৫ এপ্রিল ঢাকায় কারফিউর একটু শিথিল হয়
এদিন দলে দলে লোক জন ঢাকা ত্যাগ ছাড়ে,
যশোর থেকে কুষ্টিয়ার পথে ঘাতক হানাদার বাহিনী
বিশাখালিতে মুক্তিবাহিনীর এ্যামবুশের ফাদে পড়ে ।
কুষ্টিয়ার বিশাখালীতে স্থানীয় কৃষকদের আক্রমনে
ঘাতক হানাদার বাহিনীর সকল সেনা প্রাণ হারায়,
পাকবাহিনী বিশাখালীতে ঘাটিতে আক্রমণ করে
নির্ভীক যোদ্ধারা পাল্টা হামলা করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
এই দিনে দশ মাইল এলাকায় হানাদার বাহিনী
মুক্তিযোদ্ধাদের উপর অতর্কিতে হামলা চালায়,
দশমাইলে ঘাতক বাহিনীর কাপুরোষিত হামলায়
অনেক বাঙালি ইপিআর বাহিনীর সদস্য শহীদ হয় ।
সিলেটের সুরমা নদীর দক্ষিণ পারে খন্ড যুদ্ধে
মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে পাকবাহিনী পরাজিত হয়,
পালিয়ে শালুটিকর বিমান ঘাঁটিতে একত্র হয়
মুক্তিযোদ্ধারা সাহসিকতার সাথে যুদ্ধ করে যায়।
শেরপুর-শাদীপুর এলাকায় হায়েনার সাথে যুদ্ধে
পাকবাহিনীর কাছ থেকে শেরপুর শাদীপুর মুক্ত করে,
গ্রামবাসীর সহযোগীতায় পাকসেনাদের খুঁজে খুঁজে
মুক্তিযোদ্ধা পুরো প্লাটুনের সৈন্যদের মারে ।