শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ০৩:২৮ অপরাহ্ন

ই-পেপার

চৌহালীতে গ্রাম আদালত সংক্রিয়করণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

মাহমুদুল হাসান, চৌহালী(সিরাজগঞ্জ)প্রতিনিধি:
আপডেট সময়: বৃহস্পতিবার, ২৫ জানুয়ারি, ২০২৪, ২:৫৮ অপরাহ্ণ

“শেখ হাসিনার মূলনীতি গ্রাম শহরের উন্নতি” অল্প সময়ে,সল্প খরচে সঠিক বিচার পেতে চলো যাই গ্রাম আদালতে ” এমন শ্লোগানকে সামনে রেখে সিরাজগঞ্জের চৌহালীতে বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সংক্রিয়করণ (৩য় পর্যায়) প্রকল্প।
গতকাল  সকালে চৌহালী  উপজেলা পরিষদ হলরুমে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহবুব হাসানের সভাপতিত্বে ও উপজেলা সমন্বয় কর্মকর্তা মো, শহিদুল ইসলামের পরিচালনায় এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন ইউপি চেয়ারম্যান, সচিব ও কম্পিউটার অপারেটর।
গণপ্রজান্ত্রী বাংলাদেশ সরকার স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয় স্থানীয় সরকার বিভাগ বাংলাদেশ সচিবালয় ঢাকা
২০৪১ উন্নত উদ্বাবনী স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়ন হচ্ছে।
ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন, বাংলাদেশ সরকার এবং ইউ এনডিপির যৌথ অর্থায়নে ও( ই এস ডি ও)’র বাস্তবায়ন সহযোগিতা ফিল্ড পর্যায়ে উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন পরিষদ এর চেয়ারম্যান ,ইউপি সচিব ও ইউপি সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর নিয়ে এ প্রকল্পের গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
গ্রাম আদালতের সুবিধা- গ্রাম আদালত সর্ব্বোচ্চ ৭৫ হাজার টাকা মুল্যমানের ফৌজদারি ও দেওয়ানী মামলা নিষ্পত্তি করতে পারে, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সহ উভয় পক্ষের ২ জন করে মনোনীত প্রতিনিধি নিয়ে গ্রাম আদালত গঠিত হয়, নিজ ইউনিয়ন পরিষদেই গ্রাম আদালত বসে, বিচারিক প্যানেলে নিজেইন প্রতিনিধি নিজেই মনোনয়ন দেওয়া যায়, আবেদন কারী এবং প্রতিবাদী নিজেরাই নিজেদের কথা বলেতে পারে, আইনজীবী নিয়োগের বিধান নেই। ফৌজদারি মামলার ফি ১০টাকা এবং দেওয়ানী মামলার ফি ২০টাকা।  এছাড়া কোন খরচ নেই।
গ্রাম আদালত যেসব বিরোধ নিস্পত্তি করতে পারে- চুরি, ঝগড়া-বিবাদ,কলহ বা মারামারি, দাঙ্গা, প্রতারনা,ভয়ভীতি দেখানো বা হুমকি দেয়া, কোন নারীর শালীনতাকে অমর্যদা বা অপমানের উদ্দেশ্যে কথা বলা,উত্যক্ত করা। গচ্ছিত কোন মুল্যবান সম্পত্তি আত্মসাত করা, পাওনা টাকা আদায়,স্থাবর সম্পত্তির দখল ও পূর্ণ উদ্ধার বা তার মুল্য উদ্ধার,  কোন অস্থবর সম্পতি জবর দখল বা ক্ষতি করার জন্য ক্ষতিপুরণ আদায়।গবাদিপশুর অনাধিকার প্রবেশের কারণে ক্ষতিপুরণ,গবাদিপশু মেরে ফেলা বা গবাদিপশুর ক্ষতি করা,কৃষি শ্রমীকের পরিশোধযোগ্য মজুরি ও ক্ষতিপুরণ আদায় ইত্যাদি।
গণপ্রজান্ত্রী বাংলাদেশ সরকার স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয় স্থানীয় সরকার বিভাগ বাংলাদেশ সচিবালয় ঢাকা, কর্তৃক এ প্রকল্পের মেয়াদ ১লা জুলাই ২০২৩ থেকে আগামী ৩০ জুন ২০২৭ সাল পর্যন্ত  দেশের ৬১টি জেলায় চলমান রয়েছে।
বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ ৩য় পর্যায় প্রকল্পের মূল লক্ষ্য উদ্দেশ্য- বাংলাদেশের সুবিধা বঞ্চিত ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর বিচার ব্যবস্থায় প্রবেশাধিকার নিশ্চিতকরণ অবদান রাখা, সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্য – স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে সুসংগঠিত গ্রাম আদালতের মাধ্যমে স্থানীয় বিচারিক চাহিদা এবং যথাযথ আইনি সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে অধিকেতর সংবেদনাশীল করা, স্থানীয় জনগণ বিশেষ করে নারী, দরিদ্র ও বিপদাপন্ন জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়ন করা: যাতে তারা তাদের প্রতি সংঘটিত অন্যায়সমূহের প্রতিকার চাইতে পারে এবং স্থানীয় পর্যায়ে দ্রুততম সময়ে, স্বল্প খরচে ও স্বচ্ছতার সাথে বিরোধ নিষ্পত্তি করতে পারে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর