রোববার ৩ মার্চ রাতে লামা পৌরসভাস্থ পান বাজারে হামলার শিকার হন সাংবাদিক মোঃ নাজমুল হুদা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গাজী টিভির সংবাদ কর্মি পরিচয় দানকারী ফরিদ উদ্দিন ইট মেরে নাজমুলের মাথা ফাটিয়ে দেয়। তখন ঘটনাস্থলে আরো কয়েকজন সংবাদ কর্মি ও সাধারন লোক ছিলো। নাজমুল ও ফরিদ উদ্দিন দুইজনেরই সংবাদ কর্মি হিসেব এলাকায় পরিচয় রয়েছে। ঘটনার তারিখ ও সময়ে ফরিদ উদ্দিনকে নাজমুলের উপর চড়াও হতে দেখা যায়। প্রথমে দু’জন বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে। এরপর ফরিদ উদ্দিন নাজমুলকে লক্ষ্য করে ইট নিক্ষেপ করলে নাজমুলের মাথা ফেটে যায়। ওই সময় রক্তাক্ত নাজমুলকে অপর সাংবাদিকরা ও প্রত্যক্ষদর্শীরা লামা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যায়। রক্ত বমি করায় পরদিন ৪ঠা মার্চ উন্নত সিকিৎসার জন্য অনত্র রেপার করেন। আহত নাজমুলের পরিবারের দাবি, নাজমুলকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে মারধর ও হত্যার চেষ্টার চেষ্টা করা হয়েছে। তার আত্মীয়রা জানায়, নাজমুল লামা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক মৃত সিরাজুল ইসলামের বড় ছেলে। নাজমুলও একজন সাবেক ছাত্রনেতা। সে লামা সাংবাদিক ইউনিটির সভাপতি।
নাজমুল হুদার স্ত্রী, মা ও স্বজনরা জানান, লামার উগ্রপন্থী গাজী টিভির সাংবাদিক পরিচয় ও প্রেসক্লাবের নেতা পরিচয়দানকারী মোঃ ফরিদ , তার অনুসারীদের সাথে নিয়ে প্রকাশ্যে বাজারে নাজমুল হুদাকে মারধর করে হত্যার চেষ্টা চালায়। নাজমুল হুদার স্ত্রীর আরো জানায়, ‘নাজমুল হুদা মাতামুহুরী পত্রিকার লামা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত । সে সুবাদে তিনি ‘লামা সাংবাদিক ইউনিটি ক্লাব’ নামে একটি সংগঠন করেন। এতে লামা প্রেসক্লাবের উগ্রপন্থী সাংবাদিক ফরিদ ও স্থানীয় কয়েকটি সংগঠনের দুই চারজন সাংবাদিক নাজমুলের উপর ক্ষিপ্ত ছিলেন। গত ০৩ মার্চ সন্ধ্যা ৭ টা.৪০ মিনিটের দিকে ফরিদের অনুসারীরা চা খাওয়ার নাম করে পান বাজারে ডেকে নিয়ে যায় নাজমুলকে। এক পর্যায়ে হঠাৎ করে ফরিদ ঐ স্থানে এসে আমার স্বামীর ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে গালিগালাজ ও গায়ে হাত তোলা শুরু করেন, এবং এক পর্যায়ে ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করে ঐ স্থান থেকে উধাও হয়ে যান। রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে এক ভদ্রলোক উদ্ধার করে লামা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য এর পরের দিন ০৪ঠা মার্চ সকালে কক্সবাজার হাপসাতালে পাঠানো হয়। মঙ্গলবার কক্সবাজার মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নাজমুলের খবর নিতে গিয়ে জানাযায, তার অবস্থায় আশঙ্কাজনক।
নাজমুলের স্ত্রী আরো বলেন ‘অমানসিক নির্যাতনের শিকার হয়ে আমার স্বামী এখন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। আমার এক ছেলে এক মেয়ে । আমার ছেলে এখনো পড়াশোনা করে, ছেলের বয়স মাত্র ০৮ বছর আর মেয়ের বয়স ০২বছর। আমার স্বামীর উপর এই ধরনের অন্যায় অত্যাচার নির্যাতনে আমি এখন দিশেহারা। আমি আমার স্বামীর উপর এই ধরনের পরিকল্পিত হামলার ন্যায় বিচার চাই’।
এ বিষয়ে লামা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক জানান আগে রোগীর ভালো করে চিকিৎসা হোক সুস্থ্য হয়ে আসুক, তারপরে বিষয় টি সরেজমিনে তদন্ত করে দোষীও অপরাধী যেই হোকনা কেন, তার উপযুক্ত বিচার হবে।
লামা সাংবাদিক ইউনিটির সভাপতি নাজমুল হুদার প্রতি এই ধরনের ন্যক্কারজনক হামলার নিন্দা জানিয়ে, লামা সাংবাদিক ইউনিটির সকল সদস্যরা ও ব্যবসায়ীসহ সাধারণ মানুষ অনতিবিলম্বে ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতের জোর দাবি জানিয়েছেন