রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:২১ পূর্বাহ্ন

ই-পেপার

ভাঙ্গুড়ায় আসামিকে মারধর করে জামিনের কাগজ ছিড়ে ফেলার অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে

চলনবিলের আলো ডেস্ক:
আপডেট সময়: শনিবার, ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ২:৫৭ অপরাহ্ণ

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় মারধরের মামলায় জামিনে থাকা এক আসামিকে মারধরসহ ভয়ভীতি দেখিয়ে জামিনের কাগজ ছিড়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে সাবিনুর ইসলাম নামের এক পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। তিনি ভাঙ্গুড়া থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) হিসেবে কর্মরত আছেন। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার মন্ডতোষ ইউনিয়নের মল্লিকচক গ্রামে। জামিনপ্রাপ্ত আসামী মো. সাদ্দাম হোসেন ওই গ্রামের আব্দুল খালেক হোসেনের ছেলে। তিনি গত ৬ ফেব্রুয়ারি পাবনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত-৪ থেকে জামিন পেয়েছেন। জামিনে থাকা আসামিকে মারধর করায় এলাকাবাসীর মধ্যে চঞ্চলের সৃষ্টি হয়েছে।
জামিনপ্রাপ্ত আসামি সাদ্দাম হোসেন অভিযোগ করে বলেন, গত জানুয়ারি মাসে আমার চাচা আলমগীরের সঙ্গে হাতাহাতির ঘটনায় তিনি পাবনা কোর্টে একটি মামলা দায়ের করেন। গত ৬ ফেব্রুয়ারি দুপুরে আদালত থেকে জামিন নিয়ে সন্ধ্যায় সেই কাগজ ভাঙ্গুড়া থানার ডিউটি অফিসারের কাছে জমা দেই এবং একটি রিসিভ কপি নিয়ে আসি।

তিনি আরও বলেন, পরদিন দুপুরে ভাঙ্গুড়া থানা পুলিশের এসআই সাবিনুর আমার বাড়ি গিয়ে চেয়ারম্যান ও ওয়ার্ড মেম্বারের মাধ্যমে বিষয়টি আপস-মীমাংসা করার নিদের্শ দেয়। তা না হলে তিন বছর জেল খাটানোর হুমকি দেন। এরপর জামিনের কাগজ তাকে দেখালে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে চড় দিয়ে হাতে থাকা জামিনের কাগজ নিয়ে ছিঁড়ে ফেলেন। আমার স্ত্রীর কাছ থেকে মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে আদালতের আদেশ তার কাছে মূল্য নাই বলে বিভিন্ন ভয়-ভীতি দেখিয়ে আমাকে পরে দেখা করার কথা বলেন।

এ বিষয়ে মন্ডতোষ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মামুন হোসেন বলেন, বিষয়টি দুঃখজনক। এসআই সাবিনুরের এই কর্মকাণ্ডে বাংলাদেশ পুলিশের কর্মকাণ্ডকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।

জামিন থাকা আসামিকে মারধর ও তার জামিনের কাগজ ছিড়ে ফেলার বিষয়ে জানতে চাইলে ভাঙ্গুড়া থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাবিনুর ইসলাম বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তার কোনো সত্যতা নেই। আপনারা যা লিখতে পারেন তাই লেখেন।

ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাজমুল হোসেন বলেন, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। তবে এ বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্মকর্তার সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

পাবনার সহকারী পুলিশ সুপার (চাটমোহর সার্কেল) মো. হাবিবুল ইসলাম বলেন, একজন জামিনে থাকা আসামীর সাথে এধরণের ব্যবহার করা বিষয়টি দুঃখজনক। বিষয়টি তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com