ও বৈশ্বিক উষ্ণতা থেকে মুক্তি দিতে পারে যে গাছ সেই গাছকেই কাটা হচ্ছে জ্বালানি হিসেবে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঈশ্বরদী উপজেলায় মোট ইট ভাটার সংখ্যা ৬৮ টি। তবে এবছর এখন পর্যন্ত সচল করা হয়েছে মোট ৫২টি। আর এসব ইট ভাটার জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হয় কাঁচা গাছ। একদিকে কাঠ পোড়ানোর ফলে যেমন হচ্ছে পরিবেশ দূষণ অন্য দিকে নির্বাচারে বৃক্ষ নিধনের ফলে পরিবেশ তার ভারসাম্য হারাচ্ছে। অবাধে বৃক্ষ নিধনের কারণে প্রকৃতির এই রুদ্র আচরণ। এছাড়া ইটভাটার লেলিহান শিখায় মুনাফালোভী ইটভাটার মালিকরা জ্বালিয়ে দিচ্ছে বড় বড় তড়-তাজা গাছ। যার ফলে অসময়ে অনাবৃষ্টি, খরা, অতিবৃষ্টি, প্রচণ্ড দাবদাহ, বিভিন্ন রকমের প্রকৃতিক দূর্যগের কবলে পড়ছে জনসাধারণ। পরিবেশের এমন বিপর্যয়ের ফলে বেড়েছে তাপমাত্রা । প্রতিদিনই প্রায় ঈশ্বরদীতে তাপমাত্রা ৪৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস এর উর্বোশ রের্কড করছে ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিস। পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে বৃক্ষ নিধন বন্ধ করা উচিত বলে মনে করেন সচেতন মহল।