শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫, ০৬:১২ পূর্বাহ্ন

ই-পেপার

শিরোনাম :
শিরোনাম :
ভূয়া মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মসমর্পণের আহবান,নইলে দুটি মামলার হুশিয়ারি-কালিগঞ্জে ৯নং সেক্টরের উপ-অধিনায়ক লামা-চকরিয়া সড়কে মর্মান্তিক দূর্ঘটনায় চালক নিহত আটোয়ারীর প্রতিবন্ধী আখতারুল হাসান মানবেতর জীবনযাপন করছে দ্রুত অবসরভাতা প্রদানের দাবিতে গোপালপুরে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান আটোয়ারীতে ২৪-এর রঙে গ্রাফিতি ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের পুরস্কার বিতরণ ঈশ্বরদীতে চাল মিলের বর্জ্য পানিতে ৪৫টি পরিবার অবরুদ্ধ  গোপালপুরে গণসংযোগে শাকিল উজ্জামান: “দুর্নীতিবাজদের বর্জন করুন, জনগণের ভরসা হতে চাই” সাতক্ষীরায় আব্দুল আলিমের মনোনয়নের দাবীতে সড়ক অবরোধ করে মশাল মিছিল

গোদাগাড়ী উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

রাজশাহী প্রতিনিধি:
আপডেট সময়: বৃহস্পতিবার, ২১ মার্চ, ২০২৪, ৫:৫৫ অপরাহ্ণ

গোদাগাড়ী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে জমি দখল, অবৈধ পুকুর ভরাট, পাওনা টাকা আদায়ের নামে অর্থ আত্মসাৎ, মাদক কারবারিদের রাজনৈতিক সহযোগিতা প্রদান, রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করে মাদক ব্যবসা পরিচালনাসহ উপজেলা পরিষদের নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
স্হানীয় সুত্রে জানা যায়,চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে এসে বিপুল অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন।অগাধ সম্পত্তির মালিক বনে গেলেও অপরাধ যেনো থামছেই না তাঁর।অবৈধ পুকুর ভরাট করে প্লট আকারে বিক্রি করছেন তিনি।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে উপজেলার মাধবপুর এলাকার এক মেম্বার বলেন,আমার পরিচিত একজনের নিকট ১৬ লাখ টাকা পেতাম।সেই বিচার করেন চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম।তাঁর কাছে বিচার গেলে মুচলেকার নামে তিনি আমার নিকট থেকে ২ লাখ টাকা নেন।পরে বিচারও হয়নি আমার টাকাও ফেরত দেয়নি।আমার ১৬ লক্ষ টাকাও ফেরত পাইনি, আবার দুই লক্ষ টাকাও হারিয়েছি।এভাবেই কান্না জড়িত কন্ঠে কথাগুলো বলছিলেন জনৈক মেম্বার।
গোদাগাড়ী স্থানীয় এক ভুক্তভোগী বলেন, গোদাগাড়ী এলাকায় মাদক ব্যাবসায়ীদের কাছে মাসোয়ারা নেন তিনি।মাসোহারা না দিলে পুলিশ দিয়ে হয়রানিসহ ভয়ভীতি দেখান তিনি।চেয়ারম্যানের বাসায় ভাড়া থাকেন গোদাগাড়ী সার্কেল এএসপি।এটার ভয়ও তিনি বিভিন্নজনকে দেখায়।
চেয়ারম্যানের রাইট হ্যান্ড খ্যাত গোলাম কাওসার মাসুম সম্প্রতি তেতুলতলা এলাকায় তাঁর নামে পুকুর ভরাট পূর্বক প্লট তৈরি করে বিক্রি করছেন।এছাড়াও উপজেলার ভেজাল জমি ক্রয় ও বিক্রয় করেন উক্ত চক্র।
বিশ্বাস্ত সুত্র নিশ্চিত করে বলেন, উপজেলা পরিষদের নানা অনিয়মের মাধ্যমেও তিনি অগাধ সম্পত্তির মালিক বনে গেছেন।প্রকল্পের আওতায় হওয়া কাজগুলোতে নয় ছয় করে হাতিয়ে নিয়েছেন অর্থ।উন্নয়নের প্রতিশ্রুতিতে জনগণের সেবক না হয়ে ভক্ষক হয়েছেন তিনি এমনটাই বলছেন স্থানীয়রা।
এ বিষয়ে কথা বললে গোদাগাড়ী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এসব বিষয় সম্পূর্ণ মিথ্যা।আমি কাওসারের সঙ্গে দীর্ঘদিন থেকে নাই।আমি মাদকের বিরুদ্ধে থাকায় মাদক কারবারিদের আশ্রয়দাতা কিছু প্রার্থী আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছেন।পরিষদে দূর্নীতির কোনো সুযোগ নাই।ইউএনও আর চেয়ারম্যানের যৌথ স্বাক্ষরে সব কাজ হয়।আমি পৌরসভার উন্নয়নে কাজ করেছি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর