সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পুকুর পাড়ে ইঞ্জিন (শ্যালো) মেশিনের মাধ্যমে সেচ দেওয়া হচ্ছে। পুকুর থেকে কচুরিপানাসহ গাছের ডালপালা তুলে পাড়ে রাখা হয়েছে। পাশেই ত্রিপল দিযে তৈরি করা হয়েছে বসার স্থান। সেখানে বেশকিছু ছোট ছোট বাঁশের লাঠি, জালদরিসহ মাছ ধরার নানান উপকরণ রাখা হয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ভাঙ্গুড়ার বাঁশবাড়িয়া গ্রামের মৃত. হাজী আনিছুর রহমানের ছেলে মো. মোন্নাফ হোসেন আর,এস (দাগ নং ৯৭৫,৯২৩,৭২৫,৭২৬) রেকর্ডীয় প্রজা হিসাবে ক্রয় ও ওয়ারিশ সূত্রে প্রাপ্ত হইয়া স্বত্ববান দখলকার আছে। যাহার খতিয়ান নং ২১৭,২১৮,২৫০। তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ নালিশী ভূমিতে পুকুর কাটে নিজ হালে মাছ চাষাবাদ করে ভোগ দখলে আছেন। এমত অবস্থায় সাইফুল ইসলাম একতরফা ভাবে গায়ের জোরে নালিশী ভূমিতে অনাধিকার প্রবেশ করে মোন্নাফের পুকুরে থেকে শ্যালো মেশিন দ্বারা শেচ ও জাল দ্বারা মাছ মেরে নেওয়ার জন্য সাইফুল বিভিন্ন রকম হুমকি ধামকি প্রদান করছে। সাইফুল যে কোন মুহূর্তে নালিশী পুকুর হতে মোন্নাফকে বেদখল করতে পারে এবং তার নিজ স্বত্ব দখলীয় পুকুর হতে শ্যালো মেশিন দ্বারা শেচ ও জাল দ্বারা মাছ মেরে নিতে পারে। সেই কারণে সাইফুল গং যেন বাদীর স্বত্ব দখলীয় নালিশী ভূমি হইতে মোন্নাফকে বেদখল করতে না পারে এবং দখলীয় পুকুর হতে শ্যালো মেশিন ও জাল দ্বারা মাছ মারতে না পারে এজন্য ফৌঃ কাঃ বিঃ আইনের ১৪৪ ধারা মতে প্রসেডিং এর আদেশ হওয়া একান্ত আবশ্যক মর্মে আদাতলতে আবেদন দিলে আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে ১৪৪ ধারা জারি করেন।
বাদী মো. মোন্নাফ হোসেন বলেন, বিজ্ঞ আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পুকুর থেকে মাছ ধরার জন্য মেশিন লাগিয়েছে। থানায় জানানো হলে এসআই ইকরাম গিয়ে তাদের নিষেধ করেন। কিন্তু তারা মাছ ধরার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি মামলার ধ্যর্য্য তারিখ রয়েছে।
আদালতের ১৪৪ ধারা ভঙ্গকারি বিবাদী মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, আমরা কারো জমি দখল করিনি। আমাদের নামে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। তবে আদালতের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও জারি করা পুকুরে মাছ ধরছেন কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন থানা পুলিশের সাথে কথা বলেই আমরা মাছ ধরছি।
এ বিষয়ে ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাজমুল হক বলেন, নালিশী ভূমিতে আদালতের ১৪৪ ধারা জারির আদেশ হাতে পেয়ে উভয়পক্ষকে নোটিশ দেয়া হয়েছে। কাউকে মাছ ধরতে বলা হয়নি। তবে কেউ ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।